আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০১০

আদমচরিত ০২৬

(ধর্মপচারকের পক্ষ থেকে: এই পোস্টের লেখক "মুখফোড়" সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ভূমিকা দেয়া আবশ্যক বলে মনে করি। আমার মতে, বাংলা ব্লগ-পরিমণ্ডলে সবচেয়ে শক্তিমান ব্যঙ্গ-লেখক তিনি। আমার সঙ্গে সহমত জ্ঞাপন করবেন, এমন লোকের সংখ্যা অজস্র। কল্পনাতীত কল্পনাশক্তি তাঁর, তীব্র বিদ্রূপাত্মক ভাষা আর অসাধারণ স্মার্ট তাঁর গদ্য। তাঁর অনেক রচনাই ধর্মকারীর চরিত্রোপযোগী। তিনি তাঁর সেই লেখাগুলো প্রকাশের অনুমতি দিয়ে ধর্মকারীকে কৃতজ্ঞ করেছেন।

এটি তাঁর সাম্প্রতিকতম রচনা। বিষয়বস্তুর সঙ্গে সাম্প্রতিকতার সংশ্লেষ থাকায় এই লেখা দিয়েই শুরু হোক যাত্রা।)

লিখেছেন মুখফোড়

অপারেটিং টেবিলে শুইয়া আদম পাংশুমুখে বলিল, "অন্য কোনো উপায় কি নাই?"

ঈশ্বর পেলাসটিকের দস্তানা আঁটিতে আঁটিতে গম্ভীর মুখে কহিলেন, "উপায় অবশ্যই আছে আদম। পর্যবেক্ষণ করিলেই বুঝিবে।"

আদম বেজার হইয়া কহিল, "আপনি সর্বদাই আকারে ইঙ্গিতে কথা কন। পরিষ্কার করিয়া বলেন না কেন? কী উপায়?"

ঈশ্বর একটি ক্ষুরধার স্ক্যালপেল লইয়া জীবাণুনাশক দ্বারা ধৌত করিতে করিতে কহিলেন, "কখনও কি ভাবিয়া দেখিয়াছ, তোমার শিশ্নখানি কী সুচারুরূপে বাম ও দক্ষিণ, উভয় হস্তের নাগালেই রহিয়াছে?"

আদম বাম ও দক্ষিণ, উভয় হস্ত চাদরের নিচে প্রবিষ্ট করিয়া কহিল, "বিলক্ষণ। কিন্তু ...।"

ঈশ্বর কহিলেন, "হাঁ। তোমাকে সৃজন করিবার সময়ই হস্ত দুইটি এইরূপে নকশা করিয়াছিলাম, যাহাতে নিজের বিনোদন নিজেই যোগাইতে পার। কিন্তু তোমার চাহিদার অন্ত নাই।"

আদম গোঁ গোঁ করিয়া কহিল, "আপনি আমাকে মৃত্তিকা হইতে সৃজন করিয়াছেন, আমার সঙ্গিনীকেও মৃত্তিকা দিয়া নির্মাণ করিলে আপনার ক্ষতি কী? মৃত্তিকার কি অভাব পড়িয়াছে? মৃত্তিকার অভাব পড়িলে পেলাসটিক দিয়া বানাইয়া দিন।"

ঈশ্বর মৃদু হাসিয়া কহিলেন, "আমার সম্মান তাহে সামান্যই বাড়ে। তোমার সম্মান তাহে একেবারে ছাড়ে।"

আদম কহিল, "আমার পঞ্জরের অস্থি দিয়াই কেন সঙ্গিনী নির্মাণ করিবেন?"

ঈশ্বর কহিলেন, "পঞ্জরাস্থি কি তুমি বেচিয়া দালান কিনিবে নাকি নির্বোধ? এইবার চুপ মার। অপারেশনখানা সারিয়া ফেলি।"

আদম কিছু কহিবার পূর্বেই ঈশ্বর স্ক্যালপেল বাগাইয়া আদমের পঞ্জরের একখানি অস্থি নিমেষে কাটিয়া বাহির করিয়া লইলেন। ভয়ে আদম কাপড় নষ্ট করিয়া ফেলিল।

ঈশ্বর পঞ্জরাস্থিটিকে ঈভ-নির্মাণ যন্ত্রের ভিতরে ঢুকিয়া কয়েকটি ডায়াল ঘুরাইয়া যন্ত্রের দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন।

আদম ক্ষিপ্ত কণ্ঠে কহিল, "আমার অস্থি হইতে যদি ঈভ নির্মাণ করিতে পারেন, তবে আমার পায়খানা হইতেও কিছু নির্মাণ করিয়া দেখান!"

ঈশ্বর বিরক্ত হইয়া কহিলেন, "এয়ার্কি পাইয়াছো? পায়খানা হইতে মনুষ্য সৃজন সম্ভব?"

আদম ঘ্যানর ঘ্যানর করিতে লাগিল। মনুষ্য হউক, গাধা হউক, সজারু হউক, একটা কিছু ঈশ্বরকে সৃজন করিতে হইবে।

ঈশ্বর দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া এক টুকরা পলিথিনে করিয়া আদমের মলখণ্ড নিয়া যন্ত্রে ঢুকাইলেন।

যন্ত্র হইতে বাহির হইয়া আসিল জাকির নালায়েক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন