আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৬

ফাতেমা দেবীর ফতোয়া - ২৭

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সঃ)

১৩১. 
ইছলামে মমিনদের দাড়ি রাখা ছুন্নত, মোচ রাখা হারাম। কারণ নবী সাব দাড়ি রেখেছিলেন, কিন্তু মোচ রাখেননি। ছুন্নত পালন করতে গিয়ে মমিন ভাইদের রোজ মোচ শেভ করতে হয়। কেমন দিকদারি না? এখন তো নাস্তিক বিজ্ঞানীদের কল্যাণে শেভ করার জন্য শেভিং ক্রিম ও ব্লেড আছে। তাই শেভ করা দিকদারি হইলেও অসম্ভব দিকদারি না। কিন্তু ভেবে দেখুন, নবী সাবের আমলে শেভিং ক্রিম, ব্লেড এসব ছিল না। নবী সাবে তাহার মোচ মুবারক শেভ করতেন কী প্রকারে? মোচ মুবারকে বালু মাখাইয়া তলোয়ার দিয়া অথবা খেজুরের ডালের ছাল দিয়া নিশ্চয়। কেমন ভয়াবহ দিকদারি না? আল্যাপাকে নবী সাব ও মমিনদের এত দিকদারি দেন কেন? এদেরে তিনি মোচবিহীন শুধু দাড়িওয়ালা বানাইলেই তো এহেন দিকদারি হতো না।

১৩২.
একটি নির্দিষ্ট ধর্মের সমালোচনা করার কারণে ওই ধর্মের অনুসারীরা মিলে সমালোচকদের ধরে জবাই করে হত্যা করে। কোনো কিছুর সমালোচনা করলেই কি সমালোচককে খুন করতে হয়? তাই যদি হয়, তাহলে সেই ধর্মটি ও তার অনুসারীরা কতো বিষধর, ভেবে দেখেছেন কি?

১৩৩.
লিঙ্গাগ্র কেটে ফেলে না দিলে নাকি ছহী মমিন হওয়া যায় না। এজন্য মমিনরা তা-ই করে। আল্যাপাকের বানানো নিজের শরীরের একটা অঙ্গের আগাকে প্রচণ্ড ঘৃণায় কেটে ফেলে দেয়। এই অঙ্গ-কাটা প্রক্রিয়াকে খৎনা অথবা মুছলমানি বলে। আল্যাপাকের তৈরি লিঙ্গের আগা কি এতই ঘৃণ্য, এতই অচ্ছুৎ, এতই গার্বেজ, এতই নাপাক, যা কেটে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হয় গার্বেজে? তা আল্যাপাক মমিনদের লিঙ্গে নাপাক আগা না বানালেই তো পারতেন। তাহলে আর কাটাছেঁড়া ও রক্তারক্তির ঝামেলায় যেতে হত না। এই সাধারণ বুদ্ধিটা আল্যাপাকের মাথায় কেন আসেনি মমিন পয়দা করার সময়?

১‌৩৪.
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় 'অলৌকিক জলযান'-এ লিখেছেন, সমুদ্রে সূর্য অস্ত যায়, নক্ষত্রেরা সমুদ্রের জলে জেগে রয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো।
কবি-সাহিত্যিকেরা সমুদ্রে সূর্য অস্ত যায় বললে, নক্ষত্রেরা সমুদ্রে জেগে রয় বললে কোনো দোষ নাই। আর কেউ পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্য অস্ত যায় বললেই দোষ?
রবীন্দ্রনাথ চাঁদের আলো উছলে পড়ে বললেও দোষ নাই। আর কেউ চাঁদের আলো আছে বললেই দোষ? এ কেমন পক্ষপাতিত্ব, হে!

১৩৫.
আল্যায় কোনো কাম কাজ করে না। সারাদিন খালি আরশে বইসা থাকে। আর আমরা কাজ করতে করতে শেষ। অলস বসে থাকতে থাকতে তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি বিকল হবার দশা। তাই আজকে থেকে আমি আল্যার হাতে ঘর মোছা, বাসনকোসন ধোয়া, বাথরুম পরিষ্কার করা, কাপড়চোপড় ধোয়া, হাটবাজার করা, ইত্যাদি কাজ করাবো। তাতে আমারও হেল্প হবেম আল্যার স্বাস্থের জন্যও ভালো হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন