আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

নিশ্চয়ই মুছলিমদের ইতরামির দায় ইহুদিদের

লিখেছেন জর্জ মিয়া

দেশের জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা উঠলেই সরকারসহ প্রায় মুছলিমই বলেন, এটা ইহুদিদের ষড়যন্ত্র! ঠিক কোন দিক দিয়ে ষড়যন্ত্র, আমি বুঝতেছি না, দয়া করে কোনো মুসলিম যদি একটু বুঝিয়ে দিয়ে যেতেন, উপকৃত হতাম। 

পৃথিবীর সর্বমোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২ শতাংশ ইহুদি অর্থাৎ দেড় কোটিরও কম। ভিন্নভাবে বললে, শুধু ঢাকা শহরের মানুষের সংখ্যাই সমগ্র পৃথিবীর ইহুদিদের চেয়ে বেশি। এবং প্রতি ১ জন ইহুদির জন্য পৃথিবীতে আছে ১০০-রও বেশি মুছলিম। পৃথিবী নিজেই যেখানে সাক্ষী দেয়, এখন পর্যন্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে এই ইহুদি জাতিটাই এগিয়ে আছে সবার থেকে। হিটলার ও ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ খুনোখুনিও কম হয়নি। এতসব করেও তারা আজকে উজ্জ্বল দাঁড়িয়ে আছে দুনিয়াতে। শুধুমাত্র উঠে আসার চেষ্টায়। ইছলামের নবী মোহাম্মদের কাছে তার ও আল্লার সব থেকে বড় শত্রু ছিলো এই ইহুদিরা। এখানে বলতে দ্বিধা নেই, মোহাম্মদ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। সে হয়তো বুঝতে পেরেছিল যে, যদি ইহুদিরা বেঁচে থাকে, তাহলে তার আঁধার ইসলাম কখনই কোনোভাবেই প্রসারিত করা যাবে না। 

এ কারণেই ইহুদিদের একের পর এক গোত্র কচুকাটা করে গিয়েছিল সে নিজের জীবদ্দশায়। আল্লা নিজেও বলে দিয়েছে তার কিতাবে, ইহুদিদের কোনোভাবেই বন্ধুরূপে গ্রহণ করা যাবে না। যদি কোনো মুসলিমের উপকারেও আসে, তবুও না। এখানে সব মুছলিমকে আল্লার শরণাপন্ন হতে বলা হয়েছে। কাফের মুশরিক, মুরতাদ ও ইহুদি এরা হচ্ছে ইছলামের প্রধান শত্রু! 

ঠিক কোন কারণে এরা শত্রু, সেটা বুঝতে গেলে আমাদের ঘুম থেকে জাগা দরকার। কয়েক দিন আগে খবরে দেখলাম, আমেরিকায় নাকি মুছলিমদের প্রবেশ করতে বেশ বেগ পেতে পোহাতে হচ্ছে। ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে। বুঝতেছি না, মুছলিম ভাই-বোনেরা কেন এসব ইহুদি-নাসারা দেশে পাড়ি জমায়। ইছলামী স্রষ্টা আল্লা ও তার বার্তাবাহকের নিষেধ থাকার পরেও কেন যাচ্ছে? এটুকু বুঝতে একটু হাদিসের সিরাতের দিকে এবার চোখ বোলাতে হয়:
সাহাবী আবু হুরায়রাহ (রা) হতে বর্ণিত:
তিনি বলেন: রসুল (সা) বলেন: কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষন না মুসলমানরা ইহুদিদের সাথে যুদ্ধ করবে। তখন মুসলমানরা ইহুদিদেরকে হত্যা করবে। এমনকি যে কোন ইহুদি কোন গাছ বা পাথরের পেছনে লুকিয়ে থাকলে সে গাছ বা পাথর বলবে: হে মুসলিম! হে আল্লাহর বান্দাহ! এই যে ইহুদি আমার পিছনে লুকিয়ে আছে। আসো তাকে হত্যা করো। কিন্তু গারক্বাদ নামক গাছটি। সে তো তাদেরই গাছ। তাই সে তাদের ব্যাপারে মুসলমানদেরেকে কিছুই বলবে না। [বুখারী, হাদীস নাং-২৯২৬, মুসলিম, হাদীস নং-২৯২২,]
সাহাবী আবু উমামাহ্ (রা) হতে বর্ণিত:
তিনি বলনে: রসুল (সা) একদা আমাদের সামনে আলোচনা করছিলেন। তার আলোচনার অধিকাংশই ছিলো দাজ্জাল সম্পর্কে। তিনি দাজ্জাল থেকে আমাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করলেন। দাজ্জালের আবির্ভাব, ইসা (আ) এর অবতরণ এবং দাজ্জালকে হত্যা নিয়ে তিনি আলোচনা করলছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বললেন: একদা ইসা (আ) বলবেন: (বাইতুল মাক্বদিসের) দরোজা খোলো। তখন দরজা খোলা হবে। তার পেছনে থাকবে দাজ্জাল এবং দাজ্জালের সাথে থাকবে সত্তর হাজার ইহুদি। তাদের প্রত্যেকেই থাকবে তলোয়ারধারী এবং মোটা চাদর পরিহিত। দাজ্জাল যখন ইসা (আ) কে দেখবে তখনই সে চুপসে বা গলে যাবে যেমনভাবে গলে যায় পানিতে লবণ এবং সে ভাগতে শুরু করবে। তখন ইসা (আ) বলবেন: তোমার জন্য আমার পক্ষ থেকে একটি কঠিন মার রয়েছে যা তুমি কখনো এড়াতে পারবে না। অতঃপর ইসা (আ) তাকে পূর্ব দিকের লুদ্দ নামক গেইটের পাশেই হত্যা করবেন। আর তখনই ইহুদিরা পরাজিত হবে। এ দুনিয়াতে আল্লহা তাআলার যে কোন সৃষ্টির পিছনে কোন ইহুদি লুকিয়ে থাকলে আল্লাহ তাআলা সে বস্তুকে কথা বলার শক্তি দিবেন এবং বস্তটি তার সম্পর্কে মুসলমানদেরকে বলে দিবে। চাই তা পাথর,গাছ,দেয়াল কিংবা যে কোন পশুই হোক না কেন। কিন্তু গারক্বদ নামক গাছটি। সে তো তাদেরই গাছ। তাই সে তাদের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে কিছুই বলবে না। [ইবনু মাজাহ হাদীস নং-৪০৭৭]
এছাড়াও আমরা আরও দেখি, আবু আফাক নামের ১২০ বছর বয়সী অতি বৃদ্ধ ইহুদি কবি এবং কোলের সন্তানকে স্তন্যপান অবস্থায় আসমা বিনতে মারওয়ান নামের পাঁচ সন্তানের এক জননীকে পরিকল্পিতভাবে রাতের অন্ধকারে অমানুষিক নৃশংসতায় কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল নবীর নির্দেশে। প্রতারণার আশ্রয়ে রাতের অন্ধকারে কাব বিন আল-আশরাফকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। প্রতারণার আশ্রয়ে খাদ্যের সাহায্য চেয়ে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে হত্যার নজিরও আছে ইছলাম ধর্মের একেবারে শুরুতেই। হ্যাঁ, ঐ লোকগুলিকে হত্যা করতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছিল নবী মোহাম্মদ ও তার সাহাবীরা। এবার চলুন বর্তমান দেখি:

কিছুদিন আগে আইএস-এর উত্থান, সিরিয়াসহ বেশ কিছু আরব এলাকায় হত্যাযজ্ঞ চালানো, ইহুদিদের দেশে মুছলিমদের অনুপ্রবেশ, সে দেশের মানুষের টাকায় খেয়ে-পড়ে সেসব মুছলিমগন এখন আল্লার ইবাদতে মশগুল, ইন্টারনেটে আল্লা-নবীর বাণীও প্রচার করছে তারা। আল্লাহর ইচ্ছায় ইহুদি-নাসারারটা খেয়ে-পড়ে আরামেই আছে; খুব আয়েশেই আছে বাস্তুহারা সেসব মুছলিমরা। এর পরে কী দেখলাম? ফ্রান্সে আত্নঘাতী বোমা হামলা! ইছলামের জন্মই হয়েছে এভাবে। যে পাতে খাবে, সে থালা ফুটা করে বলবে "না'রায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর"!

দেশে জঙ্গিদের বেশ আনাগোনা, ইতিমধ্যে মুরতাদ-নাস্তিক, হত্যা করেছে তারা। হাদিস-সিরাত গ্রন্থানুযায়ী বলা যায় যে, নবী মোহাম্মদের ইছলামী প্রচার-প্রসার মতবাদের সাথে খাপ খায় না, এমন যে কোনো মতের লোকই হতে পারে খুন মুছলিম জিহাদিদের হাতে!

এখানেও রব উঠেছে "কোন জঙ্গি নেই, সব ইহুদিদের চক্রান্ত।" বুঝতে বাকি নেই, কোন দিকে ইঙ্গিত করছে এসব বক্তা। কথার প্রেক্ষিতে একটা কথা বলা যায়: মুছলিমরা এতই গর্দভ যে, মুছলিমরা শুধু ইহুদিদের ফাঁদে পা দিয়ে মানুষ মারে। কিন্তু ইছলামী দলিল তো তা বলে না, ইছলামী দলিল সরাসরি বলে মানুষ হত্যার কথা। তবে মুছলিদের এখন অবশ্যকর্তব্য ইহুদিদের বিনাশ না করে টিকিয়ে রাখা। নইলে নিজেদের বর্বরতায় দায় মুছলিমরা কার কাঁধে চাপাবে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন