আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ১৮

লিখেছেন নীল নিমো

আজকে ৬ বছরের একটি অবুঝ মেয়ে শিশুকে একলা পেয়ে গেলাম । বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার আগে শিশুটিকে বিশ্বজগৎ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলাম। শিশুটি উত্তর দিল:
- উপরে আকাশ, আর নিচে জমিন। এইটাই বিশ্বজগৎ। উপরে অনেক উঁচু আকাশ, আর নিচে জমিন। এইটাই বিশ্বজগৎ। উপর আর নিচ, এই ছাড়া কিছুই জানি না। ছাদ আর কার্পেট। উপরে আকাশ, আর নিচে জমিন।

আমি শিশুটিকে বল্লাম:
- উপর আর নিচ, এতবার বলা ঠিক না, লোকে লজ্জা দিবে। উঁচু আকাশ বলে কিছু নাই। সবই মহাশূন্য। আমরা গোলাকার পৃথিবীর উপর দাঁড়িয়ে আছে। মহাশূন্যে উপর আর নিচ বলে কিছুই নাই। তুমি কি কখনো তারা, গ্রহ, উপগ্রহ, নেবুলা, গ্যালাক্সি, কৃষ্ণগহ্বর, উল্কাপিণ্ড, বামন গ্রহ, পালসার, সুপারনোভা, ধূমকেতু, সৌরজগৎ ইত্যাদির নাম শুনেছে?

শিশুটি হাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। পাশ দিয়ে একজন মুমিন মুসলমান হেটে যাচ্ছিল, সে বলিল:
- শিশুটি তো ঠিকই বলেছে। উপরে আসমান, নিচে জমিন। আল্লাহপাক উপরে, আসমানের উপর উঠে বসে আছে। উপরে নভোমণ্ডল, আর নিচে ভূমণ্ডল। এই কথা ১০ থেকে ২০ বার আল্লাহপাক কোরান মজিদে বলেছেন। শিশুটিকে লজ্জা দিবেন না।

মুমিন নিচের কোরানের আয়াতগুলির রেফারেন্স দিল:
১. নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন...(সুরা ৭, আয়াত ৫৪:)
২. নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন... (সুরা ১০, আয়াত ৩)
৩. তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন, তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে... (সুরা ১১, আয়াত ৭)
৪. তিনি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন (সুরা ২৫ , আয়াত ৫৯)
৫. আল্লাহ যিনি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন...(সুরা ৩২, আয়াত ৪)।
৬. তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন... (সুরা ৫৭, আয়াত ৪ )
৭. অতঃপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে দুইদিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন... (সুরা ৪১, আয়াত ৯ থেকে ১২)
৮. কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম... (সুরা ২১, আয়াত ৩০ )
৯. আমি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি... (সুরা ৫০, আয়াত ৩৮)
আমি বলিলাম:
- উপর আর নিচ। উপরে আল্লাহ সিংহাসনের উপর বসে আছেন। এইটাই বিশ্বজগৎ। এইটা আল্লাহ বুঝে, ৬ বছরের অবুঝ শিশুও বুঝে। নাস্তিক নাসা, মহাকাশ বিজ্ঞানীরা কেন এই সহজ জিনিসটা বুঝতে পারছে না? ৬ যে একটা বরকতময় সংখ্যা, সেটা নাস্তিকরা বুঝতে পারছে না?

নাস্তিকদের জন্য আফসুস হল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন