এই সিরিজের লেখক নানান কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলে প্রায় দু'মাস লেখা দিতে পারেননি। তবে "আবার সে এসেছে ফিরিয়া"। সেই আদি স্বরূপে।
লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান
এচলামের নবীর চরিত্র এতটাই বর্ণময় যে, শুধু তার চরিত্রের বর্ণনা দিতে গেলেই কয়েকটা আরব্য রজনীর উপন্যাস লেখা যাবে। তার একই অঙ্গে কত যে রূপ, তা বলে শেষ করার মত নয়। মানব ইতিহাসের কুৎসিততম চরিত্র সে। অজ্ঞ সমাজের মানুষের অন্ধবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সে নিজের যাবতীয় বিকৃত-লালসাকে চরিতার্থ করেছে। ভয় এবং লোভ -- এই দুইটি অত্যন্ত নিম্নশ্রেণীর চালিকাশক্তিকে সে ব্যবহার করেছে মানুষকে বশে আনতে। তারপর তাদেরকে পরিচালিত করেছে সংঘাতময় অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের দিকে। তার সাম্রাজ্যবাদী চেতনাকে বাস্তবরূপ দিতে গিয়ে আজও মরছে মানুষ। নিজে ছিল মূর্খ, তবে ধূর্ত। জ্ঞানের প্রতি ছিল ভয়, সে জানত, মানুষের জ্ঞান বাড়ার সাথে সাথে ব্যস্তানুপাতে কমতে থাকবে অন্ধবিশ্বাসের প্রতি অন্ধ আনুগত্য। তাই তার অনুসারীদেরও সে জ্ঞানবিমুখ করে রাখতে চেয়েছিল।
নারীদেরকে সে মানুষ তো নয়ই এমনকি প্রাণী বলেও স্বীকৃত দিত বলে মনে হয় না। তাদেরকে সে খাদ্যবস্তুর মত ঢেকে রাখতে চাইত। 'বিশ্বাসী' এবং 'অবিশ্বাসী' নাম দিয়ে সে সমগ্র মানব জাতিকে দুটি ভাগে ভাগ করে ফেলে। এবং তাদের হৃদয়ে বপন করে ঘৃণার বীজ, সেই বীজ আজ মহীরূহ হয়ে গেছে। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী আয়াত তৈরী করে সেগুলোকে স্রষ্টা-প্রেরিত আদেশ হিসেবে প্রচার করত। আজকে আমরা এমনই কিছু আয়াত নিয়ে আলোচনা করবো।
সূরা আত-তওবাহ, আয়াত ৬১ ও ৬২: নবী বিশ্বাস রাখে মুসলমানদের কথার উপর অর্থাৎ বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের একমাত্র মাপকাঠি হল লিঙ্গাগ্রত্বকহীনতা। যতক্ষণ সেটি করা না হচ্ছে, ততক্ষণ সে নবীর বিশ্বাসভাজন হবার যোগ্যতা লাভ করবে না। একজন ব্যক্তির মানুষ পরিচয়ের চেয়ে নবীর কাছে মুসলমানিত্বই বড়। একজন ব্যক্তি, সে মিথ্যাবাদী বলে পরিচিত হলেও শুধুমাত্র মুসলমান হবার কারণে নবী তার কথায় বিশ্বাস করবে, অথচ অপর একজন ব্যক্তি সে সত্যবাদী বলে সর্বজনবিদিত হলেও তিনি নবীর বিশ্বাসভাজন হবার যোগ্য নন। ৬২ নং আয়াতে কুচক্রি নবীর আড়ালের চেহারাটা আরও একবার প্রকাশ হয়ে গেল। কথায় কথায় আল্যাফাকের নামে কসম কাটার কারণ হল নবী তোমাদিগকে অর্থাৎ তার অনুসারীদেরকে সন্তুষ্ট করতে চান। তাদের কাছে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো কিংবা তাদের যেকোন প্রশ্নকে পাশ কাটানোর সহজ পদ্ধতি হলো নবীর মনগড়া কিছু কথা আল্যাফাকের নামে চালিয়ে দেয়া। ধুরন্ধর আর কাকে বলে!!
সূরা আত-তওবাহ, আয়াত ৭৩: এখানেও মহান দয়াময় আল্যাফাকের জল্লাদস্বরূপ মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অবিশ্বাসীদের কাবাব বানানোর জন্য শালা দোযখে বিশাল চুল্লী বানিয়েছে, হাজার হাজার বছর ধরে কাফেররা পুড়ে ছটফট করছে, চিৎকার করছে, এ দৃশ্য দেখে বিমলানন্দ পাবার জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানীও সে খরচ করবে এবং এসব করেই শালা সন্তুষ্ট না, এ দুনিয়াতেও তাদের কষ্ট দিতে চায়। তাই নবীকে আয়াত পাঠালো, অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন করতে। এক অপরাধে দু'বার শাস্তি দেয়ার মত নিদারুণ প্রতিশোধপরায়ণ পশুটি বার বার আয়াত পাঠিয়ে বলছে আমি দয়াময়, আমি দয়াময়। হাজার বছর কাফের পোড়ানোর জন্য সংরক্ষিত জ্বালানীর কোটিভাগের একভাগও যদি পৃথিবীতে দিয়ে দিত, তাহলে আর লোকে সিএনজি কনভার্সন করে গাড়ি চালাত না, অক্টেন দিয়েই চালাত। এতবড় অপচয়ের হোতা হয়ে সে আবার বুলি ছাড়ে - অপচয়কারী নাকি শয়তানের ভাই।
সূরা আত-তওবাহ, আয়াত ১০৩: আল্যাফাক নবীকে বলছে তাদের অর্থাৎ বিশ্বাসীদের কাছ থেকে যাকাত গ্রহণ করতে। নবীর লোভের নমুনা দেখুন!!! খাদিজা নামে এক মধ্যবয়সী সম্পদশালী মহিলা যাকে শুধু সম্পদের কারণে সে বিয়ে করেছিল--তার সম্পদ, মক্কার সওদাগরদের কাফেলার উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে লুটে আনা সম্পদ হতে পছন্দমত ভাগ নেয়া, জিহাদের নামে অনুসারীদের দেশদখল ও ডাকাতি করে আনা সম্পদের ভাগ ও নারীর ভাগ-----এতকিছু থাকা সত্বেও সে যাকাত নেবে অনুসারীদের কাছে থেকে, যাতে অনুসারীদের সম্পদ বরকতময় হয়। এই জন্য আল্যাফাকের নামে এই আয়াত সে নাযিল করে। সহজ ভাষায়, অবিশ্বাসীদেরটা তো লুটবেই, সাথে বিশ্বাসীদের কাছে থেকেও যাকাতের নামে কিছু হাতিয়ে নেয়া।
সূরা আত-তওবাহ, আয়াত ১১১: আল্যাফাকের তো কোন কাজ নাই। দুনিয়া বানিয়ে তামাশা দেখছে। হিসাব-নিকাশ করার দায়িত্বটাও দুই-কাঁধের দুই ফেরেশতার উপর চাপিয়েছে। এখন বাণিজ্য করছে মোমিন মুচলমানদের সাথে। কীভাবে? তাদের জান-মাল কিনছে জান্নাতের প্লটের বিনিময়ে, আর তাদেরকে পাঠাচ্ছে জিহাদের নামে আরেক দেশ লুট করতে। গণিমতের মালকে যায়েজ ঘোষণা করে আল্যাফাক এই লুটতরাজকে প্রত্যক্ষ মদদ দিচ্ছে। এরপরও বেহায়ার মত নিজেকে বিচক্ষণ, দয়াময় ও ক্ষমাশীল বলে দাবী করছে।
কোরানের পোস্টমর্টেম আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আল্যাফাক ও মুহাম্মদের উপর মানবতাবাদীদের লানত বর্ষিত হোক। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ুক সকল মানুষের হৃদয়ে। মানবতা মুক্তি পাক সমস্ত কুসংস্কার থেকে। ধন্যবাদ।
সূরা আত-তওবাহ, আয়াত ৭৩: এখানেও মহান দয়াময় আল্যাফাকের জল্লাদস্বরূপ মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অবিশ্বাসীদের কাবাব বানানোর জন্য শালা দোযখে বিশাল চুল্লী বানিয়েছে, হাজার হাজার বছর ধরে কাফেররা পুড়ে ছটফট করছে, চিৎকার করছে, এ দৃশ্য দেখে বিমলানন্দ পাবার জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানীও সে খরচ করবে এবং এসব করেই শালা সন্তুষ্ট না, এ দুনিয়াতেও তাদের কষ্ট দিতে চায়। তাই নবীকে আয়াত পাঠালো, অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন করতে। এক অপরাধে দু'বার শাস্তি দেয়ার মত নিদারুণ প্রতিশোধপরায়ণ পশুটি বার বার আয়াত পাঠিয়ে বলছে আমি দয়াময়, আমি দয়াময়। হাজার বছর কাফের পোড়ানোর জন্য সংরক্ষিত জ্বালানীর কোটিভাগের একভাগও যদি পৃথিবীতে দিয়ে দিত, তাহলে আর লোকে সিএনজি কনভার্সন করে গাড়ি চালাত না, অক্টেন দিয়েই চালাত। এতবড় অপচয়ের হোতা হয়ে সে আবার বুলি ছাড়ে - অপচয়কারী নাকি শয়তানের ভাই।
সূরা আত-তওবাহ, আয়াত ১০৩: আল্যাফাক নবীকে বলছে তাদের অর্থাৎ বিশ্বাসীদের কাছ থেকে যাকাত গ্রহণ করতে। নবীর লোভের নমুনা দেখুন!!! খাদিজা নামে এক মধ্যবয়সী সম্পদশালী মহিলা যাকে শুধু সম্পদের কারণে সে বিয়ে করেছিল--তার সম্পদ, মক্কার সওদাগরদের কাফেলার উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে লুটে আনা সম্পদ হতে পছন্দমত ভাগ নেয়া, জিহাদের নামে অনুসারীদের দেশদখল ও ডাকাতি করে আনা সম্পদের ভাগ ও নারীর ভাগ-----এতকিছু থাকা সত্বেও সে যাকাত নেবে অনুসারীদের কাছে থেকে, যাতে অনুসারীদের সম্পদ বরকতময় হয়। এই জন্য আল্যাফাকের নামে এই আয়াত সে নাযিল করে। সহজ ভাষায়, অবিশ্বাসীদেরটা তো লুটবেই, সাথে বিশ্বাসীদের কাছে থেকেও যাকাতের নামে কিছু হাতিয়ে নেয়া।
সূরা আত-তওবাহ, আয়াত ১১১: আল্যাফাকের তো কোন কাজ নাই। দুনিয়া বানিয়ে তামাশা দেখছে। হিসাব-নিকাশ করার দায়িত্বটাও দুই-কাঁধের দুই ফেরেশতার উপর চাপিয়েছে। এখন বাণিজ্য করছে মোমিন মুচলমানদের সাথে। কীভাবে? তাদের জান-মাল কিনছে জান্নাতের প্লটের বিনিময়ে, আর তাদেরকে পাঠাচ্ছে জিহাদের নামে আরেক দেশ লুট করতে। গণিমতের মালকে যায়েজ ঘোষণা করে আল্যাফাক এই লুটতরাজকে প্রত্যক্ষ মদদ দিচ্ছে। এরপরও বেহায়ার মত নিজেকে বিচক্ষণ, দয়াময় ও ক্ষমাশীল বলে দাবী করছে।
কোরানের পোস্টমর্টেম আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আল্যাফাক ও মুহাম্মদের উপর মানবতাবাদীদের লানত বর্ষিত হোক। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ুক সকল মানুষের হৃদয়ে। মানবতা মুক্তি পাক সমস্ত কুসংস্কার থেকে। ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন