আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬

নবীর জীবনী পাঠ কেন গুরুত্বপূর্ণ

লিখেছেন শুভ্র আহমেদ

মুহম্মদকে নবী মানি না, সেটা কোনো ইগো বা জিদের বশে নয়। সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ার জন্য। একজন মুসলিম কি গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নবী মানবে? মানবে না। তার কাছে গোলাম আহমদ হল প্রতারক, মিথ্যুক। মিথ্যা দাবিদার। ঠিক তেমনি আমি বিশ্বাস করি, মুহম্মদ সত্যি সত্যি নবী ছিলেন না। প্রথমদিকে অসুস্থতাবশত, তারপর ইগো-বশত নিজেকে নবী দাবি জারি রাখেন। গোলাম আহমদ যেমন নবি নয় তেমনি নবি নয় মুহম্মদও। 

মুহম্মদ কিশোর বয়সে একবার তার চাচার সাথে সিরিয়া যান। সিরিয়ার লোকদের আভিজাত্য দেখে নিজের দেশের লোকদের জীবনচরিতের সাথে মিলিয়ে দুঃখিত হন। ভাবতে থাকেন, কীভাবে ওদের মত অভিজাত হওয়া যায়। সিরিয়া থেকে ফিরে মুহম্মদ সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে 'হিলফুল ফুজুল' নামক সংগঠন তৈরি করেন বলে তাঁর জীবনীতে পাওয়া যায়। বোঝাই যায় যে, তাঁর টিনেজ বয়সের আন্দোলন সফল হয়নি। হলে সেটা ইতিহাসে থাকত।

আমরা দেখি যে, মুহম্মদ ২৫ বছর বয়স থেকেই হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ১৫ বছর লম্বা সময়। এই সময়ের মধ্যে ধীরে ধীরে তাঁর মনোবিকার ঘটার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। চল্লিশ বছর বয়সে হেরা গুহায় তিনি জিব্রাইলের দেখা পান। পুরোটাই ছিল উত্তপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা। বিজ্ঞান এই রোগকে বলে সিজোফ্রেনিয়া। এই রোগের রোগীরা অদ্ভুত সব জিনিস দেখে, অদ্ভুত সব জিনিস শোনে। মুহম্মদের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়।

প্রথমদিকে তার এই রোগ মুহম্মদ ধরতে পারেননি। এক সময় তিনি তাঁর সমস্যা ধরতে পারেন। যখন পারেন, তখন আর তাঁর ফেরার পথ নেই। ইগোজনিত কারণে তিনি নবী দাবি থেকে সরে আসেননি। হঠাৎ করে যখন মুহম্মদ বুঝতে পারেন, সারাজীবন সৎ থেকেও কী ভয়ানক প্রতারিত হয়েছেন নিজের কাছে, তখনই মুহম্মদ ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন। তার ফলাফল তার মাদানি জীবনে আমরা দেখতে পাই।

মুহম্মদ মদিনায় থিতু হবার পরপরই চার-চারটা অভিজান করেন কুরাইশ কাফেলা লুটের জন্য। একটি ছাড়া বাকি সবটাতেই তাঁর অভিজান ব্যর্থ হয়। কুরাইশরা বিরক্ত হয়ে সেনাবাহিনী নিয়ে আসে। মূলত বদর যুদ্ধ ছিল মুহম্মদের চার-চারবার কাফেলা লুটের চেষ্টার প্রতিশোধ। মুসলিম সৈন্যসামন্ত কম থাকায় কুরাইশরা হেলাফেলা করে যুদ্ধে করে এবং শোচনীয় পরাজয় বরণ করে।

বদর যুদ্ধ ছাড়াও মুহম্মদের জীবনের অনেকগুলা যুদ্ধেই দেখা যায় মুহম্মদ আগ বাড়িয়ে হামলা করেছেন। এর মাঝে বনু কুরাইজার ৮০০ পুরুষ হত্যাসহ তাদের নারী ও শিশুদের দাস বানানোর নির্মমতা মুসলিম স্কলারদের ঘোর অস্বস্তিতে ভোগায়।

মুহম্মদের যৌনজীবনও নবীসুলভ নয়। একজন নবীর কেন এতজন স্ত্রী থাকতে হবে? আশ্রয় দেয়ার অজুহাত তো দুর্বল। বরং বিয়ে করে আশ্রয় দেয়াটা একটা কুৎসিত প্রক্রিয়া। আশ্রয় দেয়ার জন্য আশ্রম বানাতে পারতেন। অনেক অসহায় সাহাবিদের সাথেও বিয়ে দিতে পারতেন। এসব প্রশ্নের উত্তর কখনো পাওয়া যায় না। নবী রায়হানাকে নবী কীভাবে বিয়ে করেছিলেন কিংবা নবীর স্ত্রী জয়নবের সাথে বিয়ের ঘটনা কীরকম ছিল, তা পড়লে স্তম্ভিত হতে হয়। যে কেউ ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে মানতে বাধ্য যে, এসব কোনো নবীর আচরণ নয়। কোনো নবী এমন হতে পারেন না।

মুহম্মদের যে-জীবনী আমরা পাই, তা সবই মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই লেখা। তাঁরা তা লিখে গেছেন নির্দ্বিধায়। কারণ তারা ভেবেছিলেন, নবী যা করেছেন তা আল্লাহর হুকুম ছিল। তাই এইসব নির্মম জিনিস তারা নির্মোহভাবে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। সব মুসলিমের উচিত তাঁর জীবনীগুলো পড়া। সীরাতের বিখ্যাত সব গ্রন্থ গুগল করলেই পাওয়ার কথা। নিজেরা একটু পড়াশুনা করে মাথা খাটালেই সত্যিটা বুঝতে পারবেন। 

যারা নাস্তিক হয়, তারা এসব পড়ে, জেনে মিলিয়ে দেখেই নাস্তিক হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন