আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১৬

ইসলামে নারী অধিকারের জোয়ার - ৪

লিখেছেন জিওর্দানো ব্রুনো


মাছির মিষ্টির প্রতি প্রেম আমাদের সবার জানা। মিষ্টি কেন, যে কোনো খাদ্য-খাবার খোলা ফেলে রাখলে তাতে মাছি হানা দেয় এবং এতে মাছির প্রতি রাগ হয়ে তাকে চ্যাপ্টা বানায়ে ফেলার যৌক্তিকতা নেই। কারণ “মাছির কাজ মাছি করেছে”, আপনার কাজ আপনি করেন, খাবার ঢেকে রাখেন তাহলে মাছি বসবে না।

ইসলামে নারী নামক সুমিষ্ট খাবারকে মাছির হাত থেকে রক্ষার জন্য পর্দাপ্রথার প্রচলন করা হয়েছে, যা নারীকে দিয়েছে সুমহান মর্যাদা। নারী কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, তা নবীজির জীবনী আর হাদিস পড়লেই জানা যায়। নারী ছিল নবীর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমনকি তিনি যুদ্ধে যাওয়ার সময়ও তার একজন বা দুজন স্ত্রীকে সাথে করে নিয়ে যেতেন। নবীজি বলেছেন “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত”, ভাবখানা এমন যেন, এটা না বললে কোনো মুমিন বান্দা মাকে সম্মান দেবে না। তাই বেহেশত নামক মূলা এখানেও দেখানো হয়েছে। সব ধর্মেই মায়ের আলাদা মর্যাদা আছে, সুতরাং ইসলাম এখানে আলাদা কোনো কৃতিত্ব দাবি করতে পারে না।

যা বলছিলাম। মাছি যদি খোলা খাবার খায়, তাহলে সেখানে মাছির কোনো দোষ নেই, দোষ - যে খাবার ঢেকে রাখেনি, তার। সুতরাং ভিড়ের মধ্যে কোনো নারীর শরীরে হাতসাফাই করলে দোষের কিছু নেই। আমাদের মুমিন বান্দারা এটা হর হামেশাই করছেন। বাংলা নববর্ষে আমাদের দেশেই ঘটেছে এমন ঘটনা। আরও দেখুন মিসরে প্রকাশ্য দিবালোকে 'আল্যাহু আকবার' ধ্বনি সহযোগে নারীকে মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। আর মিষ্টির হাড়ি খোলা থাকলে সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি বসবেই। মাছি-আক্রান্ত সেই 'মিষ্টি''-র জবানবন্দি শুনুন।। 

নারীরা আসলে ইসলামের চোখে কী, তা হাদিস-কোরানের আলোকেই লিখেছি, কেউ কেউ আমাকে "জাল হাদিস লেখক" উপাধি দিয়েছেন, কিন্তু সে পর্যন্তই, প্রমাণ করতে পারেননি। এখানে আরেকটি জাল পুস্তকের জাল হাদিস দিলাম:
আয়শা হ’তে বর্ণিত: যে সব বস্তু নামাজকে নষ্ট করে তারা হলো - কুকুর, গাধা ও নারী। আমি বললাম - আপনি আমাদেরকে (নারী) কুকুর ও গাধাদের সাথে তুলনা করলেন, হায় আল্লাহ! (সহি বুখারি, খণ্ড ১, বই ৯, হাদিস ৪৯৩)
যে শরিয়া আইন মুমিন বান্দারা পৃথিবীব্যাপী কায়েম করতে চায়, সেখান থেকে কয়েকটি আইন পড়ে নিন এই লিংক থেকে। দেখুন, নারীকে কতোটা অধিকার ভারগ্রস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া কোরানে স্ত্রীর সম্পত্তির ওপর অধিকারের ব্যাপারে যে-আয়াতটি আছে, সেটা বুদ্ধিতে খাটো নারীরা কীভাবে বুঝবেন, সেটা আমার জানা নেই, তারপরেও যারা এটা বুঝেছেন, আর এতেই খুশি আছেন, তাদের আমার বলার কিছু নেই।

নিচের অংশটুকু একজনের লেখা থেকে কপি করা। তিনি আমার মনের কথাই বলেছেন কিন্তু বর্ণনা করেছেন আমার চাইতেও অনেক দক্ষভাবে, তাই তার লেখা এখানে হুবহু দিলাম:
লেখাটা শেষ করছি একটা তথ্য দিয়ে। এসব বিষয়ে তর্কের সময় ইসলামপন্থীদের অনেকই দাবি করেন, ইসলাম তো নারীকে কিছুটা হলেও পিতার সম্পত্তিতে ভাগ দিয়েছে, অন্য ধর্ম তো তাও দেয়নি। তাদের জন্য জবাব হচ্ছে, ইসলাম-পূর্ব যুগে নারীর সম্পত্তির অধিকার কতটুকু ছিল, তার প্রমাণ হযরত খাদিজা। কারণ খাদিজা তার স্বামীর মৃত্যুর পর সমস্ত সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন! এর মানে হচ্ছে, সেই আরবে পৌত্তলিক ধর্মে নারীর সম্পত্তির অধিকার, স্বাধীন জীবনযাপন (খাদিজা স্বামী মারা যাবার পর একা থাকতেন) করতে পারতেন, নিজে পছন্দ করে বিয়ে করতে পারতেন (খাদিজা মুহাম্মদকে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন); বরং ইসলাম আসার পর ইসলাম-পূর্ব যুগের নারীর অধিকার ইসলাম সবটাই হরণ করে নেয়।
মুসলিম দেশগুলোতে মর্যাদার সাগরে ভেসে যাওয়া নারীরা তীরে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, কিন্তু তীরে ওঠার সে অধিকার কি তাদের আছে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন