আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৬

নিমো হুজুরের খুতবা - ৭

লিখেছেন নীল নিমো

নাস্তিকদের উপর আমি প্রচণ্ড ক্ষেপে আছি। তাই আজকে বয়ান দিচ্ছিলাম এইভাবে:

- মুর্খ নাস্তিকরা ইন্টারনেট, ফেইসবুক নিয়া গর্ব করে, ফুটানি করে। নাস্তিকরা বলে, মুসলমানদের ফেইসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত নহে। কারন মুসলমানরা নাকি ফেইসবুক, ইন্টারনেট তৈরি করে নাই।... হে মূর্খ নাস্তিকের দল, আপনারা কি জাবির ইবনে হাইয়ান, আল-বেরুনি, ইবনে সিনা, আল-খাওয়ারিজমি, ওমর খৈয়াম, ইবনে বতুতার নাম শুনেন নাই? এইসব মুসলিম স্কলার, বিজ্ঞানীদের অবদানের উপর বর্তমানের ফেইজবুক, ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে...

কথা শেষ করতে পারলাম না। এক নোয়াখাইল্লা নাস্তিক আমাকে থামিয়ে দিয়ে মাধ্যমিক পদার্থ বিজ্ঞানের বই দেখিয়ে বলিল: 

- কিন্তু হুজুর, মুসলমান বিজ্ঞানীরা যে সময় জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান রেখেছিল, সেই সময়কালকে 'জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্ধকারের যুগ' বলা হয়ে থাকে। মুসলমানরা বিজ্ঞানের আলোকে ফুঁ দিয়া নিভাইয়া দিছিল।

আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আমি জিজ্ঞাস করিলাম:

- ওরে নমরুদের বংশধর, তুই কী বলতে চাস? তুই কি বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান অস্বীকার করতে চাস?

নাস্তিক বলিল:

- হুজুর, জঙ্গলে যখন আগুন লেগে সিংহ মারা যায়, তখন তেলাপোকাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদান রেখে নোবেল প্রাইজ পায়।

আমি বলিলাম:

- জঙ্গল, আগুন, সিংহ, তেলাপোকা এইসব কী বলছিস?”

নাস্তিক বলিল:

- হুজুর, ২১২ BC সালে বিজ্ঞানের সিংহমশাই আর্কিমিডিসের মৃত্যুর পরে ধর্মের প্রধান্য বিস্তার ঘটে এবং বিজ্ঞানের সাময়িক মৃত্যু ঘটে। এই সময়কালে জিসাস ক্রাইস্ট (৭ BC - ৩৬ AD) এবং মুহাম্মদ (৫৭০-৬৩২) দুইজনে মিলে বিজ্ঞানের চুড়ান্ত বারোটা বাজিয়ে দেন, যেটা বিজ্ঞানের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত হয়। ঐ সময়ে কারো সর্দি-জ্বর হলে তিনবার সুরা- ফালাক পড়ে পানিতে ফুৎকার করে পানি পান করত এবং কুয়ার ভিতরে তাবিজের গিরা খুঁজত।

সে আরো বলিল:

- মুহাম্মদের মৃত্যুর ৫০০ বছর পর, ১০০০ সালের দিকে কিছু তেলাপোকা মুসলিম গবেষক কোরান নিয়ে গবেষণার পরিবর্তে প্রকৃতি- কজ এফেক্ট (cause-effect) নিয়ে নাড়াচাড়া করেছিল। বনের সিংহের অনপুস্থিতিতে তেলাপোকা মুসলমানরাই তখন বনের রাজা হয়ে গিয়েছিল। ধর্মের আবির্ভাব এবং মুসলমানদের বিজ্ঞান নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময়কালকে বিজ্ঞানের ইতিহাসে "বিজ্ঞানের বন্ধ্যাকাল" হিসাবে পরিচিত। পরবর্তীতে, ১৫০০ সালের দিকে বিজ্ঞানের সিংহ গ্যালিলিও-নিউটন এসে বিজ্ঞানের এই বন্ধ্যাকালের অবসান ঘটান।

আমি আস্তাগফিরুল্লাহ বলে ওযু করতে দৌড় দিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন