আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১০

সম্ভাব্য বিশ্বশান্তিতে নাস্তিকদের সম্ভাব্য অবদান

মাত্র কয়েকদিন আগেই ধর্মগুলোর নাস্তিক্যবাদভীতি মন্তব্য করেছিলাম পোস্টে: "পৃথিবীতে নির্ধার্মিকের সংখ্যা নেহাতই নগণ্য। তবু পুরুত-মোল্লা-পাদ্রীরা তথা অধিকাংশ ধর্মবিশ্বাসী এদেরকে রীতিমতো হুমকি বলে মনে করে থাকে। বুঝি না, এতো ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী কী করে হুমকি হতে পারে ধর্মবিশ্বাসীদের বিশাল ব্যাটেলিয়নের কাছে?"

এবং নেহাত ঠাট্টা করেই আরও লিখেছিলাম: "আমার তো ভয় হচ্ছে, ক্ষুদ্র নাস্তিকগোষ্ঠীকে ঠ্যাকাতে সবগুলো ধর্ম যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়ে!"

দেখা যাচ্ছে, ঠাট্টা নয়। এমন চিন্তা বিশ্বাসীদের মাথায় আছে! ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংকো ফাত্তিনি ভ্যাটিকানের পত্রিকা Osservatore Romano-তে এক নিবন্ধে লিখেছেন, নাস্তিকেরা ন্যায়ভ্রষ্ট বা বিপথগামী (perverse) এবং তারা সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ (ইতালীয় ব্লগার মার্ক অ্যালান দি মার্তিনো নিজের ব্লগে বিশদ লিখেছেন এ ব্যাপারে)। তিনি সেকুলার এক্সট্রিমিস্টদের (সেকুলার এক্সট্রিমিস্ট - চমৎকার আরেকটি  oxymoron ) বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবার জন্যে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন। 

উপরোক্ত তিন ধর্মের ইতিহাস মূলত পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, গণহত্যা, হত্যা, অত্যাচার, দাঙ্গা ও জঙ্গিবাদের ইতিহাস। সেই তিন ধর্ম ঐক্যবদ্ধ হবে? হোক না! হলে বিশ্বে সাময়িক যে শান্তি নেমে আসবে, তাতে নাস্তিকদের অবদান অন্তত অস্বীকার করতে পারবে না কেউ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন