আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৩ জুন, ২০১১

অন্নসংস্থানে ঈশ্বরবিশ্বাসের ভূমিকা


"যাহারা অপচয় করে, তাহারা শয়তানের ভাই" - এটা তো পরিচিত ইসলামী বাণী। কিন্তু লম্বা ইছলামী পাঞ্জাবি দেখলে বস্ত্র-অপচয়ের কথাই আমার মাথায় আসে অবধারিতভাবে। একদিন ঠিক সেই ধরনের অনাবশ্যক দীর্ঘ পাঞ্জাবি পরা ও সুন্নতী শ্মশ্রুমণ্ডিত একজনকে আমার দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ভাবলাম, তাবলিগ নয় তো? কিন্তু পরিচিত কণ্ঠে "দোস্ত, কেমন আছিস" শুনে তাকে চিনতে পারলাম। আমার স্কুল জীবনের সহপাঠী। 

সেদিন দীর্ঘালাপের সুযোগ ছিলো না কারুরই। পরে একদিন সে বেড়াতে এলো আমাদের বাসায়। প্রাথমিক কুশল বিনিময়ের পর বোধহয় ঘণ্টা তিনেক ধরে সে আমাকে হেদায়েত করে ইছলামের পথে আনার নানাবিধ চেষ্টা চালালো। জানালো, সে কীভাবে দ্বীনের পথে এসেছে এবং এখন সে কতোটা সুখী। এই জাতীয় কথাবার্তা আমাকে, স্বভাবতই, স্পর্শ করতে পারেনি। কিন্তু তার একটি বিশেষ বিশ্বাসে বিস্মিত হয়েছিলাম খুবই। সে বলেছিল, কেউ যদি আল্লাহকে মন থেকে বিশ্বাস করে এবং তার ইবাদতের পেছনে তার জাগ্রত সময়ের সমস্তটা ব্যয় করে, তার আহার সংস্থানের ব্যবস্থা আল্লাহই করে দেয়। অর্থাৎ অর্থোপার্জনের জন্য কোনও পেশা বা কাজে নিজেকে ব্যাপৃত না করলেও বিশ্বাসীকে দেখভাল করার দায়িত্ব আল্লাপাকই নেয়। 

সেই ঘটনার কথা মনে পড়লো একটি খবর পড়ে। ঘরে অভুক্ত শিশুসন্তান, তার জন্য খাদ্য কেনার অর্থও নেই, তবু কোনও কাজ খোঁজার গরজ ছিলো না পিতামাতার। কারণ তাদের প্রবল ঈশ্বরবিশ্বাস তাদেরকে এই আস্থা দিয়েছিল যে, ঈশ্বর সবকিছুর ব্যবস্থা করবে। 

আবালঅকীর্ণ এ ধরাধাম! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন