আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মডারেটদের দৃষ্টিতে "নিরীহ" কারা

লিখেছেন সাঈদুর রহমান

প্রিয় মডারেটগণ, ইসলাম "নিরীহ" মানুষ হত্যা সমর্থন করে না, এই লেবুখানা আর কত কচলাইবেন? আপনাদের চোখে "নিরীহ " মানেটা কী?
✔ অপ্রাপ্তবয়স্ক?
✔ প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু নিরস্ত্র?

প্রথমটা না হয় বাদই দিলাম। দ্বিতীয়টা নিয়ে আলোচনা করি, আসুন। এখানে দু'টি বিষয় আছে।
✔ প্রাপ্তবয়স্ক।
✔ নিরস্ত্র।

প্রাপ্ত বয়ষ্ককে আবার দু'টি ভাগে বিভক্ত করি।
✔ মুসলিম প্রাপ্তবয়স্ক।
✔ অমুসলিম প্রাপ্তবয়স্ক।

এবার একটি উদাহরণ দেয়া যাক। কিছুদিন আগে গুলশানের হোলি আর্টিসানে অতর্কিত হামলাটির প্রেক্ষিতে আসুন আপনাদের দাবিটুকু খতিয়ে দেখি। প্রথমেই আপনাদের জন্য সুখবর হল - জঙ্গিরা সেদিন কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চাদের সাথে কিছু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে নিরাপদে ছেড়ে দিয়েছিল, মনে আছে? কারণটাও নিশ্চয়ই মনে আছে?... জ্বী হাঁ, তারা কোরান থেকে সূরা বলতে সক্ষম হয়েছিল। এবং তারা নিরস্ত্রও ছিল। সুতরাং ইসলাম নিরীহ মানুষ হত্যা সমর্থন করে না বলে যে লেবু আপনারা প্রতিনিয়ত কচলান, তা জঙ্গিরাও প্রমাণ করে দিয়েছে। তবে তিনটি শর্ত রেখে: ১. প্রাপ্তবয়স্ক, ২. প্র্যাক্টিসিং মুসলিম এবং ৩. আগের দুটি সহ নিরস্ত্র। এই তিনটি শর্ত থাকলেই জঙ্গিদের চোখে তারা নিরীহ।

এবার আসুন পরের অংশটিতে: প্রাপ্তবয়স্ক অমুসলিম। অমুসলিম বলতে আমি বুঝিয়েছি ইসলাম ছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের এবং নাস্তিকদের। এদেরকেও আসুন দুটি ভাগে ভাগ করি:
✔ যারা সারাদিন নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন।
✔ যারা সারাদিন ইসলাম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন (ব্লগ বা এ জাতীয় লেখা লেখেন)।

প্রিয় মডারেটগণ, আপনারা নিশ্চয়ই কোনোদিন কোরান খুলে পড়েননি। পড়লেও বাংলা অর্থ জানা নেই। তাই আপনাদের সুবিধার্থে কিছু কথা কোরান থেকে তুলে ধরি।

বিধর্মী যে কেউ, সে ইসলাম নিয়ে লিখুক বা না লিখুক, মুখে কিছু বলুক বা না বলুক, তারা ১. আল্লার কাছে তারা নিকৃষ্ট জীব (কোরান ৮:৫৫); ২. তাদের সাথে বন্ধুত্ব হারাম (কোরান ৪:১৪৪; কোরান ৫:৫১), ৩. কাফির অবস্থায় মারা গেলেও তাদের উপর আল্লার ধিক্কার (কোরান ২:১৬১)।

আপনাদের কাছে প্রথম প্রশ্ন: হোলি আর্টিসানের নিহত মানুষগুলো বেশিরভাগই বিদেশী ছিলেন। অনুমান করা যায়, তারা বিধর্মী ছিলেন। সুতরাং কোরান মতে, তারা নিকৃষ্ট জীব ছিল। তাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণের কোনো প্রয়োজন নেই। তারা মরে গিয়েও আল্লার ধিক্কার পেয়েছে। এমতাবস্থায় তাদের আপনারা "নিরীহ" বলে গণ্য করেন?

অপরদিকে, যারা সারাদিন ইসলাম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, ব্লগ লেখেন, আপনাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেন, তাদের কেউ যদি "নিরস্ত্র" অবস্থায় সেদিন হোলি আর্টিসানে থাকতেন, তাহলে তাদের হত্যা করা হলে আপনারা কি তাদের "নিরীহ" আখ্যায়িত করতেন?

যদি প্রথম প্রশ্নটিতে "হ্যাঁ" উত্তর দেন এবং বলেন তারা বিধর্মী হলেও "নিরস্ত্র" ছিল, সে অনুযায়ী তারা নিরীহ, তাহলে এবার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন:

১. কা'ব বিন আল আশরাফ একজন কবি ছিলেন। কিছু একটা লিখে সামান্য মনে আঘাত দেবার দায়ে মোহাম্মদ তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন? হত্যা করার আগ পর্যন্ত সেও তো নিরস্ত্র ছিল!

২. মোহাম্মদ যখন বনী মোস্তালিকের উপর আক্রমন করেন, তখন তারাও তো এই হামলার ব্যাপারে জ্ঞাত ছিল না! পূর্ব থেকে তাদের না জানিয়ে মোহাম্মদ কেন তাদের উপর অতর্কিত হামলা করেছিল? (৩:৪৬:৭১৭)

মোহাম্মদ কি তবে মুসলমান ছিল না? নাকি মুসলমান হলেও সে সহিহ মুসলিম ছিল না?

এগুলোর কিছুই না হলে আপনারা তবে কোন মুখ নিয়ে বলেন "ইসলাম নিরীহ মানুষ হত্যা সমর্থন করে না?" আপনাদের কি লজ্জা নেই?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন