আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১০

ঈশ্বর ও ইস্টার বানিতে ইতরবিশেষ নেই


শৈশবে আমরা রূপকথার অলীক কিছু চরিত্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি তাদের আছে অপরিসীম ক্ষমতা, আমরা তাদের ভয় করি। কিছুকাল পর বোধোদয় হয় আমাদের। আমরা উপলব্ধি করি আমাদের বোধভ্রান্তি। জেনে যাই, ভূত-পেত্নি, রাক্ষস-খোক্কস, সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান বলে কিছু নেই। সবই আমাদের কল্পনা। কিন্তু কাল্পনিক কিছুতে বিশ্বাস করার প্রবণতা আমাদের অধিকাংশের থেকেই যায়। আর তাই শৈশবের অলীক চরিত্রগুলোর স্থান দখল করে নেয় ভগবানেশ্বরাল্লাহ। এই বিশ্বাসের অসাড়তা যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে অনেকে হয়তো অনুধাবন করতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করার অভ্যেসটি ত্যাগ করা হয় না অধিকাংশের। ভূত-পেত্নি, রাক্ষস-খোক্কস, সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান ও ভগবানেশ্বরাল্লাহর মধ্যে আদতে কোনও তফাতই নেই, দিবালোকের মতো স্পষ্ট সেই সত্যটি অনেকে মাথাতে আনতে চায় না। ভয় পায় তারা, যদি বিশ্বাস হারিয়ে যায়! অথচ ভিত্তিহীন বিশ্বাস হারানোর ভেতরে আছে দাসত্ব থেকে মুক্তির অপার আনন্দ। সে আনন্দ যে কতো তীব্র, কতো প্রবল, কতো সুখদায়ী, তা জানে শুধু ঈশ্বরবিশ্বাসহীনেরা। 

পাশ্চাত্যের শিশুদের কাছে রূপকথার একটি প্রিয় চরিত্রের নাম ইষ্টার বানি। শিশুরা বিশ্বাস করে, ইস্টারপূর্ব রজনীতে সে শিশুদের জন্যে ঝুড়িভর্তি রঙিন ডিম, ক্যান্ডি আর খেলনা নিয়ে আসে ঘরে ঘরে। আট মিনিট দীর্ঘ এক শর্ট ফিল্মে এক নিরীশ্বরবাদী যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করে দেখাচ্ছেন এক বিশ্বাসীকে যে, এই ইস্টার বানি আর ঈশ্বরের মধ্যে বস্তুত কোনও ইতরবিশেষ নেই। 

খুব উপভোগ্য। অবশ্যদ্রষ্টব্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন