আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০১০

হাঙর, বজ্রপাত ও ইসলাম: একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা

লিখেছেন আসিফ মহিউদ্দীন

ইসলাম হচ্ছে শান্তিইইইর ধর্ম। এই ধর্মটা এতটাই শান্তির আর এই ধর্মের অনুসারীরা এতটাই শান্তিপ্রিয় যে, পাশ্চাত্যে বর্তমানে এক ভয়াবহ ভীতির জন্ম নিয়েছে এবং এই ভীতি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এই ভীতির নাম হচ্ছে ইসলামভীতি বা ইসলামোফোবিয়া। ইসলামোফোবিয়াতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে শুধু পাশ্চাত্যেই নয়, মুসলিম জনগোষ্ঠী পর্যন্ত এই ইসলামোফোবিয়াতে আক্রান্ত হয়ে ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

কিন্তু না, তারপরেও আমাদের মোমিন মুসলমান ভাইয়েরা গলামোটা করে বলেই চলবে যে, ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। যেই বদমাইশ এই কথা মেনে নিতে অস্বীকার করবে, আমাদের ইসলামের জিহাদী ভাইয়েরা তার কল্লা নামিয়ে সেখানেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। কিছুতেই ইসলামের অমর্যাদা করা যাবে না, যায় মানুষ তো যাক না, ঝরুক রক্ত তো ঝরুক না, কী আসে যায়? ঐ যে একটা জোক আছে না?

একজন বলছে, "হাজী সাহেব, লোকে বলে আপনার নাকি মুখ খারাপ।"
হাজী সাহেব, "কোন খা*কীর পোলা কয় আমার মুখ খারাপ? ওর মায়েরে *দি।"

পাশ্চাত্য এবং বর্তমানে প্রায় সব দেশেই এই ইসলামোফোবিয়া কি একেবারেই অমূলক, ভিত্তিহীন আতংকের নাম? ইসলামপন্থীদের প্রায়ই মোটাগলায় বলতে শোনা যায়, গুটিকয়েক উগ্র মানুষের কর্মকাণ্ডকে বিবেচনা করে ইসলামকে দোষ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সকল মুসলিমই উগ্রপন্থী বোমা-চাপাতিবাজ না হলেও সকল ধর্মান্ধ মৌলবাদী জঙ্গী সন্ত্রাসীই মুসলিম। আর যে-ধর্মের প্রবর্তক ছিল বিখ্যাত ডাকাত সর্দার এবং বিখ্যাত লম্পট, নারী ধর্ষণকারী, চরম রেসিস্ট এবং শিশুকামী, তার অনুসারীদের কাছ থেকে যে এরকম আচরন পাওয়া যাবে, সেটাই স্বাভাবিক।

পাশ্চাত্যের সমাজের বেশ কয়েকটা প্রচলিত আতংকের সাথে যদি আমরা ইসলামোফোবিয়ার তুলনা করি, তাহলে কী দেখতে পাই?

সাধারণত যে সমস্ত বিষয় নিয়ে মানুষ আতংকিত থাকে, ভীতির মধ্যে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমুদ্রের মানুষখেকো হাঙরের ভয় এবং বজ্রপাতে মৃত্যুর ভয়। আমরা বিভিন্ন হলিউড মুভিতে দেখি হাঙর কীভাবে লোকালয়ের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে এবং মানুষ মেরে খেয়ে একাকার করে ফেলে। খুবই রক্তারক্তিতে ভরপুর রগরগে সিনেমা। এই নিয়ে মানুষ একটু আতংকে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। ইন্টার্নেশনাল সেইলিং ফেডারেশনের (ISAF) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০৯ সালে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ৬১ বার বিভিন্ন ভাবে মানুষখেকো হাঙর আক্রমণ চালিয়েছিল, সেই আক্রমণগুলোতে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং ৫৪ জন আহত হয়েছেন। সংখ্যায় অল্প হলেও হাঙরের পেটে যাওয়াটা যথেষ্ট ভয়ের উদ্রেক করে।

বজ্রপাত আরও বেশী ভয়াবহ। ন্যাশনাল ওশেনিক এন্ড এটমোসফেরিক এডমিনিস্ট্রেশনের (NOAA) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০৯ সালে আমেরিকাতে মোট ৩৪ জন বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেছেন, সারা পৃথিবীতে বছরে এই সংখ্যাটা হচ্ছে প্রায় ১০০০-এর কাছাকাছি এবং আহতের সংখ্যা ৫০০০-এর মত। নিঃসন্দেহে এটা একটা ভীতিকর পরিসংখ্যান। যে কোনো মানুষ বজ্রপাতের ভয়ে ভীত থাকলে সেটাকে অমুলক বলে হেসে উড়িয়ে দেবার কোনো উপায় নাই। 

যদিও এটা সত্য যে, সকল হাঙরই আক্রমণ করে মানুষ মেরে ফেলে না, বা সকল বজ্রপাতেই মানুষ মারা যায় না, তারপরেও পরিসংখ্যানগুলো ভাল রকমই ভীতি সৃষ্টি করতে সক্ষম। কোনো সমুদ্রে হাঙ্গর দেখা দিলে নিশ্চয় মানুষ হাঙরকে শান্তিপ্রিয় জীব ভেবে খাবার দিয়ে কাছে ডাকবে না বা বজ্রপাত শুরু হলে কিছুই হবে না ভেবে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে না।

কিন্তু মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীরা এর চাইতে অনেক বেশি ভয়াবহ হওয়া সত্বেও তাদেরকে শান্তিপ্রিয় নামেই ডাকতে হবে, অন্যথায় কল্লা যাবার সম্ভাবনা শতভাগ। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট অনুসারে, ২০০৯ সালে সারা বিশ্বব্যাপী ১০৯৯৯ টা সন্ত্রাসী আক্রমণ ঘটে যার প্রায় অর্ধেকই ঘটিয়েছে মৌলবাদী ইসলামী (সুন্নী) জঙ্গীরা। যদিও অন্য একটি সূত্র থেকে দেখা যাচ্ছে যে, তারা ২০০৯ সালে মাত্র (!) ১৯০০ টা আক্রমন ঘটিয়েছে, তারপরেও সেই আক্রমণে ৯০০০ মানুষের প্রান গেছে এবং ১৮৫০০ মানুষ আহত হয়েছেন।

এই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে, একজন সাধারণ মানুষের মানুষখেকো হাঙরের আক্রমণের মুখে পড়ার থেকে একজন মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীর আক্রমণের শিকার হবার সম্ভাবনা প্রায় ৩০ গুন বেশি এবং মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীটির হাতে পৈত্রিক জীবনটা খোয়ানোর সম্ভাবনা প্রায় এক'শ গুন বেশি। কিন্তু হাঙর-আতঙ্কে ভোগাতে কেউ কোনো সমস্যা দেখে না, যদিও একজন সাধারণ লোকের মানুষখেকো হাঙরের মুখে পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই শূন্যের কাছাকাছি।

হাঙরকে ভয় পাবার যথেষ্ট কারণ অবশ্যই রয়েছে। যেমন,

১। প্রচণ্ড হিংস্র শিকারী মনোভাব: হাঙর প্রচণ্ডরকম হিংস্র এবং তার শিকারী মনোভাবের জন্য সে বিখ্যাত। সে আপনাকে আক্রমণ করবে আপনার চরম অসতর্ক মুহূর্তে। আপনি হয়তো আপনার ছেলেমেয়েদের নিয়ে সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন, আনন্দ করছেন, আবেগে ভেসে গিয়ে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেছেন, সেই সময়ে আতর্কিত আক্রমণ চালাবে হাঙ্গর, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখবেন আপনার বাচ্চাদের রক্তাক্ত দেহ, আপনার স্ত্রীকে খুবলে খেয়ে নিয়েছে হাঙ্গর। আপনি হয়তো একটি পা হারিয়ে কোনোরকমে তীরে উঠেছেন, কিন্তু ততক্ষণে আপনার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে সমুদ্রে।

২। লক্ষ্যের প্রতি অবিচল মনোভাব: হাঙরের স্বভাব হচ্ছে, সে বেশ কিছু দুর থেকে আপনাকে লক্ষ্য করবে, আপনার গতিবিধি থেকে শুরু করে সব কিছুই সে পরখ করবে সূক্ষ্মভাবে। তার লক্ষ্য হবেন আপনি, সে আক্রমণের সময় আর কিছুই ভাববে না, শুধু আপনিই হবেন তার সমস্ত চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু। হাঙরের এই মনোবৃত্তি তার স্বভাবগত এবং আপনি কিছুতেই বুঝে উঠবেন না হাঙ্গরের এই ভয়ংকর মানসিকতা। 

৩। মায়ামমতা- ও আবেগহীন: হাঙর আক্রমনের সময় আপনার প্রতি বিন্দুমাত্র মায়া দেখাবে না, যতটা সম্ভব হিংস্রভাবেই সে আপনাকে আক্রমণ করবে এবং নিশ্চিত করবে আপনার মৃত্যু। আপনি যে একজন মানুষ এবং আপনার জীবনের যে বিন্দুমাত্র মূল্য থাকতে পারে, তা নিয়ে হাঙরের বিন্দুমাত্র চিন্তা করার সময় নেই।

৪। আতংকসৃষ্টি: হাঙর একটা ঠাণ্ডামাথার খুনী, সে আপনাকে খুব ঠাণ্ডামাথায় খুন করবে, এবং মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করতে তার কোন কার্পণ্য নেই।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই সব বৈশিষ্ট্যই একজন মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাথে খাপে খাপে মিলে যায়।

১। প্রচণ্ড হিংস্র শিকারী মনোভাব: মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গী প্রচণ্ডরকম হিংস্র এবং আত্মঘাতি বোমা মেরে মানুষ হত্যার জন্য সে বিখ্যাত। সে আপনাকে আক্রমণ করবে আপনার চরম অসতর্ক মুহূর্তে। আপনি হয়তো আপনার ছেলে মেয়েদের নিয়ে মার্কেটে ঘুরতে গেছেন বা রমনার বটমূলে গান শুনছেন, আনন্দ করছেন, আবেগের অতিসায্য স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেছেন, সেই সময়ে অতর্কিত আক্রমণ চালাবে সে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখবেন আপনার বাচ্চাদের রক্তাক্ত দেহ, আপনার স্ত্রীর মাথা উড়ে গেছে বোমার আঘাতে। আপনি হয়তো হাত-পা হারিয়ে কোনোরকমে বেঁচে গেছেন, কিন্তু ততক্ষণে আপনার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে।

২। লক্ষ্যের প্রতি অবিচল মনোভাব: মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীদের স্বভাব হচ্ছে, সে আপনাকে লক্ষ্য করবে, আপনার গতিবিধি থেকে শুরু করে সব কিছুই সে পরখ করবে সূক্ষ্মভাবে। তার লক্ষ্য হবেন আপনি, সে আক্রমণের সময় আর কিছুই ভাববে না, তার পরিবার, তার পিতামাতা ভাইবোন, শুধু আপনিই হবেন তার সমস্ত চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু। আপনাকে হত্যা করতে পারলেই সে পাবে বেহেশতের চাবি, আর অসংখ্য হুর। কোরআনে তাকে ৭০ এর অধিক হুরের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এই কাজের জন্য। মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীদের এই মনোবৃত্তি তাদের মাথায় ছোটবেলা থেকে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, ঘৃণা করতে শেখানো হয়েছে, তাদের শেখানো হয়েছে - শরিয়ত, খিলাফত এবং আল্লার আইন ছাড়া সব কিছুই কুফর এবং এদেরকে পৃথিবী থেকে বিতাড়িত করাটাই পূণ্যের কাজ। তাদের বোঝানো হয়েছে, তাদের ধর্ম বিশ্বাস করা ছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন অধিকার অন্যদের নেই, এবং ইসলাম তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছে পৃথিবী থেকে মুসলিম ভিন্ন অন্য সকলকে মেরে সাফ করার। আপনি অনেক ভেবেও বুঝতে পারবেন না কেন তারা এমন করছে, কী লাভ হবে এতে?

৩। মায়ামমতা- ও আবেগহীন: মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীরা আক্রমণের সময় আপনার প্রতি বিন্দুমাত্র মায়া দেখাবে না, যতটা সম্ভব হিংস্রভাবেই সে আপনাকে আক্রমণ করবে এবং নিশ্চিত করবে আপনার মৃত্যু। আপনি হয়তো তাদের বোমার আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে গেছেন, তারা হাসপাতালেই পুঁতে রেখেছে আরেকটা বোমা (এই ঘটনা সৌদী আরবে ঘটেছিল)। আপনার মৃত্যু নিশ্চিত করাই তার প্রধান লক্ষ্য, আপনার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারলেই সে পাবে সত্তর হুরের সাথে অনন্তকাল ছহবতের সুযোগ। আপনিও যে একজন মানুষ এবং আপনার জীবনের যে বিন্দুমাত্র মূল্য থাকতে পারে, তা নিয়ে ইসলামের এই মাথামোটাটির বিন্দুমাত্র চিন্তা করার সময় নেই।

৪। আতংকসৃষ্টি: মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীরা ঠাণ্ডামাথার খুনী, সে আপনাকে খুব ঠাণ্ডামাথায় খুন করবে, এবং মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করতে তাদের কোন কার্পণ্য নেই। ইসলাম ধর্মের মুল ব্যবসাটাই গড়ে উঠেছে ভয় আর লোভের ওপরে ভিত্তি করে, সে আপনাকে ভয় দেখাবে পরকালে আল্লার ভয়াবহ অত্যাচারের, আর বিশ্বাস আনলে বেহেশত নামক বেশ্যালয়ে ঢোকার লোভের। এতে ব্যর্থ হলে সে বোমা মারবে আপনার ওপরে, আল্লাহো আকবর বলে চাপাতি চালাবে নির্দ্বিধায় আপনার গলায়। এই ভয় তারা ছড়িয়ে দেবে অন্যদের মধ্যে, যেন কেউ আর ইসলামের দিকে আঙুল তুলতে না পারে, বা হাঁটু গেড়ে ইসলামের আধিপত্য মেনে নিতে বাধ্য হয়।

৫। ঘোষিত লক্ষ্য: এটা মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গীদের আরও একটা ভয়াবহ বৈশিষ্ট্য। তারা ঘোষণা দিয়েই আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে, আপনার ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সাহিত্য,শিল্পকলা, সৌন্দর্য্যবোধ, আপনার রাষ্ট্রব্যবস্থা, আপনার রাজনৈতিক আদর্শ, আপনার ব্যক্তিজীবন, জীবনযাপন প্রণালী সব কিছুকেই সে নিয়ন্ত্রণ করবে, ধ্বংস করবে। তারা আপনার আশেপাশেই ভাল মানুষের মত বাস করবে, তাদের চেহারা দেখলেই আপনার মনে হবে শান্তশিষ্ট ভাল মানুষ। অথচ ভেতরে ভেতরে সে আপনার প্রতি পোষণ করবে ঘৃণা, বিদ্বেষ। কেন নয়? তার ধর্মগ্রন্থ তাকে শেখাচ্ছে মুসলিম ছাড়া সকলেই হচ্ছে খোদা অমান্যকারী, নরকের জ্বালানী। মুসলিম ছাড়া অন্য সকলকেই পৃথিবী থেকে উচ্ছেদ করতে পারলেই পৃথিবীতে কায়েম হবে আল্লার শাসন, মুহাম্মদের শরীয়ত। তারা চাইবে আপনার দেশে ইসলাম কায়েম করতে, এবং আপনি অমুসলিম হলে আপনাকে দ্বিতীয়শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করতে, ক্রীতদাস বানাতে। আর মুসলিম হলে সে ধ্বংস করবে আপনার প্রাচীন ঐতিহ্য, আপনার সংস্কৃতি, আপনার সভ্যতা। সেখানে তারা কায়েম করবে মরু আরবের বর্বর ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-সভ্যতা।

তারা এভাবেই লুকিয়ে রাখবে আপনার কাছ থেকে তাদের কুৎসিত চেহারা, এবং সতর্ক হবার আগেই আপনাকে আক্রমণ করে শেষ করে দেবে।

নাহলে কে ভেবেছিল সৌদী বংশোদ্ভুত ছেলেটা, যে জার্মানীর একটা কলেজে পড়ালেখা করেছে, এক বছরের বেশি সময় আমেরিকাতে বেসরকারী প্লেন চালিয়েছে, সে আমেরিকার ইতিহাসে সব চাইতে ভয়াবহ আক্রমণ ঘটিয়ে ফেলবে?

কে ভেবেছিল যে, আমেরিকাতে জন্ম নেয়া একজন মুসলিম আর্মী অফিসার বেপরোয়া গুলি চালিয়ে তার ১৩ জন সহকর্মীকে হত্যা করবে আর তিরিশের উপরে মানুষকে আহত করবে?

তাই সমুদ্রে হাঙর ঘোরাফেরা করতে দেখলে সমুদ্রে না নামাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কে জানে, হাঙরগুলো মানুষখেকো কিনা? এরকম অবস্থায় পানিতে নামাটাই বরঞ্চ বোকামী।

একই ভাবে কে বলতে পারে, আশেপাশের একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম আপনাকে ইহুদী নাসারা নাস্তিক কাফের সন্দেহে হত্যা করবে কি না? সে উগ্রপন্থী কি না, তা তাকে দেখে বোঝার তো কোনো উপায় নাই। সে যদি তার ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাসী হয়ে থাকে, তবে আপনাকে সে ঘৃণা করবে, যদি না আপনি তার মতই ইসলামে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন। সে আপনাকে ঘৃণা করবে, মনে মনে সে আপনার মৃত্যু কামনা করবে, এবং আপনাকে ইসলামের পথে নিয়ে যেতে চেষ্টা করবে। সে চেষ্টা করবে আপনার সংবিধান ধ্বংস করতে, আপনার দেশ দখল করে সেখানে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে। আপনি যদি শরীয়ত পছন্দ না করেন এবং শরীয়তের পাথর মারা বা হাতকাটা ধরনের আইনগুলোর সমালোচনা করেন, নির্দ্বিধায় আপনার কল্লা নামিয়ে দিতে একটুও দেরী করবে না কোরআন বিশ্বাসী এই মুসলিমরা। 

আশেপাশে তাই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের আনাগোনা বেড়ে গেলে সে অঞ্চল ত্যাগ করাই ভাল। আর ওপরের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্টই বলা যায় যে, হাঙর বা বজ্রপাত অপেক্ষা কোরআন হাদিস অনুসারী মুসলিম ঢের ভয়াবহ জীব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন