আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

উম হানি ও মুহাম্মদ: ইসলামের মহানবীর প্রথম ভালবাসা (পর্ব ২)

লিখেছেন আবুল কাশেম


উম হানির প্রতি নবীর আসক্তি

মুহাম্মদের জীবনী পড়লে বোঝা যায় যে, উনার জীবনে উম হানির প্রভাব ছিল অপরিসীম। মুহাম্মদ কোনোদিনই উম হানির প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ভোলেননি। আমরা লক্ষ্য করি, বাল্য বয়সের সেই প্রেমের উচ্ছ্বাস নবী কোনোদিনই দমিয়ে রাখতে পারেননি। মুহাম্মদের জীবনী রচয়িতারা উম হানির সাথে মুহাম্মদের প্রেমের ব্যাপারটা যেভাবেই হোক এড়িয়ে যেতে চান—যার ফলস্বরূপ নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং প্রচুর আজগুবি কাহিনী প্রচার করেন। মুহাম্মদ ছিলেন রক্তমাংসের মানুষ। তাঁর মাঝেও ছিল অনেক কামনা-বাসনা—ব্যর্থ প্রেমের আকুলতা এবং নিজের রিপু চরিতার্থ করার তীব্র অভিপ্রায়। জীবনীকারেরা যতই চেষ্টা করুন নবীর এই স্বাভাবিক বাসনাকে ধামাচাপা দেবার—মুহাম্মদ ও উম হানির জীবনের অনেক ঘটনার ফাঁক-ফোঁকর থেকে অনেক সত্যই আমরা অনুমান করে নিতে পারি।

অনেক ইসলামী পণ্ডিত উম হানির সাথে নবীর প্রেমের ব্যাপারটা ধামাচাপা দিতে চান এই বলে যে, মুহাম্মদ উম হানিকে নিজের ভগিনী হিসাবে জানতেন। প্রেম বলতে আমরা সাধারণভাবে যা বুঝি, অর্থাৎ দেহ এবং মনের সম্পর্ক — তা বিবাহপ্রসূতই হোক অথবা অন্য কোনোভাবে, তা ইসলামী পণ্ডিতেরা কোনোভাবেই স্বীকার করতে চান না। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, মুহাম্মদ চেয়েছিলেন উম হানিকে বিবাহ করে সংসার পাততে। বিবি খদেজার সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হবার আগে নবী চেয়েছিলেন উম হানিকে নিজের স্ত্রী বানাতে।

মুহাম্মদের জীবনী লেখক রডিন্সন লিখেছেন, উম হানিকে বিবাহ করার জন্য নবী পিতৃব্য আবু তালেবের কাছে প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু তালেব তা নাকচ করে দেন। এর কারণ কী হতে পারে, তা সম্বন্ধে অনেক কিছুই ভাবা যেতে পারে। যতটুকু জানা যায়, এই সময় নিরক্ষর মুহাম্মদ ভেড়ার রাখালের কাজ ছাড়া আর কিছু করতেন না বা জানতেন না। হয়ত আবু তালেব চাননি এক ভেড়ার রাখালের সাথে তাঁর কন্যাকে সঁপে দিতে। আবু তালেব বেশ প্রসিদ্ধ কবি ছিলেন। আমরা ধরে নিতে পারি, আবু তালেব উচ্চশিক্ষিত না হলেও নিরক্ষর ছিলেন না। তাই অনেক ভেবেচিন্তেই তিনি হয়ত ঠিক করেছিলেন, নিরক্ষর, সহায় সম্বলহীন, বেকার ভাতিজার সাথে উম হানির বিবাহ শোভা পাবে না।

রডিন্সন লিখেছেন:
মুহাম্মদের সময় কেউ বেশি বয়স পর্যন্ত অবিবাহিত থাকত না। সেই অনুযায়ী মনে হয়, মুহাম্মদের বিবাহের বয়স অনেক পেরিয়ে গিয়েছিল। এর কারণ হয়ত দরিদ্রতা। অনেকে বলেন, মুহাম্মদ আবু তালেবের কাছে উম হানিকে বিবাহের প্রস্তাব করলেন। বেদুঈন সমাজে চাচাতো, মামাতো খালাতো, ফুফাতো ভাই অথবা বোনদের সাথে বিবাহ প্রচলিত ছিল। কিন্তু আবু তালেব এই প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন। এর কারণ হতে পারে যে, আবু তালেব চাইছিলেন আরও যোগ্য পাত্রের হাতে কন্যার হাত সমর্পণ করতে। এর বেশ কিছুদিন পরে উম হানি বিধবা হয়ে যান। তখন হয়ত উম হানি চেয়েছিলেন মুহাম্মদ আবার তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মুহাম্মদ এই ব্যাপারে আর আগ্রহী ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক থেকে যায়। যে রাত্রে তিনি স্বর্গ ভ্রমণে যান, সেই রাত্রে তিনি উম হানির গৃহে ঘুমিয়ে ছিলেন (রডিন্সন, পৃঃ ৪৯) 
উম হানির সাথে এই ভাল সম্পর্ক বলতে কী বোঝায়?

রডিন্সন আরও লিখেছেন:
আরবদের যৌনক্ষুধা অতিশয় প্রবল। তলমুদ আইনজ্ঞ নাথন বলেছেন, আরবদের মাঝে যৌনসম্ভোগের যে প্রবণতা আছে, বিশ্বের আর কোন জাতির মাঝে তা নেই। পারস্যের যে বিশাল ক্ষমতার আধার, আর রোমানদের যেই বিশাল বিত্ত অথবা মিশরের যে মায়া ইন্দ্রজাল, আরবদের মাঝে সেই রকম হচ্ছে তাদের যৌনক্ষুধা। এই আইনজ্ঞ আরও বলেছেন যে, বিশ্বের যৌনক্ষুধাকে দশ ভাগ করলে তার নয় ভাগ পড়বে আরবদের পাল্লায়, আর এক ভাগ থাকবে বিশ্বের বাকি জাতিদের মাঝে। (রডিন্সন, পৃঃ ৫৪)
(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন