আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১৬

কোরআন থেকে কোরআন: কেয়ামত হচ্ছে না কেন?

লিখেছেন সাঈদুর রহমান

মক্কা-মদিনায় ইসলাম প্রচারের সময় মুহাম্মদ যে-কয়েকটা বিষয় সেখানকার অদিবাসীদের জোর গলায় বলে বেড়াতেন, কেয়ামত দিবস (কোরআন ২২:৭) হল তার একটি। কেয়ামতের বর্ণনায় যে কয়েকটি ঘটনা আল-কোরআনে বলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হল সেদিন আকাশ ভেঙে পড়বে (কোরআন ৮২:১), তারাগুলো তাদের আলো হারিয়ে (কোরআন ৭৭:৮) আকাশ থেকে খসে পড়বে (কোরআন ৮২:২) এবং সর্বোপরি বলা হয়েছে সেদিন এই পৃথিবী এবং আকাশমণ্ডলী সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবীতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে (কোরআন ১৪:৪৮)। 

কিন্তু কেয়ামতের এমন ভয়াবহতা শুনিয়ে মুহাম্মদের আল্লাভীতি অর্জনের সকল চেষ্টাকেই নিষ্ফল করে দিত মক্কাবাসীরা (কোরআন ৩৪:৩); কেয়ামতকে একটা অবিসম্ভাবী দিন বলে জোর গলায় প্রচার করে গেলেও মুহাম্মদের প্রচারিত অন্যান্য বিষয়গুলোর মত এই কেয়ামত দিবসকেও অবিশ্বাস করত তারা (কোরআন ৪০:৫৯, কোরআন ১৫:৮৫)। 

এই কেয়ামতটা ঠিক কখন হবে, সেটা অবশ্য মুহাম্মদ নিজেও জানত না। কারণ ছিল - কেয়ামত কখন হবে, সেটার জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছে ছিল (কোরআন ৩৩:৬৩, কোরআন ৪১:৪৭, কোরআন ৪৩: ৮৫, কোরআন ৭৯:৪৪)।... আসুন কিছু পেছনে যাই। কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলা হয়েছে প্রত্যেক জাতীর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে (কোরআন ৭:৩৪, কোরআন ১০:৪৯, কোরআন ৪৬:৩); এই সময়টা অতিক্রম হলেই কেয়ামতের মত মহাপ্রলয় দিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ধবংস করে দেয়া হয়। মুহাম্মদের আগে মহাপ্রলয় দিয়ে আল্লাহ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ধবংসও করে দিয়েছিলেন (কোরআন ৭:৪); উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় লূতের (কোরআন ১৫:৭৪) এবং হিজর সম্প্রদায় (কোরআন ১৫:৮৩) কথা। (নূহ এবং অন্যান্য নবীর সম্প্রদায়কে ধবংসের কাহিনী জানতে কোরআন ২৬:১০৫-১৮৯ পড়ে নিতে পারেন। ) 

গল্পগুলো থেকে যে-বিষয়টা নজরে আনার মত, সেটি হল, যেসব নবীর সম্প্রদায়কে মহাপ্রলয়ের মাধ্যমে ধবংস করা হয়েছিল, সেই প্রলয়গুলো ঘটেছিল সেসব নবীর বেঁচে থাকাকালীন। আমার লেখাটির মূল প্রশ্নটি এখানেই। অন্যান্য নবীর জীবদ্দশায় মহাপ্রলয়গুলো হয়ে থাকলে মুহাম্মদের সময় কেয়ামতটা হল না কেন? আসুন, সামান্য গভীরে যাওয়া যাক। প্রথমে যে আয়াতটি লক্ষ্য করার মত, সেটি হল - কোরআন ৭:১৮৫ - "তাহারা কি লক্ষ্য করে না যে .... সম্ভবত তাদের নির্ধারিত কাল নিকটবর্তী।"

এখানে যা বোঝা যাচ্ছে, মুহাম্মদ কাফিরদের বলছিলেন যে, তাদের নির্ধারিত সময় এসে গেছে এবং খুব শিঘ্রই কেয়ামত হয়ে যাবে। একই কথা বলা হয়েছে কোরআন ৩৩:৬৩-তে ... "সম্ভবত কেয়ামত শীঘ্রই হয়ে যেতে পারে।" এখানে হয়ত কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, কেয়ামত মুহাম্মদের সময়েই আসবে, এমন কিছু কি বলা হয়েছে? এর উত্তর: জ্বী হ্যাঁ। 

কেয়ামত কাদের ওপর আসবে, তা খুব সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে কোরআন ৭:১৮৭ আয়াতটিতে... "তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করে কেয়ামত কখন ঘটবে। বল,... আকস্মিকভাবেই উহা *তোমাদের* উপর পড়িবে।" একই কথা বলা হয়েছে কোরআন ৩৪:৩-এ... "বল, আসিবেই। শপথ আমার প্রতিপালকের: নিশ্চয়ই *তোমাদের নিকট* ইহা আসিবে।" কেয়ামতটা যে তৎকালীন মক্কাবাসীর ওপরেই আসার কথা ছিল, তা ওপরের দু'টি আয়াতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এটাকে অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই।

কেয়ামত নিয়ে সবচেয়ে নজর কাড়ার মত যে-আয়াতটি কোরআনে বলা হয়েছে, সেটি হল কোরআন ৫৪:১ - "কেয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে আর চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছে।" অন্য একটি আয়াতে (কোরআন ৪৭:১৮) বলা হয়েছে, কেয়ামতের লক্ষণগুলো এসে পড়েছিল। এ দুটি আয়াত থেকে এটাও স্পষ্ট যে, কেয়ামতের লক্ষণও সে সময় প্রকাশ পেয়েছিল।

ওপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে এবার কয়েকটা প্রশ্ন তুলে ধরছি: ১) মুহাম্মদ যখন খুব নির্দিষ্ট করেই বলছিলেন যে, তৎকালীন কাফিরদের ওপর কেয়ামত আসবে, তাহলে কেয়ামতটা তাদের ওপর তার সময়কালেই হল না কেন? মহাপ্রলয় তো অন্যান্য নবীদের জীবদ্দশাতেই হয়েছিল!২) কেয়ামতের সকল লক্ষণ মুহাম্মদের সময়েই এসে পড়লেও ঠিক কী কারণে আজ অবধি কেয়ামত সংঘটিত হল না? এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা কী? ৩) মুহাম্মদ কি তাহলে মক্কাবাসীদের মিথ্যা কথা বলে বেড়াতেন? ৪) নাকি পুরো কেয়ামতটাই একটা মনগড়া বিষয়? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন