আমরা, নাস্তিকেরা, নাকি কোরান-হাদিস ঘেঁটে আউট অভ কনটেক্সট উদ্ধৃতি উপস্থাপন করি এবং চেষ্টা করি ইসলামকে অন্যায়ভাবে বেকায়দায় ফেলতে (এটাকে "পচা চেরি পিকিং" বলা যায় না?
)।
এক ইসলামী সাইটে পেলাম নারী সংশ্লিষ্ট কিছু হাদিস। বেছে বেছে শ্রেষ্ঠ হাদিসগুলোই নিশ্চয়ই রাখা হয়েছে এই তালিকায়। এবং সংকলকও বদের বদ কোনও নির্ধর্মী নিশ্চয়ই নয়। তবু এই তালিকায় এক নজর চোখ বুলিয়েই চোখে পড়ে পরস্পরবিরোধিতা, নারীকে হীন প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা, তাকে সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত করার জ্বলজ্যান্ত সব নমুনা...
এক হাদিসে বলা হচ্ছে: Woman’s Freedom to Go out for their Needs, আবার এক হাদিস পরেই বলা হচ্ছে: Woman should take the Permission of Her Husband before Going out. কী বুঝলেন?
আরও পড়ুন:
> মেয়েদেরকে ঘরে নামাজ আদায় করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে (যদিও জামাতে নামাজ পড়লে ছওয়াব বহুগুণে বেশি, তবে সে সুযোগ শুধু পুরুষেরা ভোগ করবে এবং ছওয়াব উপার্জনের দৌড়ে মেয়েদের চেয়ে অনেক এগিয়ে যাবে);
> ঘরের বাইরে যাবার সময় পারফিউম মাখা নারীদের জন্য নিষিদ্ধ;
> জাফরানরঞ্জিত পোশাক পুরুষেরা পরতে পারবে, নারীরা নয়;
> উঁচু জুতো (হাই হিল?) পরা নিষিদ্ধ;
> বোরখাহীন মেয়ে is a cause of corruption;
> স্বামী বা কোনও নিকটাত্মীয় পুরুষের (ইসলামী নিয়মমতে যার সঙ্গে বিয়ে অসম্ভব) সঙ্গ ছাড়া মেয়েরা ঘুরতে বেরোতে পারবে না;
> মেয়েরা ডিভোর্স চাইতে পারবে না কারণ ছাড়া (তার মানে, পুরুষেরা পারবে? আর কারণ ছাড়া ডিভোর্স চাওয়া কি আদৌ সম্ভব?);
> স্বামীর যৌনতাড়নার সময় স্ত্রী সাড়া না দিলে (অর্থাৎ স্ত্রীর ইচ্ছে-অনিচ্ছের কোনই মূল্য নেই) ফেরেশতা সারারাতব্যাপী অভিশাপ বর্ষণ করবে স্ত্রীর উদ্দেশে;
> স্বামীর অনুমতি ছাড়া নিজের অর্থদানের অধিকার স্ত্রীর নেই (অথচ স্বামী নিজের টাকা স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এবং স্ত্রীর অগোচরে যথেচ্ছভাবে ব্যয় করতে পারবে, তাতে সমস্যা নেই)
...

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন