আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৭ মে, ২০১৬

হুদাইবিয়া সন্ধি - ১৪: 'আল ফাতহ' বনাম আঠারটি হামলা!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১২৪): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – আটানব্বই

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী: এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"

হুদাইবিয়া সন্ধি-চুক্তি সম্পন্ন করার পর মদিনায় প্রত্যাবর্তনকালে পথিমধ্যেই স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর অনুসারীদের অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও তাঁর নবী-গৌরব ও নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে কুরানের কোন সুরা নাজিল করেছিলেন; তাঁর নাজিলকৃত সেই সব বাণীর মাধ্যমে তিনি কীভাবে নিজেই নিজের যথেচ্ছ প্রশংসা-গুণকীর্তন করেছিলেন, কীভাবে নিজেই নিজেকে প্রশংসাপত্র প্রদান করেছিলেন, কীভাবে নিজেই নিজের কর্তৃত্বের অনুমোদন দিয়েছিলেন ও দাবি করেছিলেন যে, তাঁর আনুগত্য করার অর্থই হলো 'আল্লাহর' আনুগত্য করা; কীভাবে তিনি তাঁর বশ্যতা অস্বীকারকারীদের উদ্দেশে বিষোদগার-হুমকি-শাসানী ও ভীতি প্রদর্শন করেছিলেন ও যতক্ষণে না অবিশ্বাসীরা মুসলমান হয়ে যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশ জারি করেছিলেন; কীভাবে তিনি তাঁর বশ্যতা স্বীকার ও হুকুম পালনকারী অনুসারীদের লুটের মালের ওয়াদা করেছিলেন, বেহেশতের প্রলোভন দিয়েছিলেন; ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

মুহাম্মদ তাঁর এই সূরা ‘আল ফাতহ (The Victory)'-এর মাধ্যমে দাবি করেছেন যে, যদিও তাঁর সকল অনুসারী তাঁর 'স্বপ্ন-দর্শন' প্রতিশ্রুত (পর্ব: ১২০-১২১) ঘোষণার সম্পূর্ণ বিপরীত পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় আশাভঙ্গ হয়েছেন ও তাঁর এই চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করে অত্যন্ত মর্মবেদনাগ্রস্ত হয়েছেন, কিন্তু এই চুক্তি স্বাক্ষর আসলে তাঁদের জন্য এক "সুস্পষ্ট বিজয়!" তিনি তাঁর রচিত এই সুরার প্রথম বাক্যেই এই দাবিটি উত্থাপন করেছেন: "নিশ্চয় আমি আপনার জন্যে এমন একটা ফয়সালা করে দিয়েছি, যা সুস্পষ্ট (৪৮:১)।" 

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2] [3]

পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১২৩) পর:

‘[আল-যুহরীর অব্যাহত বর্ণনা:] “ইসলামের ইতিহাসে ইতিপূর্বে এর চেয়ে বড় কোনো বিজয় অর্জিত হয়নি। যখন লোকেরা একত্রে মিলিত হতো, তখন লড়াই ছাড়া আর কিছুই সংঘটিত হতো না; কিন্তু যখন এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি সম্পন্ন হয় ও যুদ্ধ হয় রহিত এবং জনগণ নিরাপদে একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে একত্রে পরামর্শ করে, কেউই ইসলামে দীক্ষিত না হয়ে এ বিষয়ে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা করে না। (আল-ওয়াকিদি: 'এমন কি মুশরিকদের মধ্যে সাহসীরাও, যারা বহু-ঈশ্বরবাদ ও যুদ্ধ সমর্থন করতেন, এই শান্তি স্থাপনে যোগ দেয় - আমর বিন আল-আস, খালিদ বিন ওয়ালিদ ও তাদের মত অনেকে। সত্যিই সেখানে বাইশ মাস যাবত শান্তি বজায় ছিলযতক্ষণে না তারা চুক্তি ভঙ্গ করে') ঐ দুই বছর সময়ে আগের তুলনায় দ্বিগুণ অথবা দ্বিগুণেরও বেশি লোক ইসলামে দীক্ষিত হয়।  (আল-ওয়াকিদি: 'বেদুইন অঞ্চলের প্রত্যেকটি দিকেই ইসলামের বিস্তার লাভ ঘটে’)।”

ইবনে হিশামের (মৃত্যু ৮৩১ সাল) নোট: [4]

'আল যুহরীর এই বিবৃতির প্রমাণএই যে, আল্লাহর নবী ১৪০০ অনুসারীসঙ্গে নিয়ে হুদাইবিয়া যাত্রা করেছিলেন, যা ছিল জাবির বিন আবদুল্লাহ হইতে বর্ণিত: 'আর তার দুই বছর পর মক্কা বিজয় বছরটিতে তিনি ১০,০০০ অনুসারী সঙ্গে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন।’ 

                    - অনুবাদ, টাইটেল ও [ ] যোগ – লেখক

>>> মুহাম্মদ ইবনে শিহাব আল-যুহরী (পর্ব: ৪৪)ছিলেন মুহাম্মদের মৃত্যু (৬৩২ সাল)-পরবর্তী দ্বিতীয় প্রজন্মের বিশিষ্ট মুহাদ্দিস (মৃত্যু ৭৪২ সাল); একটু মনোযোগের সঙ্গে খেয়াল করলেই বোঝা যায় যে, মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, আল-তাবারী ও আল-ওয়াকিদি তাঁদের নিজ নিজ গ্রন্থে হুদাইবিয়া সন্ধি উপাখ্যানের এই পর্যায়ের আল-যুহরীর উদ্ধৃতি সাপেক্ষে যা উল্লেখ করেছেন, তা হলো, "মুহাম্মদের দাবিকৃত ‘আল ফাতহ (সুস্পষ্ট বিজয়)' এরই প্রতিধ্বনি!" কিন্তু এই তিনজন বিশিষ্ট ঐতিহাসিকদের কেউই এ প্রসঙ্গে তাঁদের নিজস্ব মতামত এখানে লিপিবদ্ধ করেননি। আদি উৎসে আল-যুহরী যা বর্ণনা করেছেন, তাঁর সেই বক্তব্যই তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন।

অন্যদিকে, ইবনে হিশাম যা লিপিবদ্ধ করেছেন, তা হলো তাঁর নিজস্ব মতামত। তিনি আল-যুহরী (ও মুহাম্মদের) দাবি সমর্থন করেন ও কী কারণে তিনি তা সমর্থন করেন, তার ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন, "আল্লাহর নবী ১৪০০ অনুসারী সঙ্গে নিয়ে হুদাইবিয়া যাত্রা করেছিলেন, আর তার দুই বছর পর মক্কা বিজয় অভিযানে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার।"

বাস্তবিকই হুদাইবিয়া সন্ধি প্রসঙ্গের যে কোনো আলোচনায় ইসলাম বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা মুহাম্মদের এই "সুস্পষ্ট বিজয়" প্রমাণ করতে যে-উদ্ধৃতিগুলো সর্বদাই প্রয়োগ করেন, তার অন্যতম হলো মুহাম্মদের নাজিল-কৃত এই ৪৮:১ বাণীটি ও আল-যুহরী ও ইবনে হিশামের উদ্ধৃতির ঐ অংশগুলি। শুধু ইসলাম বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরাই নয়, কিছু অমুসলিম পণ্ডিতও তাঁদের মতই অনুরূপ ধারণা পোষণ করেন ও তার সপক্ষে তাঁরা ইসলাম বিশ্বাসীদের মত একই যুক্তি ও উদ্ধৃতি উত্থাপন করেন!

প্রশ্ন হলো:
সত্যিই কি হুদাইবিয়া সন্ধি মুসলমানদের জন্য এক 'সুস্পষ্ট বিজয়' ছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে মুহাম্মদ তাঁর আগ্রাসী হামলা দুই বছর যাবত স্থগিত রেখেছিলেন? হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর অবিশ্বাসী জনগণ কি সত্যিই নিরাপদে ছিলেন? ঐ দুই বছর সময়ে আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি লোক যে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিলেন, তার কারণটি কি মুহাম্মদের এই চুক্তি স্বাক্ষর? নাকি অবিশ্বাসী জনপদের ওপর মুহাম্মদের অব্যাহত আগ্রাসী আক্রমণ? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর জবাব আমরা জানতে পারি ইসলামে নিবেদিত প্রাণ আদি বিশিষ্ট ঐ একই মুসলিম ঐতিহাসিকদের প্রাণবন্ত বর্ণনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের মাধ্যমে।


হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার পর থেকে (মার্চ, ৬২৮ সাল) মুহাম্মদের মক্কা বিজয় সময় (মার্চ, ৬৩০ সাল) পর্যন্ত, এই দুই বছর সময়ে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা বিস্তীর্ণ জনপদের অবিশ্বাসী জনপদের ওপর কমপক্ষে আঠারটি আগ্রাসী হামলা সম্পন্ন করেন। এই হামলাগুলোর অন্যতম কয়েকটির বিস্তারিত আলোচনা 'হুদাইবিয়া অধ্যায়' পরবর্তী পর্বগুলোতে করা হবে। মুহাম্মদের ঘটনাবহুল নবী-জীবনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজনে আমি এই পর্বের আলোচনা শুধু সেই হামলাগুলোর পরিচিতি ও তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছি। এই হামলাগুলো হলো:

হিজরি ৭ সাল (মে, ৬২৮ সাল – এপ্রিল, ৬২৯ সাল):

১) খায়বার হামলা - মে, ৬২৮ সাল (মহরম, হিজরি ৭ সাল):

হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার মাত্র দেড়-দুই মাস পর মুহাম্মদের নেতৃত্বে এই অমানুষিক নৃশংস আক্রমণটি সংঘটিত হয়, এই আক্রমণের মাধ্যমে মুহাম্মদ তাঁর সঙ্গে হুদাইবিয়া যাত্রায় অংশগ্রহণকারী ও আল-রিযওয়ানের শপথ গ্রহণকারী অনুসারীদের দেয়া 'লুটের মালের ওয়াদা পূরণ করেন (পর্ব-১১৭ ও ১২৩)'। এই হামলায় শুধু তাঁরাই অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান, যারা তাঁর সঙ্গে হুদাইবিয়া যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মুহাম্মদের চাচাতো ভাই জাফর বিন আবু তালিব (আলীর ভাই); জাফর আবিসিনিয়া (ইথিওপিয়া) থেকে ফিরে এসে খায়বারে মুহাম্মদের সাথে মিলিত হন। মুহাম্মদের আদেশে তাঁর অনুসারীরা এই নিরপরাধ ইহুদি জনপদের ওপর অতর্কিত আক্রমণে বহু লোককে করেন খুন, তাঁদেরকে বন্দী করে করেন দাস ও যৌনদাসীতে রূপান্তরিত ও যথারীতি তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি লুণ্ঠন। এই যৌনদাসীদের একজন ছিলেন সাফিয়া বিনতে হুয়েই বিন আখতাব, যার পিতা হুয়েই বিন আখতাব-কে বনি কুরাইজা গণহত্যার দিনটিতে হত্যা করা হয়েছিল (পর্ব: ৯১-৯২)

সাফিয়া ছিলেন ১৭ বছর বয়সী অসামান্য সুন্দরী এক কিশোরী। তিনি ছিলেন কিনানা বিন আল-রাবি বিন আল-হুকায়েক নামক এক ব্যক্তির পত্নী। মুহাম্মদের আদেশে যুবায়ের বিন আল-আওয়াম (al-Zubayr b. al-'Awwam) নামের এক অনুসারী সাফিয়ার স্বামী কেনানা-কে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনে জর্জরিত করে! কারণ তিনি তাঁর কাছে গচ্ছিত তাঁর গোত্রের লোকজনদের সম্পদ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। এক উত্তপ্ত লোহার রড তাঁর বুকে চেপে ধরে তাঁকে প্রায় মৃতবৎ অবস্থায় পৌঁছে দেয়ার পর তাঁকে হস্তান্তর করা হয় মুহাম্মদ বিন মাসলামা নামের আর এক মুহাম্মদ অনুসারীর কাছে। মুহাম্মদের আদেশে মুহাম্মদ বিন মাসলামা তাঁর কল্লা কেটে ফেলে! এই সেই মুহাম্মদ বিন মাসলামা, যাকে মুহাম্মদ প্রতারণার আশ্রয়ে কাব বিন আল-আশরাফ কে খুন করার অনুমতি দিয়েছিলেন (পর্ব-৪৮)।

মাত্র চৌদ্দ মাস আগে (মার্চ, ৬২৭ সাল) পিতাকে খুন ও এই ঘটনায় স্বামী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের খুন, বন্দী ও তাঁদের সম্পত্তি লুটের পর ঐ রাত্রিতেই মুহাম্মদ কিশোরী সাফিয়া-কে বিবাহ করে "বাসর রাত"উদযাপন করেন। তালাক প্রাপ্তা কোনো স্ত্রী কিংবা মৃত স্বামীর কোনো বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করার আগে সেই স্ত্রী-কে "আল্লাহর বিধান (২:২২৮, ২:২৩৪)” অনুযায়ী তিন হায়েয (Menstrual cycle) অথবা চার মাস দশ দিন পরিমাণ সময় দিয়ে তাঁর ইদ্দত পূর্ণ করার অত্যাবশ্যকীয় বিধানটি পালন না করেই মুহাম্মদ সাফিয়াকে বিবাহ করে বাসর রাতের সঙ্গী করেছিলেন।

২) 'ফাদাক' হামলার হুমকি!

ফাদাক ছিল মদিনার উত্তরে, খায়বারের (মদিনা থেকে ৯৫ মাইল) সন্নিকটে একটি গ্রাম। মুহাম্মদের আদেশে তাঁর অনুসারীরা এই ইহুদি জনপদবাসীদের ওপর "খায়বারের মত তাঁদেরকেও আক্রমণ করা হবে" বলে হুমকি প্রদান করেন। ফাদাকের ভীত-সন্ত্রস্ত জনপদবাসী বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করেন। যেহেতু তা বিনা যুদ্ধেই হস্তগত হয়েছে (“Fai”), তাই 'ফাদাক-এর সমস্ত সম্পদ' মুহাম্মদ একাই হস্তগত করেন (পর্ব: ২৮ ও ৫২)।  হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির আগে আলী ইবনে আবু তালিব ও ফাদাক আক্রমণ করেছিলেন, যার আলোচনা 'হুদাইবিয়া সন্ধি পূর্ববর্তী সাত মাস (পর্ব: ১০৯)'পর্বে করা হয়েছে। [6]

৩) উমর ইবনে খাত্তাবের নেতৃত্বে তুরাবা (Turaba) হামলা:
- উমরের সঙ্গে ছিল ৩০ জন মুহাম্মদ অনুসারী। তুরাবার লোকেরা হামলার খবর জানতে পেরে পালিয়ে যায়। [7]

৪) আবু বকর বিন কুহাফার নেতৃত্বে নাজাদ আক্রমণ:
- সেটি ছিল শাবান মাস (ডিসেম্বর, ৬২৮ সাল)। এই হামলায় তাঁরা বহু লোককে হত্যা করেন ও তাঁদের এই হামলার সংকেত (code) শব্দটি ছিল, "হত্যা কর! হত্যা কর!" [8]

৫) বশির বিন সা'দের (Bashir b Sad) নেতৃত্বে ফাদাকে বানু মুরাহ (Murah) আক্রমণ:
- ঐ একই শাবান মাসে, সঙ্গে ছিল ৩০ জন মুহাম্মদ অনুসারী। এই হামলায় মুহাম্মদ অনুসারীরা হন খুন (অথবা আহত), বাশির বিন সা'দ আহত অবস্থায় মদিনায় ফিরে আসেন। [9]

৬) গালিব বিন আবদুল্লাহর (Ghalib b Abdullah) নেতৃত্বে বানু আল-মুরাহ আক্রমণ: [10]

৭) গালিব বিন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে আল-মেফায় (al-Mayfa) আবদ বিন থালাবা আক্রমণ: - সময়টি ছিল রমজান মাস (যার শুরু হয়েছিল জানুয়ারি ২, ৬২৯ সাল)। [11]

৮)  বশির বিন সা'দ এর অধীনে য়ুমুন (Yumn) ও আল-জিনাব আক্রমণ:
-  সময়টি ছিল শওয়াল মাস, হিজরি ৭ সাল। [12]

৯) ইবনে আবি আল-আওজা আল-সুলামির (Ibn Abi al-Awja al Sulami) অধীনে বানু সুলায়েম (Sulaym) হামলা:
- ইবনে আবি আল-আওজা আল-সুলামির সঙ্গে ছিল ৫০জন মুহাম্মদ অনুসারী; সময়টি ছিল জিলহয মাস, হিজরি ৭ সাল। হুদাইবিয়া সন্ধির পর প্রথম হজে অংশগ্রহণ শেষে মদিনায় ফিরে এসে মুহাম্মদ এই হামলাকারী দলটি পাঠান। [13]

হিজরি ৮ সাল (মে, ৬২৯ সাল – এপ্রিল, ৬৩০ সাল):

১০) বানু মুলায়িহ (Banu al-Mulawwih) গোত্রের ওপর আল-কাদিদ (al-Kadid) হামলা:
- এই হামলাটির নেতৃত্বে ছিলেন গালিব বিন আবদুল্লাহ আল কালবি (Ghalib b Abdullah al-Kalbi) ও তাঁর সঙ্গে ছিল ১৩-১৯ জন মুহাম্মদ অনুসারী। সময়টি ছিল সফর মাস, হিজরি ৮ সাল (যার শুরু হয়েছিল মে ৩১,৬২৯ সাল)। এই হামলাটির সিংহনাদ (battle cry) ছিল, "হত্যা কর! হত্যা কর!" [14]

১১) আল-আলা বিন আল-হাদরামির (Al-Ala b al-Hadrami) এর অধীনে আল মুনধির বিন সাওয়া আল-আবদি (al-Mundhir b Sawa al Abdi) ও তাঁর গোত্রের লোকদের ওপর হামলা: 
- আল মুনধির বিন সাওয়া আল-আবদি মুহাম্মদ-কে 'জিযিয়া কর' প্রদানের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে পরিত্রাণ পান। [15]

১২) শুজা বিন ওয়াহাব (Shuja b Wahb) এর অধীনে বানু আমির গোত্রের ওপর হামলা:
 - শুজা বিন ওয়াহাবের সঙ্গে ছিল ২৪ জন মুহাম্মদ অনুসারী, সময়টি ছিল রবিউল আওয়াল মাস (যার শুরু হয়েছিল জুন ২৯, ৬২৯ সাল)। লুটের মালের অংশ হিসাবে মুহাম্মদের প্রত্যেক অনুসারী পেয়েছিলেন ১৫টি উট। [16]

১৩) কাব বিন উমায়ের আল-গিফারি (Ka’b b Umayr al Ghifari) এর অধীনে ধাত আতলাহ (Dhat Atlah) আক্রমণ:
- কাব বিন উমায়ের আল-গিফারির সঙ্গে ছিল ১৫জন মুহাম্মদ অনুসারী। এই হামলায় মুহাম্মদ অনুসারীরা সুবিধা করতে পারেনি, একজন ছাড়া তাঁর সকল অনুসারী নিহত হন। [17]

১৪) মুতার হামলা (The raid of Muta):
- প্রায় তিন হাজার মুহাম্মদ অনুসারী এই হামলায় অংশ গ্রহণ করেন; সময়টি ছিল জুমাদিউল আওয়াল মাস, হিজরি ৮ সাল। এই হামলায় মুহাম্মদের পালিত পুত্র যায়েদ বিন হারিথা, চাচাতো ভাই জাফর বিন আবু তালিব ও আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা ('Abdullah b.Rawaha) নামের এক বিশিষ্ট মুহাম্মদ অনুসারী নিহত হন। [18]

১৫) ধাত আল-সালাসিল (Dhat al-Salasil) হামলা:
- নেতৃত্বে ছিলেন মুহাম্মদের জামাতা আমর বিন আল-আস। আমর বিন আল-আস কী পরিস্থিতিতে মুসলমান হয়েছিলেন তার আলোচনা পর্ব: ৪০ ও ১০৯-এ করা হয়েছে। [19]

১৬) আল-খাবাত (al-Khabat) হামলা:
- নেতৃত্বে ছিলেন আবু উবায়েদা, তাঁর সঙ্গে ছিল ৩০০জন মুহাম্মদ অনুসারী। সময়টি ছিল রজব মাস, হিজরি ৮ সাল (যার শুরু হয়েছিল অক্টোবর ২৫, ৬২৯ সাল)। [20]

১৭) খাদিরা (Khadira) আক্রমণ:
- নেতৃত্বে ছিলেন আবু কাতাদা, সময়টি ছিল শাবান মাস, হিজরি ৮ সাল (যার শুরু হয়েছিল নভেম্বর ২৪, ৬২৯ সাল)। [21]

১৮) মক্কা আক্রমণ (Raid of al-Fath /conquest of Mecca):
- কুরাইশদের সাথে 'হুদাইবিয়ায়' দশ বছরের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করার পর দুই বছরের মধ্যে বিনা নোটিশে মুহাম্মদের মক্কা আক্রমণ করেন। অজুহাত? বরাবরের মতই (পর্ব: ১২১)! এ বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা 'মক্কা বিজয়' অধ্যায়ে করা হবে। [22]

এই আঠারটি হামলা ছাড়াও মক্কা থেকে পালিয়ে আসা আবু বসির (Abu Basir) নামের মুহাম্মদের আর এক অনুসারীর নেতৃত্বে কুরাইশ বাণিজ্য বহরের ওপর হামলা, তাঁদেরকে খুন ও তাঁদের যাবতীয় মালামাল লুণ্ঠন ছিল পুরাদমে অব্যাহত।

>>> আদি উৎসের ওপরে উল্লেখিত ঘটনা প্রবাহের বর্ণনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে আমরা যে-সত্য জানতে পাই, তা হলো:

১) হুদাইবিয়া সন্ধি স্বাক্ষরের কারণেই মুহাম্মদ "সুস্পষ্ট বিজয়" অর্জন করেছিলেন, এই দাবির কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।যদি তাইই হতো, তবে 'সুস্পষ্ট বিজয়'-এর পর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের এই বিশাল সংখ্যক আগ্রাসী হামলায় জড়িত হতে হতো না। 

২) হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর অবিশ্বাসী জনগণ মুহাম্মদের আগ্রাসী আক্রমণের করাল গ্রাস থেকে নিরাপদে ছিলেন, এমন দাবি একেবারেই মিথ্যা। 

৩) যে-কারণে হুদাইবিয়া সন্ধি সময় থেকে মক্কা বিজয় সময় পর্যন্ত দুই বছর সময়ে আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি লোক ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিলেন, তা হলো অবিশ্বাসী জনপদের উপর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের অমানুষিক আগ্রাসী কর্মকাণ্ড! তাঁদের নৃশংসতার হাত থেকে অবিশ্বাসী জনপদবাসী যে-মূল্যে নিরাপত্তা পেতেন, তা হলো, "মুহাম্মদের বশ্যতা স্বীকার করে তাঁকে নবী হিসাবে মেনে নেয়া, অথবা অবনত মস্তকে করজোড়ে 'জিজিয়া কর' প্রদান করা।"

৪) মুহাম্মদের সাফল্যের চাবিকাঠি হলো অবিশ্বাসী জনপদের ওপর তাঁর অমানুষিক নৃশংসতা ও সন্ত্রাস, যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন বলে ইমাম বুখারী তাঁর হাদিস গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন (পর্ব: ৫২) 

(চলবে)

[কুরানের উদ্ধৃতি সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হারাম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা  থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট ইংরেজি অনুবাদকারীর ও চৌত্রিশ-টি বিভিন্ন ভাষায় পাশাপাশি অনুবাদ এখানে]

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৫০৭ http://www.justislam.co.uk/images/Ibn%20Ishaq%20-%20Sirat%20Rasul%20Allah.pdf

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৫১

[3] অনুরূপ বর্ণনা (Parallel): “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬২৪ http://www.britannica.com/biography/al-Waqidi
ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩০৭

[4] Ibid “সিরাত রসুল আল্লাহ”- ইবনে হিশামের নোট নম্বর ৭৫৪, পৃষ্ঠা ৭৬৯

[5] খায়বার হামলা (যুদ্ধ): Ibid সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক - পৃষ্ঠা ৫১০-৫৩৩; Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৭৬-১৫৯১; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬৩৩-৭২২, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩১১-৩৫৫

[6] Ibid সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক - পৃষ্ঠা ৫২৩; Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৮৩; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭০৬, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৪৭

[7] Ibid Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯২; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭২২, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৫৫

[8] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯২; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭২২, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৫৫

[9] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯২-১৫৯৩; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭২৩-৭২৬, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৫৫-৩৫৭

[10] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯৩

[11] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯৩; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭২৬-৭২৭, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৫৭-৩৫৮

[12] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯৩; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭২৭-৭৩১, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৫৮-৩৬০

[13] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯৭; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৪১, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৬৫

[14] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৯৮-১৬০১; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৫০-৭৫২, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৬৯-৩৭০

[15] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৬০১;

[16] Ibid আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৬০১; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৫৩-৭৫৪, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৭১

[17]Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৬০১; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৫২-৭৫৩, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৭০

[18] মুতার হামলা (যুদ্ধ):  Ibid সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক - পৃষ্ঠা ৫৩১-৫৪০; Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৬১১-১৬১৯; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৫৫-৭৬৯, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৭২-৩৭৮

[19]Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৬০৫; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৭৪, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৭৮-৩৭৯

[20] Ibid সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক - পৃষ্ঠা ৬৭৩; Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৬০৬; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৭৭ ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৮১-৩৮২

[21] Ibid সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক - পৃষ্ঠা ৬৭১-৬৭২; Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৬০৮; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৭৭-৭৮০ ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৮২-৩৮৪

[22] 'মক্কা বিজয়': Ibid সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক - পৃষ্ঠা ৫৪০-৫৬১; Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৬১৯-১৬৪৮; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৭৮০-৮৭৫, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩৮৪-৪২৮

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন