আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

যুগে যুগে দেশে দেশে নরবলি - ০৩

লিখেছেন নাস্তিক ফিনিক্স

গ্রিক পণ্ডিত 'হেরোডোটাস'-কে 'ইতিহাসের জনক' বলে। তিনি তাঁর 'ইতিহাসমালা' বা 'Histories' ও 'পারসিকদের ইতিহাস' গ্রন্থে অনেক কুপ্রথার উল্লেখ করেছেন। চীন-তুর্কিস্তান ও রুশ-তুর্কিস্তানে বসবাসকারী ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ সাইথিয়ান বা পারসিকরা নরবলি দিত ধর্মীয় কারণে। 

চৈনিক কিংবা মিশরীয়দের মতো পারসিকরা রাজার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী, পরিচারক ও কর্মচারীদের একই কবরে জীবন্ত সমাধিস্থ করতো। আবার কোথাও এমন প্রথারও চল ছিল — রাজার মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর তাঁর ৫০ জন বিশিষ্ট অনুচরকে গলা টিপে হত্যা করার পর রাজার কবরের চারপাশে কবর দেওয়া হতো।

এখানেই নিষ্ঠুরতার শেষ নয়। হেরোডটাসের মতে - অনেক সময় যুদ্ধবন্দীদের ধরে দেবতা অরেসের (Ares) সামনে বসিয়ে মদ দিয়ে স্নান করানোর পর তাদের বলি দিয়ে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হত।


প্রাচীন ইহুদিরা নানা জাদুবিদ্যা ও গুপ্তবিদ্যার অঙ্গ হিসাবে শিশুবলি দিয়ে সেই রক্তে দেবতার পূজা দিত। এভাবে ধর্মীয় পুণ্যের জন্য নরবলি, শিশুবলির প্রচলন ছিল।

অন্ধ প্রবৃত্তির পরিণতি কত যে ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা ধর্মের বীভৎস আচারের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।

হেরোডোটাস যে-'সাইথিয়ানদের' কথা বলেছেন, তারা ভারতের পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের পশ্চিমে আজও ছড়িয়ে রয়েছে। সেই কারণে হয়তো ঐসব অঞ্চলে নরবলি প্রথা সাইথিয়ানদের হাত ধরে এসেছে।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন