প্রার্থনার চেয়ে অচল, অকেজো ও অসফল আর কিছুই নেই। প্রার্থনায় কখনও কোনও কাজ হয়নি, হয় না, হবেও না - এ তো সরলতম সত্য। তবু যে কোনও দুর্যোগেই প্রার্থনা করার আহ্বান শুনতে পাই। এ যেন বাস্তব কোনও কাজ না করেও একটা কিছু "করার" ভান। কিন্তু প্রশ্ন জাগে মনে: ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই যদি সবকিছু হয়, তাহলে তার সৃষ্ট দুর্যোগে তারই কাছে প্রার্থনা করাটা কি নিরেট গাধামি নয়?
জাপানের সুনামি প্রসঙ্গে এক ব্লগার লিখেছেন:
জাপানের সুনামি প্রসঙ্গে এক ব্লগার লিখেছেন:
I don’t understand the logic in asking “god” to help in a disaster “god” supposedly had the governing hand in creating. It’s like asking a gunman to save the lives of all the people he just mowed down with his automatic machine gun.
বলা হয়ে থাকে, ঈশ্বরের আছে ঐশী পরিকল্পনা। তা-ই যদি হবে, তাহলে কারুর প্রার্থনার জবাব দিতে গেলে তো ঈশ্বরকে নিজের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে। তার চেয়ে বড়ো কথা, যখন কেউ দাবি করে, ঈশ্বর তার প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছে, তখন প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে: কিছু প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে বাকিগুলোর ক্ষেত্রে নির্লিপ্ত থাকলে তাকে স্পষ্টতই পক্ষপাতদুষ্ট বলতে হয়। (এ প্রসঙ্গে সুদর্শনা ক্রিস্টির দারুণ একটা ভিডিও আছে।)
নিচের পোস্টারে সেটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে না?
প্রার্থনার অসাড়তা বোঝাতে সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। কতো বিচিত্র ধরনের প্রার্থনা করেও ভগবানেশ্বরাল্লাহর মন টলানো গেল না। গেল না বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলা!
এসব থেকে একটা সিদ্ধান্তেই আসা যায়:




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন