আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৬

ইছলামসম্মত নির্যাতনোৎসব

কোরানের সুরা বাইয়্যিনাহ-র ৬ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট করে বলা আছে, যারা অমুছলিম, তারা নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। অর্থাৎ যারা মুছলিম নয়, তারা আল্যার সবচেয়ে নিচুমানের সৃষ্টি।

তো মুছলিমদের সবচেয়ে পবিত্র কিতাবে আল্যা যেহেতু অমুছলিমদেরকে নিকৃষ্টতম সৃষ্টি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, তাই আল্যার কোনও বান্দা হিন্দুদেরকে "মালাউনের বাচ্চারা" বললে কোনও অপরাধ তো হয়ই না, বরং এর মাধ্যমে সে নিজেকে আল্যার খাছ বান্দা হিসেবে প্রমাণিত করে। আর সবচেয়ে বড়ো কথা, গড়পড়তাভাবে বাংলাদেশের প্রায় সব মুছলিমই প্রকাশ্যে বা অগোচরে বা মনে মনে হিন্দুদেরকে ওই নামেই ডেকে থাকে। এটা মুছলিমদের অধিকার। হ্যাঁ, অধিকারই তো! ৯০% মুছলিমের দেশে অধিকার থাকবে কি সংখ্যালঘুদের?

এখন কথা হচ্ছে, কেউ মন্ত্রী হলেই কি ওই শব্দ বা শব্দবন্ধ ব্যবহার করার অধিকার তার রহিত হয়ে যায়? নিশ্চয়ই না। মদিনা সনদে পরিচালিত দেশের একজন মন্ত্রীর বাণী ছহীহ ও ইছলামসম্মতই হবার কথা। সরকারের বন্য ও পশু-মন্ত্রী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীও তো খাছ মুছলিম, তাঁরও কি ছওয়াব কামানোর খায়েস নেই?


যে দেশের ইছলামবান্ধব সরকার মুছলিম কর্তৃক নাস্তিকহত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও স্পষ্টভাবে মুছলিম-হত্যাকারীর পক্ষ নিয়ে আরও নাস্তিকহত্যার পথ সুগম করে দেয়, সেই সরকার মুছলিমদের ঘটানো সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় মুছলিমদের পক্ষই তো নেবে এবং নির্যাতিতদেরকে "মালাউনের বাচ্চারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে" বলে একই জাতীয় আরও নির্যাতনের পথ প্রশস্ত করে দেবে।

আজ আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দুদের ৫ টি বাড়িতে আগুন জ্বালানো হয়েছে। এছাড়া শুধু গতকাল প্রতিমা ভাঙা হয়েছে বরিশালে, বগুড়ায়, ফরিদপুরে, যশোরে এবং এর দু'দিন আগে গোপালগঞ্জে। মূর্তিভাঙা ইছলামে সুন্নত। নবীজি নিজ হাতে এই কাজ করে উম্মতদেরকে পথ দেখিয়ে গেছে।

অর্থাৎ দেশে এখন মহাসমারোহে চলিতেছে সরকারী অনুদানে অনুমোদনে হিন্দুনির্যাতন উৎসব, যাতে দলে দলে যোগ দিয়ে ও যেটাকে সহাস্য সমর্থন জুগিয়ে দোজাহানের অশেষ ছওয়াব হাছিল করে চলেছে বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা। ছওয়াব কামানোর এমন নির্বিঘ্ন ও সুখকর মওকা জুটিয়ে দেয়ার কারণে তারা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন