"সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ" নবীজি পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সে ছয় বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেন আয়েশার পিতা ভাতৃসম আবু বকরকে প্রচ্ছন্ন ব্ল্যাকমেইলিং-এর মাধ্যমে। এই নিরিখে বিচার করলে নিচের হুজুরকে খুব বেশি দোষারোপ করা যায় না। চল্লিশ বছরের মাদ্রাসাশিক্ষকের সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর বয়সের বয়সের পার্থক্য নবীজি-আয়েশার বয়সের পার্থক্যের চেয়ে কমই তো হওয়ার কথা!
প্রথম আলোর সংবাদ:
ফেনী শহরের একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে হাফেজ কারি মহিবুল্লাহ (৪০) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা থেকে পুলিশ মহিবুল্লাহকে গ্রেপ্তার ও মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
গতকাল শুক্রবার ফেনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলামের কক্ষে হাফেজ মহিবুল্লাহ ও মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহিবুল্লাহ ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়ার আলহেরা ইসলামী একাডেমি নামের মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে ফেনীর পাগলা মিয়া সড়কের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মেয়েটির সঙ্গে মহিবুল্লাহর পরিচয় করিয়ে দেন। সেই থেকে মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গেও আত্মীয়ের মতোই সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহিবুল্লাহ।
মেয়েটি জানায়, ‘গত ২৮ মার্চ মহিবুল্লাহ আমাকে ফুসলিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে প্রথমে ঢাকার বাসে ওঠায়। পরে ঢাকা থেকে রাজশাহীর দুর্গাপুরে নিয়ে জোর করে একটি বাসায় আটকে রাখে। আমাকে বলে, আমার বাবা নাকি তার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছে। অথচ তার সঙ্গে আমার কোনো বিয়েই হয়নি।’
মহিবুল্লাহ দাবি করেন, মেয়েটির বাবা তাঁর সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দিয়েছেন। তবে বিয়ের কাবিন হয়নি।
মেয়ের সন্ধান না পেয়ে ২৮ মার্চ রাতেই তার বাবা মহিবুল্লাহর বিরুদ্ধে ফেনী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করেন। পরে ফেনী থানার পুলিশ গত বুধবার রাতে রাজশাহীর দুর্গাপুর থেকে মহিবুল্লাহকে গ্রেপ্তার ও মেয়েটিকে উদ্ধার করে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুজনকে ফেনী থানায় আনা হয়।
ফেনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, হাফেজ মহিবুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার নাবালিকা মেয়েকে মহিবুল্লাহ অপহরণ করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন