আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

পুতুলের হক কথা - ২৯

লিখেছেন পুতুল হক

১০৯. 
মনে আছে, আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন আমাদের ফ্যামিলিতে পরপর কিছু বিপর্যয় এসেছিলো। যথারীতি মা মোল্লা-মৌলভী ডাকাডাকি শুরু করে দিয়েছিলেন। অনেক কিছু করা হচ্ছিল ঘরকে বদ দৃষ্টি, বালা-মুসিবত থেকে মুক্ত করার জন্য। ঘরের কোণায় কোণায় তাবিজ বাঁধা হল, ঘরের দরজায় সুরা ইয়াসিন বাঁধাই করে টাঙিয়ে দেয়া হল, ফকির খাওয়ানো হল, জানের সদকা দেয়া হল ছাগল জবাই করে। একদিন সন্ধ্যায় মা দুধ দিয়ে পুরোটা ঘর নিজ হাতে মুছলেন। মায়ের এজমা। রাতে তাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি। বিপর্যয়ের তালিকায় আরো একটা যোগ হয়েছিলো।

১১০.
কেউ একজন এই বিশ্বচরাচর সৃষ্টি করেছে। তাঁর নিয়মে চলছে উদয়-অস্ত, শীতগ্রীষ্ম। মুখ তিনি দেন, আহার তিনি দেন। রোগ তিনি দেন, মুক্তি তিনি দেন। মানুষের এতো চিন্তা-ভাবনার কোনো দরকার নেই। অন্য সব পশুপাখির মত সে শুধু খাবে আর বাচ্চা পয়দা করবে আর চোখ বন্ধ করে থাকবে। বাড়তি শুধু একটা কাজই মানুষকে করতে হবে, সেটা হচ্ছে - স্রষ্টার উপাসনা। আমি যদি একজন নামকরা স্রষ্টা আল্লাহ্‌র কথা বলি, তাহলে বলতে হয় আল্লাহ্‌র উপাসনা কিন্তু শুধু তার নাম জপলেই হবে না। সে কিছু আদেশ-নিষেধ মানুষের জন্য নির্ধারণ করেছে। আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন না করা একটা ইবাদত। তার নির্দেশমত অন্যের ঘাড়ে তলোয়ার ধরে তাদের আল্লাহ্‌র অধীন করা সব চাইতে বড় ইবাদত। আল্লাহ নিজে মানুষের জীবন কাটাননি, তাই মানবজনম কীভাবে কাটাতে হবে, সেটা বলে দেয়ার জন্য তিনি মানুষ-নবীরাসুল পাঠান। অবশ্য গরুর জীবন কীভাবে কাটাতে হবে, সেটা বলে দেয়ার জন্য কোনো গরু-নবীরাসুলের কথা শুনিনি। তেমনই গাধা, হাঁস-মুরগি বা বাঁদরের মধ্য থেকেও নবী-রাসুলের কথা শুনিনি। আপনারা কেউ জানলে আমাকে দয়া করে জানাবেন। স্রষ্টাকে ভালোবাসলে ভালো জীবজন্তু হওয়া গেলেও মানুষ হতে হলে স্রষ্টার বিরুদ্ধে যেতে হয়।

১১১.
বাংলাদেশের মুসলমানদের মনে ইহুদিদের সম্পর্কে যত ঘৃণা, জিঘাংসা আছে, তাঁর লক্ষভাগের একভাগ যদি পাকিস্তানীদের জন্য থাকতো, তবে এদেশে রাজাকার ক্ষমতার ডালপালা মেলতে পারতো না। সম্ভব হত না কোনো নব্য রাজাকার তৈরি। দেড় হাজার বছর আগে কেতাবে বলেছে, ইহুদিরা ইসলামের শত্রু। তাই আজীবন মুসলমানের কাছে ইহুদিরা শত্রু হয়ে রয়েছে। আর যারা মাত্র অর্ধশতক বছর আগে নিজ ভাই, বাবা, মা, আত্মীয়, বন্ধু হত্যা করেছে কিংবা সহোদরা, বান্ধবী, নাবালক শিশু, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর ওপর পাশবিকতা করেছে, তাদের একই উম্মাহ বলে গলায় জড়াই। আল্লাহ কেবল তাঁর বিধিবিধানের সম্মান দেখলো, আমার সম্মান দেখেনি। আমিও তার সম্মান দেখবো না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন