আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬

কোরআন যেভাবে অবতীর্ণ: মক্কা - দ্বিতীয় অধ্যায়: দেড় কিলোমিটারে সাত বছর (পর্ব ১৬)

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ


{মক্কা একটি মিশ্র নারীদের শহর; ইথিউপিয়া (হাবাশা) থেকে কালো চামড়ার দাসী, ইয়েমেন থেকে সাদা চামড়ার খ্রিষ্টান দাসী, মরুভুমির গোত্রে-গোত্রে হওয়া যুদ্ধবন্দী দাসীরাও আসতেন মক্কায়, কেনাবেচা হতো তাদের; কারও স্থান হতো পতিতালয়ে, কেউবা একান্তই পারিবারিক কাজ করতেন কুরাইশদের। আমরা কন্যাশিশু হত্যার যে রটনা শুনতে পাই, তার প্রায় সবটাই দরিদ্র মক্কাবাসী দাসী, মক্কার চারপাশের ভবঘুরে বসতি আর পতিতাদের কন্যাসন্তান থেকে মুক্তি চেষ্টার ফসল! সামর্থ্যবান কুরাইশ মক্কাবাসীরা প্রয়োজনে নিজের কন্যাকে অল্প বয়সে বিবাহ দিতেন, কিন্তু হত্যা করতেন না কখনই! এই ২০১৬ সালে এসেও এ চিত্র পাল্টায়নি বাংলাদেশেও। যারা বলেন, জীবিত কন্যাদের কবর দেবার ঘটনা ঘটতো না মক্কাতে; তারা আসলে মূল সত্যটা বুঝে উঠতে পারেন না মোটেই; তবে এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, বিষয়টিকে অতিমাত্রায় রং-চং দিয়েছে মুসলিম ইতিহাসবিদগণ।

মক্কা একটি ট্রানজিট শহর মরুভূমির; পানি, মদ, খাদ্য, শরীর ও ভোগের উপাদান ছাড়া যা গড়ে উঠতে পারে না কখনই; এর সাথে যুক্ত হয়েছিলো মূর্তিপূজারীদের ধর্ম পালনের স্থান হিসেবে কাবার জনপ্রিয়তা। তুলনামূলক ভাবে মক্কার নারীদের অবস্থা আরবের হিজাজ/হেযায অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে নিচু স্তরে ছিলো; দ্বিতীয় স্তরে মদিনা এবং তায়েফ-এর নারীরা অবস্থান করতেন। আরবের প্রথম শ্রেণীর নারী স্বাধীনতা ভোগ করতেন বেদুঈন নারীরা। মক্কার নারীরা যৌনতার ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছার মূল্য দিতে পারতেন না; এর একটি বড় কারণ, মক্কায় পুরুষের তুলনায় নারীর অনুপাত ছিলো বেশি; পুরুষদের একাধিক বিবাহ ছিলো খুব স্বাভাবিক ঘটনা। নারীর সংখ্যা বেশি হবার কারণ ছিলো, বেঁচে থাকার সহজ সমাধান খুঁজতে এখানে আসতো নারীরা আর শহরকেন্দ্রিক দাস-দাসী বাণিজ্যের লাসভেগাস/সোনাগাছি/টানবাজার এটিকে বলা যেতেই পারতো।

অনেকেই মুহাম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা, আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দার প্রসঙ্গ টানেন, কিন্তু এটা বলেন না, ‘ব্যতিক্রম কখনোই উদাহরণ হয় না।’ ‘ঝড়ে বক মরে, হুজুরের কেরামতি বাড়ে’ সুত্রে সম্পদশালী খাদিজা, আর ফাঁকা মাঠের মক্কা প্রধান আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দার এখরোখা জেদী স্বভাব দিয়ে মক্কার নারী স্বাধীনতার হিসাব মেলানো বুদ্ধিমানের কাজ নয় মোটেই (তথ্যসূত্র সহ ভবিষ্যতে বিস্তারিত লেখার আশা রাখি)।

যদি একবার ভাবেন, কেন মুহাম্মদের জন্মের পরের ৫ বছরে মাতা আমিনা বিবাহযোগ্য বর পেলেন না, কেন মুহাম্মদের পিতার কেনা দাসীকে মুহাম্মদ বিবাহ দিলেন তার দাসপুত্র জায়েদের সাথে, কেন মুহাম্মদ, আবু সুফিয়ান, হামজা’র মতো শিশুরা দুধমাতার কাছে দু'বছর করে সময় কাটাতে বাধ্য হতেন; আর কেনইবা মক্কায় নবী মুহাম্মদের বেশিরভাগ অনুসারী ছিলেন মক্কার দাস-দাসীদের থেকে! কী এমন রহস্য আছে মক্কার মাত্র ১৫০০ থেকে ২০০০ বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে; যা মুহাম্মদকে এতটাই একরোখা আর জেদি করেছিলো, যার কারণে মুহাম্মদ হয়ে উঠেছিলেন একজন সফল ধর্মপ্রচারক!

মুহাম্মদ দ্রুতই নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে শুরু করতে বাধ্য হবেন, কারণ ক'দিন পরেই নারী ছাড়া তার কোনো উত্তরাধিকারী থাকবে না! মুহাম্মদ যতটুকু নারী স্বাধীনতা দেবেন মক্কার নারীদের, ঠিক ততটাই পিছিয়ে পড়বে মরুভূমির বেদুঈন আর মদিনার নারীরা; এটা তেমনই, যখন বাংলাদেশে দিন হবে, তখন আমেরিকায় রাত আপনা-আপনি চলে আসবে। মুহাম্মদ যতটা উন্নয়ন ঘটাবেন মক্কার নারীদের, ততটাই পিছিয়ে পড়বে বেদুঈন আর মদিনার নারীরা।

তবে এখন পার্থক্য এমনটাই; 
মক্কার নারীরা যখন নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শরীর দিতে বাধ্য হতেন, ঠিক তখনই মদিনার নারীরা বলতে পারতেন, ‘আমি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবো, পাশ থেকেই আদর করতে চাইলে করো; নাহলে আমার বিছানা থেকে যেতে পারো!’

এই পর্বের ৬৯ নং প্রকাশে, প্রথম বারের মত মুহাম্মদকে নিজের সমালোচনা করতে দেখা যাবে, গত পর্বে মুহাম্মদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার যে আভাস দেওয়া হয়েছিলো, এটা তারই সুত্রপাত বলা চলে। মুহাম্মদ ক্রমশ নিজের অসফলতা নিয়ে অস্থিরতা প্রকাশ করতে শুরু করছেন, এটা দ্রুতই বিষবৃক্ষের আকার নেবে; যা আগামী কিছু পর্বে প্রকাশিত হত বাধ্য। 

কোরআন অবতীর্ণ হবার ধারাবাহিকতা অনুসারে প্রকাশের আজ ১৬ তম পর্ব; এই পর্বে থাকছে মক্কা - দ্বিতীয় অধ্যায়: দেড় কিলোমিটারে সাত বছরের ৯ম চার অংশঅনুবাদের ভাষা একাধিক বাংলা/ইংরেজি অনুবাদ অনুসারে নিজস্ব।}

নবী মুহাম্মদ দ্বারা ৬৭ তম প্রকাশ; সূরা আয্-যুখরুফ (৪৩) (সোনাদানা), ৬৬ থেকে ৮০ আয়াত:

৬৬. তারা তো তাদের অজ্ঞাতসারে আকস্মিকভাবে কিয়ামাত আসারই অপেক্ষা করছে।
৬৭. সেদিন বন্ধুরা একে অন্যের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।
৬৮. হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং দুঃখিতও হবে না তোমরা
৬৯. তোমরা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং তোমরা আজ্ঞাবহ ছিলে।
৭০. সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর তোমরা আর তোমাদের স্ত্রীরা।
৭১. তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র এবং তথায় রয়েছে মনে যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। তোমরা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে।
৭২. এটাই জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে, তোমাদের কর্মের ফল স্বরূপ।
৭৩. সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক ফলমূল, যা থেকে তোমরা খাবে।
৭৪. নিশ্চয়ই অপরাধীরা জাহান্নামের শাস্তিতে থাকবে স্থায়ী।
৭৫. তাদের শাস্তি কমানো হবে না, আর তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।
৭৬. আমি তাদের প্রতি জুলম করিনি, বরং তারা নিজেরাই ছিল জালিম।
৭৭. তারা চিৎকার করে বলবে: হে মালিক (জাহান্নামের দাড়োয়ান) তোমার পালনকর্তা আমাদেরকে নিঃশেষ করে দিন। সে বলবে: তোমরা এভাবেই থাকবে।
৭৮. আমি তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্যকে অপছন্দকারী।
৭৯. তারা কি কোনো ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছে? তাহলে আমিও এক ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছি।
৮০. তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন কথা, গোপন পরামর্শ শুনি না? নিশ্চয়ই শুনি, আর আমার ফেরেশতারাহ তাদের কাছে থেকে লিখে নেয়।

নবী মুহাম্মদ দ্বারা ৬৮ তম প্রকাশ; সূরা নূহ (৭১) (নবী নূহ), ১ থেকে ২৮ আয়াত:

১. নূহকে আমি প্রেরণ করেছিলাম তার সম্প্রদায়ের প্রতি এই নির্দেশসহ: তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর তাদের প্রতি শাস্তি আসার পূর্বে।
২. সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্যে স্পষ্ট সতর্ককারী।
৩. এ বিষয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
৪. তাহলে তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করে দেবেন এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন। আল্লাহ কর্তৃক নিদিষ্ট সময় যখন আসবে তখন আর তা বিলম্বিত হবে না। তোমরা যদি জানতে!’
৫. সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি আমার জাতিকে রাত-দিন ডেকেছি,
৬. কিন্তু আমার আহবান তাদের পলায়ন প্রবণতাই বৃদ্ধি করছে।
৭. আমি যখনই তাদেরকে ডাকি যেন তুমি তাদেরকে ক্ষমা করে দাও, তখনই তারা তাদের কানে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়েছে, কাপড়ে মুখ ঢেকে নিয়েছে, জিদ করেছে আর খুব বেশি অহঙ্কার করেছে।
৮. অতঃপর আমি তাদের আহবান করেছি প্রকাশ্যে।
৯. অতঃপর তাদেরকে আমি প্রকাশ্যে এবং অতি গোপনেও আহবান করেছি।
১০. বলেছি: তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনি তো মহা ক্ষমাশীল।
১১. তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবেন।
১২. তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।
১৩. তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহ তা'আলার শ্রেষ্ঠত্ব আশা করছ না।
১৪. অথচ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন পর্যায়ক্রমে।
১৫. ‘তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, কীভাবে আল্লাহ স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন’?
১৬. এবং সেখানে চাঁদকে স্থাপন করেছেন আলোক রূপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপ রূপে;
১৭. তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা হতে।
১৮. ‘তারপর তিনি তোমাদেরকে তাতে ফিরিয়ে নেবেন এবং নিশ্চিতভাবে তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন’।
১৯. এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বিস্তৃত বিছানা।
২০. যাতে তোমরা চলাফিরা করতে পার প্রশস্ত পথে।
২১. নূহ বলেছিলঃ হে আমার রাব্ব! আমার সম্প্রদায়তো আমাকে অমান্য করছে এবং অনুসরণ করছে এমন লোকের যার ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তার ক্ষতি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করেনি।
২২. আর তারা ভয়ানক চক্রান্ত করছে।
২৩. এবং বলেছিলঃ তোমরা কখনও পরিত্যাগ কর না তোমাদের দেব-দেবীকে; পরিত্যাগ কর না ওয়াদ, সুওয়া, আগুছ, আউক ও নাসরকে।
২৪. তারা অনেককে বিভ্রান্ত করছে; সুতরাং জালিমদের বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করে না।
২৫. তাদের অপরাধের জন্য তাদেরকে নিমজ্জিত করা হয়েছিল এবং পরে তাদেরকে দাখিল করা হয়েছিল আগুনে, অতঃপর তারা কেহকেও আল্লাহর মুকাবিলায় পায়নি সাহায্যকারী।
২৬. নূহ আরও বলল: হে আমার পালনকর্তা, আপনি পৃথিবীতে কোনো কাফের গৃহবাসীকে রেহাই দেবেন না।
২৭. তুমি তাদেরকে অব্যাহতি দিলে তারা তোমার বান্দাদেরকে বিভ্রান্ত করবে এবং জন্ম দিতে থাকবে কেবল দুষ্কৃতিকারী ও কাফির।
২৮. হে আমার রাব্ব! তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে এবং যারা মু'মিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মু'মিন পুরুষ ও মু'মিনা নারীদেরকে; আর জালিমদের শুধু ধ্বংসই বৃদ্ধি কর।

নবী মুহাম্মদ দ্বারা ৬৯ তম প্রকাশ; সূরা আবাসা (৮০) (তিনি ভ্রুকুটি করলেন), ১ থেকে ৪২ আয়াত:

১. সে ভ্রু কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিলো,
২. যেহেতু তার নিকট এক অন্ধ আগমন করেছিল।
৩. আর কিসে তোমাকে জানাবে যে, সে হয়ত পরিশুদ্ধ হত।
৪. অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে উপদেশ তার উপকারে আসতো।
৫. পক্ষান্তরে যে পরোয়া করে না,
৬. তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিয়েছো।
৭. অথচ সে নিজে পরিশুদ্ধ না হলে তোমার কোনো দায়িত্ব নেই।
৮. পক্ষান্তরে যে তোমার কাছে ছুটে আসল,
৯. আর সে ভয়ও করে,
১০. তুমি তাকে অবজ্ঞা করলে!
১১. কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবাণী।
১২. কাজেই যে ইচ্ছা করবে, সে তা স্মরণ রাখবে।
১৩. এটা লিখিত আছে সম্মানিত,
১৪. উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে,
১৫. লিপিকারের হস্তে,
১৬. যারা মহৎ, পূত চরিত্র।
১৭. মানুষ ধ্বংস হোক! সে কত অকৃতজ্ঞ!
১৮. তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?
১৯. শুক্র বিন্দু থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে সুগঠিত করেছেন।
২০. অতঃপর তার জন্য পথ সহজ করে দেন;
২১. অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন।
২২. এরপর যখন ইচ্ছা তিনি তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
২৩. কখনো নয়, তিনি তাকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সে এখনো তা পূর্ণ করেনি।
২৪. কাজেই মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক।
২৫. আমিই প্রচুর পানি বর্ষণ করি,
২৬. অতঃপর আমি ভূমিকে প্রকৃষ্ট রূপে বিদীর্ণ করি;
২৭. অতঃপর তাতে আমি উৎপন্ন করি শস্য,
২৮. আঙুর ও শাক-সবজি,
২৯. যাইতূন, খেজুর, 
৩০. ঘন উদ্যান,
৩১. ফল এবং ঘাস
৩২. এটা তোমাদের ও তোমাদের পশুগুলির ভোগের জন্য।
৩৩. অবশেষে যখন কান-ফাটানো শব্দ আসবে;
৩৪. সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার ভাই হতে,
৩৫. এবং তার মাতা, তার পিতা,
৩৬. তার স্ত্রী ও তার সন্তান হতে,
৩৭. সেদিন তাদের প্রত্যেকের হবে এমন গুরুতর অবস্থা যা তাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে।
৩৮. সেদিন কিছু কিছু চেহারা উজ্জ্বল হবে।
৩৯. সহাস্য ও প্রফুল্ল।
৪০. এবং অনেক মুখমন্ডল হবে সেদিন ধূলি ধূসরিত,
৪১. তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে।
৪২. তারাই সত্যপ্রত্যাখ্যানকারী ও পাপাচারী।

নবী মুহাম্মদ দ্বারা ৭০ তম প্রকাশ; সূরা আল মাউন (১০৭) (সাহায্য-সহায়তা), ১ থেকে ৩ আয়াত:

১. তুমি কি দেখেছ তাকে, যে কর্মফলকে মিথ্যা বলে থাকে?
২. সে সেই ব্যক্তি, যে এতিমকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়,
৩. আর গরীব-দুঃখীকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখায় না।

আয়াত প্রকাশের মনোজগত: কোনো মানুষের মনোজগতের বিশ্লেষন করা যতটা জটিল, ততটা হয়ত আর কোনো কিছুই নয়; তবে মুহাম্মদের ক্ষেত্রে এ তথ্য সত্য বলে মনে হয় না। কারণ, কোরআন মুহাম্মদের মনোজগতের আয়না হয়ে ১৪০০ বছর পরেও বিদ্যমান। একজন চিন্তাশীল পাঠক যদি কোরআনের অবতীর্ণ হবার সময়কাল ধরে পড়তে শুরু করেন, আর তার সাথে সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ জেনে নিতে থাকেন, তবে নবী মুহাম্মদকে সহজবোধ্য চরিত্র বলেই মনে হতে বাধ্য।

বলা হয়, খলিফা আলী কোরআনকে অবতীর্ণ হবার ধারাবাহিকতা অনুসারে সংকলন করতে চেয়েছিলেন; সেটা যদি সত্যিই করা হতো, তবে ইসলাম বড়জোড় ৪০০ বছর টিকতে পারতো! কোরআনের বিশৃঙ্খল সংকলন, এটিকে ধাঁধাঁ হিসেবে রেখে দিয়েছে মুসলিমদের মনে; একবার যদি এই ধাঁধাঁর জট খুলে কোরআনকে দেখতে শুরু করা যায়, তবে ইসলাম আর মুহাম্মদের মিথের ইটও ক্রমশ খসে পড়তে থাকে; আমরা সে চেষ্টাই করছি এ সিরিজটিতে!

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন