আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ১২

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

সুপ্রিয় পাঠকগণ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকা---থু---------------।

আশা করি ভাল আছেন। কোরাণের অমূল্য বাণীর অমৃতধারা নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। আসলে মহান আল্যার এই বাণী এমনই শ্রুতিমধুর যে, বেশিদিন তা শ্রবণ না করলে আমাদের দিল বড়ই বেচুইন হয়ে যায়। তাই আপনাদের ঈমানী জোশকে সতেজ রাখতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। 

আল্যা নাকি নিরাকার। তিনি পুংলিঙ্গও না, স্ত্রীলিঙ্গও না। এ কথা আমাদের পেয়ারা নবীর। তিনি সম্ভবত ক্লীবলিঙ্গ। কিন্তু আল্যা নিজের অজান্তেই তাঁর একটি আয়াতে তাঁর লিঙ্গ সম্পর্কে আভাস দিয়েছেন।

বিশ্বাস হচ্ছে না? আজকের আসরের প্রথম আয়াতটিই আল্যার লিঙ্গ বিষয়ক। আর সর্বশেষ আয়াতটি আল্যার জীববিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দানকারী।

চলুন তবে, বিচমিল্লা বলে আজকের আসর শুরু করি। প্রথমে আল্যার মুখনিঃসৃত আয়াতগুচ্ছ।


১) সূরা আল-আন-আম, আয়াত ১০১: আল্যা বলেছেন, সঙ্গিনী ছাড়া কিভাবে তাঁর পুত্র হতে পারে? অর্থাৎ আল্যার পুত্র হতে হলে সঙ্গিনী দরকার। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি পুরুষ। আল্যার এতবড় ইশারা আমাদের পেয়ারা নবী বুঝতে পারেন নাই। কারণ তিনি ছিলেন নিরক্ষর। ব্যাকরণ বইয়ের লিঙ্গ অধ্যায়টি তাঁর পড়া না থাকার কারণে তিনি বিষয়টি ধরতে পারেন নি। তবে ব্যাকরণের লিঙ্গ না বুঝলেও বাস্তবে তাঁর লিঙ্গ বিষয়ক জ্ঞানের ভান্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ। জন্মগত ভাবে যারা মুসলমান, তাদের মুসলমানিত্ব নিশ্চিত করতে লিঙ্গত্বক কর্তনের যে রীতি তিনি প্রবর্তন করেন, তা আজও মানবসভ্যতার বিস্ময় হয়ে আছে। লিঙ্গত্বকের সাথে যে ধর্মের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে, তা তাঁর আগে আর কেউই বুঝতে পারেন নি।

২)  সূরা আল-আন-আম, আয়াত ১১৬: এখানে আল্যা বলেছেন, বেশীর ভাগ মানুষের কথা না মানতে, অর্থাৎ বিশ্বাস না করতে। কারণ বেশীরভাগ মানুষ অনুমানভিত্তিক কথা বলে। আসলে মোহা-ম্যাড এর আমলে, যখন তার অনুসারীর সংখ্যা কম ছিল, তখন আল্যা এই আয়াতটি নাযিল করেন, যাতে মোহাম্যাড এর অনুসারীরা অন্য ধর্মের অনুসারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মান্তরিত না হয়। এই আয়াতের ভিতর দিয়ে এ সহজ সত্যটা বড্ড নগ্নভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। 

৩) সূরা আল-আন-আম, আয়াত ১১৮: এ আয়াতটিতে আল্যা বলেছেন, যে জন্তুর উপর আল্যার নাম উচ্চারিত হবে, তা থেকে খেতে। অর্থাৎ যে কোনো জন্তুকে আল্যার নামে কোরবাণী দিলে তা খাওয়া জায়েজ। কিন্তু আল্যা নিজেই আরেক আয়াতে বলেছেন নখবিশিষ্ট জন্তু না খেতে। আসলে প্রথমে আল্যা যে কোনো জন্তু খাবার নির্দেশ দিলেও পরে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত বদলান। সুবহানাল্লাহ। 

একটা জিনিসই বুঝলাম না। আল্যার মত সর্বজ্ঞানী, ত্রিকালদর্শীর সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে কেন?

৪) সূরা আল-আন-আম, আয়াত ১২০ এবং আয়াত ১২৩: প্রথম আয়াতে আল্যা প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্ন গুনাহ ত্যাগ করতে বলেছেন। বেশ ভাল কথা। কিন্তু পরের আয়াতে আল্যা বলেছেন, তিনিই নাকি বিভিন্ন জনপদে অপরাধীদের সর্দার নিয়োগ করেছেন, যাতে তারা সেখানে ষড়যন্ত্র করে। আল্যা নিজেই তাদেরকে অপরাধী বানিয়ে দুনিয়াতে পাঠাল, অর্থাৎ তাদের গুনায় আল্যার প্রত্যক্ষ ভুমিকা আছে। আবার আল্যা মুমিন মোচলমানদের গুনাহ করতে নিষেধ করছেন।

সত্যিই, আল্যার লীলা বোঝা বড় ভার। 

৫) সূরা আল-আন-আম, আয়াত ১৪২: আল্যা বলেছেন, তিনি চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে বোঝা বহনকারী (যেমন: গাধা, উট) ও খর্বাকৃতিকে (যেমন: খচ্চর) সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ আল্যা এমন সব জন্তুকে বুঝিয়েছেন, যা কেবল আরবীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও যে আরও হাজার রকমের চতুষ্পদী জন্তু আছে, তাদের কথা কিন্তু আল্যা বলেন নি। এ থেকে আল্যার জীববিজ্ঞান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

আজ তবে পর্যন্তই থাক। অমৃতধারা বেশী পান করলে বদহজম হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন