আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১১

ধর্মপচারকও সাক্ষাৎকার দেয়!


পশ্চিমবঙ্গের প্রবল সংস্কৃতিমনা কিছু বাঙালি 'পালকি' নামের একটি ই-ম্যাগাজিন প্রকাশ করে আসছেন গত পাঁচ বছর ধরে। তো কিছুদিন আগে পালকি-বাহকদের একজনের কাছ থেকে আমাকে একেবারেই হতচকিত করে দেয়া একটি প্রস্তাব পেলাম। তিনি মেইলে জানালেন, ধর্মকারী বিষয়ে আমার একটি সাক্ষাৎকার নিতে চান তাঁদের পত্রিকার জন্য। আমি ভাবি, কয় কী! সাক্ষাৎ? কার? আমার! আমি কোথাকার কে! সাক্ষাৎ দিলে তো! 

পালকি-বাহক কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই না-ছোড়-বান্দা! মেইলবর্ষণ শুরু করলেন তিনি। কোথায় টোকা দিলে মন দুর্বল হবে আমার, তিনি ঠিক জানতেন। বারবার বলতেন, ধর্মকারী কতো অভিনব একটি ব্লগ, বাংলায় এমনটি আর নেই, তারপর আমার নাকি ধারণাও নেই ব্লগটি কতো অবদান রাখছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য... ইত্যাকার মন-ভজানো কথামালা। 

আমি তো আর মহামানব নই, গলে গেলাম। বেশ দীর্ঘ একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে ফেললেন পালকি-বাহক। আমার জীবনের প্রথম সাক্ষাৎকার (ইয়া পারওয়ারদিগার, আমাকে আর যেন এই বাটে না পড়তে হয়!)। তাও আবার কিনা ইমেইলে! একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করলাম। এই জাতীয় সাক্ষাৎকারে ভারি ভারি শব্দ সহযোগে গুরুগম্ভীর কথা বলার যে রীতি বা ঐতিহ্য আছে, সেটা অনুসরণ করতে গিয়ে আমি বড়োই লেজ-গোবরে করে ফেলেছি। প্রকাশ হবার পরেও পড়ে বুঝলাম, আমার কথাগুলো না হয়েছে ভারিক্কি, না হয়েছে লঘু। 

তবে এর ইতিবাচক একটি দিক অবশ্যই আছে। আরও কিছু লোকের কাছে ধর্মকারীর কথা পৌঁছবে। অকাতর ও নিঃস্বার্থ এই অবদানের কারণে পালকির প্রতি ধর্মকারীর আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইলো। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন