আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রসঙ্গ

লিখেছেন মহিন উদ্দিন আহামেদ

প্রথমত বলে রাখা উচিত, ভাষা এবং ধর্ম দু'টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।

ধর্ম হল কিছু আচার বা রীতির সমষ্টিরূপ, যা মানুষ তার দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ করে না এবং তাতে ঐ ব্যক্তির কিছু যায় আসে না, রাষ্ট্রেরও কিছু যায় আসে না। তার মানে ধর্ম সবার কাছে সমান বিষয়বস্তু নয়, কেউ ধর্ম শতভাগ পালন করে, কেউ কদাচিৎ আবার কেউ বা একেবারেই করেনা। তাই ধর্ম পালন অথবা না পালনের বিষয়টা মানুষের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।

অপরদিকে ভাষা এমন একটি বিষয়, যার সাথে মানুষ জন্মগতভাবে সম্পর্কযুক্ত এবং চুক্তিবদ্ধ। একেক জায়গার ভাষা একেক রকম, তাই একটি সদ্যজাত শিশু যেই পরিবেশে জন্মগ্রহণ করে, জন্মগতভাবে সেই শিশু উক্ত ভাষাকেই গ্রহণ করে এবং সেটা প্রকৃতিগতভাবেই। এতে কারো হাত নেই। মানুষ তার মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করার জন্য ভাষার ব্যবহার করে, আর এই ভাষার মাধ্যমেই মানুষ ধর্মচর্চা করতে সমর্থ হয়। তাই ধর্মের প্রচার বা বিকাশের জন্য ভাষা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

অপরদিকে ভাষার প্রকাশ বা বিকাশের জন্য ধর্মের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, ভাষার কাছে ধর্ম গুরুত্বহীন। যেমন ধরুন, বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে, কারণ তারা জন্মগতভাবে বাঙালি। ধর্ম এই ভাষার ব্যবহারে প্রভাব ফেলতে পারেনি, মুসলমানরা আরবীয়দের ধর্মটাকে গ্রহণ করেছে কিন্তু ভাষাটা তাদের বাংলাই আছে। এবং অনুরূপ প্রক্রিয়াটা বিশ্বে জুড়েই প্রচলিত।

ধর্ম ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকতে পারে, সারা বিশ্বে কোটি কোটি ধর্মহীন মানুষ তার প্রমাণ। কিন্তু ভাষা ছাড়া মানুষের চলে না। বোবাও তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, ভাষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ধর্মের চেয়ে অনেক বেশি। এ কথা আপনি অবশ্যই মেনে নেবেন, যদি না আপনি একজন গোঁড়া ধর্মান্ধ হন।

ভাষার ধর্মের প্রয়োজন নেই, কিন্তু ধর্মের ভাষার প্রয়োজন আছে। তাই নিঃসন্দেহে ধর্মের সাথে ভাষার তুলনা দেওয়াটা একটা বড় বোকামি।

রাষ্ট্রধর্ম ছাড়াও একটি রাষ্ট্র দিব্যি চলতে পারে। নিচের মানচিত্রে ধূসর দেশগুলো রাষ্ট্রধর্মহীন। এসব দেশ কি অচল, স্থবির?

ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া

কিন্তু রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কর্ম সম্পাদন করতে প্রয়োজন নিদেনপক্ষে একটি রাষ্ট্রভাষা বা সরকারী ভাষা। আসলে এখন এ নিয়ে আলোচনাও অর্থহীন। বাংলাদেশ বেছে নিয়েছে ধর্মান্ধতার পথ। বাংলাদেশ এখন একটি ধর্মনিরপেক্ষ ইছলামী দেশ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন