আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

থাবা বাবাহীন তিনটি বছর

থাবা বাবাহীন কেটে গেল তিনটি বছর। 

ঠিক তিন বছর আগে এই দিনে মহানবীর মহান বীর অনুসারীরা থাবা বাবার লেখালেখির জবাব দিয়েছিল সম্পূর্ণ ছহীহ উপায়ে ছুন্নত পালনের মাধ্যমে। 

ইছলামী রীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী, বিরুদ্ধমত, ব্যঙ্গ ও সমালোচনার শাস্তি - মৃত্যু। নবীজি নিজেই এই চর্চা করেছে কয়েকবার। কয়েকটি নমুনা:

১. নবী ও তার অনুসারীদের আগ্রাসী নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মৌখিক প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেছিলেন বলে ১২০ বছর বয়সী অতি বৃদ্ধ ইহুদী কবি আবু আফাককে নবীর আদেশে হত্যা করে তার অনুসারীরা।

২. আবু আফাক-কে হত্যার পর আসমা-বিনতে মারওয়ান তাঁর বিদ্বেষ প্রকাশ করলে নবীর নির্দেশে রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত নিরস্ত্র এই জননীকে নৃশংসভাবে খুন করে নবীজির এক চ্যালা। ঘাতক যখন এই জননীকে খুন করে, তখন এই হতভাগা মা তাঁর এক সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রত্যুষে খুনী তার প্রিয় নবী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর সাথে একত্রে সকালের নামাজ (ফজর) আদায় করে।

৩. কাব বিন আল-আশরাফ নামের এক ব্যক্তি আল্লাহর নবীর কাজের নিন্দা করা শুরু করেন ও বদর যুদ্ধে যাদেরকে খুন করার পর লাশগুলো গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন কবিতা আবৃতির মাধ্যমে। তাঁকেও নির্দয়ভাবে খুন করে নবীর উম্মতেরা।

এই অসভ্য, বর্বর নবীর হুরলোভী অনুসারীরা থাবা বাবাকে হত্যা করে ছহীহ ইছলামী কাজটিই করেছে। এবং করেই চলেছে।

ধর্মকারীর থাবা বাবা

থাবা বাবার জীবদ্দশায় ধর্মকারীতে তাঁর চেয়ে বেশি কনট্রিবিউট কেউ করেনি। বস্তুত থাবা বাবার সঙ্গে ধর্মকারীর সংশ্লিষ্টতা এতোটাই নিবিড় ছিলো যে, তাঁর মৃত্যুর পর কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, ধর্মকারীর সঞ্চালক, সম্ভবত, থাবা বাবা।

ধর্মকারীতে প্রকাশিত তাঁর সমস্ত লেখা সংকলিত করা হয়েছে একটি ইবুকে। বইটি অনলাইন পড়তে বা ডাউনলোড করতে পাশের লিংকে ক্লিক করুন: ধর্মভূত বিতাড়নে থাবা বাবার যত পানিপড়া

আজকের এই দিনে সেই বই থেকে তাঁর কিছু টুকরো গদ্য পড়া যাক:

হাত পা ভাল করে ধুয়ে, সুন্দর ও পরিষ্কার জামাকাপড় পরে, কন্ঠে দরদ ঢেলে, সুরে-সুরে, ছন্দে-ছন্দে হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাট করার জন্য উস্কানি দেয়া, গালাগালি করা ও অন্যের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করাকে কোরান তেলওয়াত বলে! 
#
মাছের তেলে মাছ ভাজা...
#
মাদ্রাসাগুলো চলে ভিক্ষের দানে, তার ছাত্ররা সেখানে ভিক্ষে করা শেখে। আর তারপর তারাই আবার ভিক্ষে করে মাদ্রাসার জন্য টাকা তোলে, আর সেই সব মাদ্রাসায় আবারও ভিক্ষুক তৈরী হয়! সেই ভিক্ষুক ছাত্রেরা আবার ভিক্ষে করে নতুন মাদ্রাসা বানায় নতুন নতুন ভিক্ষুক উৎপাদনের জন্য... এই চক্র চলতেই থাকে!
#
সিনেমা আর টিভির মতো আধুনিক মিডিয়া যখন ধর্মের মতো পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়ানো একটা বিষয়কে সযত্নে লালন করে, তখন মনে হয় প্রযুক্তির চাট্টিবাট্টি গোল করে ফেলে দিয়ে প্রস্তর যুগে ফিরে যাই!
#
মায়ের পায়ের নিচে শুয়ে মুমিন ৭২ খানা হুরী নিয়ে ফূর্তি করবে... আল্যা কত্তো মহান!
#
আমরা বেশ্যালয়কে খারাপ জেনে বড় হলেও স্বর্গ খুব ভাল জায়গা বলে শিখি! বেশ্যাগমন পাপ হলেও আমাদের শেখানো হয় হুরীগমন পুণ্যের! 
#
কে বলে আল্লা আধুনিক না? এই যে আজকাল পোলাপান থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরে, এটা তো কুরানেই বলেছে পরার জন্য, তাও ১৪০০ বছর আগে!
#
মুমিনের চার বিবির মধ্যে কোন বিবি জান্নাতে তার হুরীদের সর্দারনী হবে?
#
ইসলামে পুরুষদের পবিত্রতার জন্য ঢিলা-কুলুখের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, আর মহিলাদের জন্য? ঢিলা-কুলুখের ব্যবস্থা নেই বলেই কি তারা 'অপবিত্র'?
#
ঘুষ লেনদেন পাপ, কিন্তু ঈশ্বরকে ভেট দেয়া পুণ্য! 
#
সবাই সুস্থ হয় আল্লার রহমতে, ডাক্তারের কোনো কৃতিত্ব থাকে না!
#
দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথায় ভুলিয়ো না... তাবলিগ জামাতিদের কথা সবচেয়ে মিষ্টি! খুব খিয়াল কৈরা!!!
#
আল্লা যা করে সব ভালর জন্যই করে... অসুখও আল্লা ভালর জন্যই দেয়, তাই ডাক্তার-বদ্যি দেখিয়ে সুস্থ হওয়া স্পষ্ট কুফুরি!
#
উম্মে-হানীর যোনী গহ্বরের ঐতিহাসিক নাম হেরা গুহা!
#
মোহাম্মদ একাই ভেস্তে হুরীর গোডাউন খালি করে দিছে, তাই আল্লা উপায়ান্তর না দেখে দিলে মোহর লাগায় সব নাস্তিক পাঠাচ্ছে দুনিয়ায়!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন