আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আয়, শরিয়া আয়

লিখেছেন পুতুল হক

আমাদের দেশের মেয়েদের যখন 'অবলা নারী' বলা হয়, তখন আমি তেড়েবেড়ে আসি না। অবলার চাইতে বেশি হেয় করা যায়, এমন কোনো শব্দ যদি ব্যবহার করা হয়, তখনও আমি কিছু মনে করি না। সত্যিটা শুনতে তেতো হলেও সত্যি সত্যি-ই হয়। 

অবলা যদি না-ই হবে, তবে প্রতিদিন কেন নতুন নতুন মেয়ে হিজাব-বুরখা পরছে? ধান্দাবাজ মোল্লারা নাহয় শরিয়ার পক্ষে জিহাদ করলো, কিন্তু মেয়েগুলো কেন এর পক্ষে কথা বলে? ডানদিকে যেতে বললো ডানে গেল, বাম দিকে যেতে বললে বামে। একবারের জন্য চেয়ে দেখলো না ডানে বা বামে কী আছে। তাহলে তাদেরকে অবলা বলবে না তো কি সবলা বলবে?

বাবা চায় শরিয়া, ভাই চায় শরিয়া, হাবি চায় শরিয়া, তো মেয়েও চায় শরিয়া। কারণ কী? শরিয়া আল্লাহর আইন, আল্লাহর শাসন। কিন্তু সে জানে না, সেখানে কী লেখা আছে, কী দিয়েছে শরিয়া একটি মেয়েকে? আমি একটা জিনিস চাই, কিন্তু জানি না জিনিষটা কী, এরকমটা একমাত্র অবলার পক্ষেই সম্ভব।

এই যে শিক্ষিতা, আধুনিকা, চাকুরিরতা, শরিয়ার পক্ষে বাহাসরতা মুমিনা বোনেরা কি জানে যে, ... 
শরিয়া অনুযায়ী তাদের শিক্ষিতা হবার প্রয়োজন নেই, নামাজ-রোজা শিখলেই হবে?
স্বাবলম্বী চাকুরিরতাদের কর্মক্ষেত্রে পরপুরুষের সাথে বুরখার আড়ালে কাজ করতে হলেও পরপুরুষকে স্তন্য পান করাতে হবে?
হাবিরা যখন চারটা করে বিবি রাখবে, তখন পারিবারিক আদালত থাকবে না?
হাবির ইচ্ছে হলেই দেনমোহর বাবদ মুল্য পরিশোধ করে তালাক দিতে পারবে, এবং হাবির কিছুই করা যাবে না?
রাত-বিরেতে হাবিকে যখন বাসার বুয়ার ঘরে দেখা যাবে, তখন কোনো "টুঁ" শব্দ করা যাবে না?
আর হাবির ডাকে সাড়া না দিলে মাইর কিন্তু একটাও মাটিতে পড়বে না?
একা কিংবা বন্ধুদের সাথে গাউসিয়া বা আড়ং-এর সেলে যেতে পারবে না, সাথে নিতে হবে হাবি অথবা বাপি অথবা ভাইটিকে?
কখনো ধর্ষিতা হবার সম্ভাবনা দেখা দিলে দু'জন পুরুষ বা চারজন অবলা চাক্ষুষ সাক্ষীর অ্যারেঞ্জমেন্ট রাখতে হবে, নইলে ধর্ষিতা হবার দায়ে উলটো দোররা খেতে হবে?
সাজগোজ করা হবে শুধুমাত্র হাবির জন্য?
সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেয়া যাবে না?...
হিজাব পরা, মোটা আই লাইনারে ডাগর আঁখিওয়ালা খুশি-খুশি মুখ করে ভার্সিটি যাচ্ছে, অফিসে যাচ্ছে। মুসলমানের মেয়ে, মুসলমানের দেশের মেয়ে আর মুসলমানের পোশাক পরবে না! 

হিজাব পরতে এতো ভালো লাগে, শরিয়া আসলে না জানি কত ভালো লাগবে। "আয় শরিয়া আয়, তোর লাগি আমার পরান যে ফাটিয়া যায়...।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন