আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১১

কোরআন শোনাবে বিবর্তনের বাণী: ডারউইনকে উষ্ঠানো হোক!


লিখেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক 

উয়েল, হযরত ডারউইন (আঃ) এর নব্যুয়ত প্রাপ্তিতে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সংকট দেখা দেয়। বেটা ডারউইন তার আসমানী কিতাবরে নিজে-নিজে এডিট কইরা নিজের কিতাব বইলা প্রচার করসে। নির্বোধ আবাল পাব্লিক তার এডিট করা বুর্জোয়া কিতাবরে বিবর্তনের ঐহী গ্রন্থ মাইন্যা সৃষ্টিকর্তারে অস্বীকার করা শুরু করসে।

ওহে বলদ ডারউইন, তুমি কি কোরান পড় নাই? তাফসির পড় নাই? তোমার বালছাল হাড্ডি নিয়া গবেষনার বহুত আগেই কোরআনে বিবর্তনের কথা উল্লেখ করা আছে। কোরানকে অবমাননা করার লাগি তোমার জন্য ঘোর আজাব অপেক্ষা করতেছে। আল্লাপাক তোমাকে তুর পাহাড় দিয়া ঢিল্লা দিবে।

কী ডারউইন, তুর পাহারের কতা হুইন্যা ডরাইলা? আল্লাতালা বিশাল লুক, উনি কি আর ইট পাটকেল দিয়া ঢিল্লা দিতে পারে? উনার কারবার পাহাড় পর্বত নিয়া, কাজেই উনি পাহাড় পর্বত দিয়া ঢিল্লা দিতেই পারেন। (রেফারেন্সঃ সুরা বাকারা, আয়াত ৬৩) 

যাউজ্ঞা, বিবর্তনের গল্পে আসি। বিবর্তন শুরু হয় সেই নুহু নবীর কিস্তি (নৌকা/জাহাজ) থেইক্যা। নুহু নবী জীন্দেগী ভর দ্বীন প্রচার করে মাত্র সত্তুর জনকে ঈমান আনাইতে পারছিলো। সেই সত্তুর জন আবার সবাই ছিল সন্তান উৎপাদনে অক্ষম ও ফকির মিসকীন টাইপের। খাবার আর আবাসনের নিরাপত্তার জন্যই নাকি তারা ঈমান আনছে বলে দুষ্টু লোকেরা কইতো। সো, এক সময় এই দ্বীনের দাওয়াত দিতে দিতে নুহু ক্লান্ত হইয়া গেল। খোদারে কইল: ইয়া মাবুদ, এইগুলান আমার কথা হুনতো না। এদের জন্য শাস্তির ব্যাবস্থা করেন। খোদা কইল, নৌকা বানাও নুহু, এদের চুবাইয়া চুবাইয়া মারার ব্যবস্থা নিতেছি। যদিও কোরানে খোদা কইছেন, হেদায়েতের মালিক উনি, যাকে ইচ্ছা উনি হেদায়েত করবেন; যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করবেন্না, তবু কেন নিজের বান্দাদের চুবায়া মারবেন, এইটা অনেকেরই বোধগম্য নাও হইতে পারে। উনার জিনিষ উনিই ভালো বুঝেন। 

সো, নুহু মিয়া নৌকা বানাইলো (অনেকেই মনয় এরে "নোয়া অফ আর্ক" বইলা থাকে), সত্তুর জন সাহাবা আর পরিবারের আট জন সদস্যের সাথে; দুইন্যার তাবত প্রাণী এক জোড়া এক জোড়া কইরা নৌকায় তোলা হইলো। সর্বশেষে গাধার পিঠে চইড়া শয়তানও নৌকায় উঠল। তারপর আল্লাতালা পুরা দুইন্যারে চল্লিশ দিন ধইরা বিশফুট পানির তলে নিয়া চুবাইলেন। 

এদিকে নুহের নৌকা কি সুন্দর ভাসি ভাসি চলে, মাগার সমস্যা হইলো নৌকায় থাকা তামাম জাহানের প্রাণীকুল নিয়া। তারা হাইগ্যা মুইত্যা নৌকা ভইরা ফেলানের জোগাড় করতেসিল। তখন নুহু খোদারে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য কইলে আল্লাহ নুহুরে হুকম করল: ইয়া নুহ, তুমি আমার হুকুমে হাতির লেঞ্জা থেইক্যা একজোড়া শুকর তৈরী কর! তারা সমস্ত গু-আবর্জনা খাইয়া সাফা কইরা ফেলবে। সেইখানে খোদার হুকুমে হাতির লেঞ্জা বিবর্তিত হইয়া শুকরের জন্ম দিল! (বিবর্তন শুরু > হাতি টু শুকর) 

নুহু মিয়ার নৌকা ভেসে চলতেসে, নৌকার বাইরে তখন বিরাট ঝড় তুফান। সমস্যা হইলো শয়তানের, তার হাতে কোনো কাম কাইজ না থাকায় সে পুরাই বেকার হইয়া গেল, আড়মোড়া ভাঙতে শয়তান করল কি, শুকরের লেঞ্জা থেইক্যা এক জোড়া ইন্দুর বানাইয়া নৌকায় ছাইড়া দিল। (বিবর্তন > শুকর টু ইন্দুর) 

এখন ইন্দুরে জালায় নৌকার সবাই অস্থির, এইটা সেইটা কাইট্টা বিনাস কইরা ফালাইতেছে। ভয়ানক ব্যাপার হইল, ইন্দুরগুলান শয়তানের ইশারায় নৌকার তলা ছিদ্রি করার তালে আছে, নৌকা ডুবানির তালে শয়তান ব্যাপক উদ্দীপনা পাইতেসিল। এইবার নুহু মিয়া ব্যবস্থাপত্রের জন্য আবার খোদারে ফরিয়াদ জানাইলে খোদা হুকুম করল: ইয়া নুহু, এইবার তুমি আমার হুকুমে সিংহের নাক থেইক্যা বিড়াল বানাও। তখন নুহু সিংহের নাক থেইক্যা একজোড়া বিড়াল বানাইয়া ছাইড়া দিলে, বিড়ালেরা ইন্দুর নিধনে লেংটি দিয়া ফিল্ডে নাইম্যা গেল। (বিবর্তন > সিংহ টু বিড়াল)

চল্লিশ দিনের চুবানিতে দুইন্যার লুকজন বেবাক মইরা সাফা। উল্যেখ্য নৌকায় থাকা নুহের তিন ছেলেই ছিল কেবল সন্তান উৎপাদন সক্ষম ছিলো। সেই হিসেবে বর্তমান দুইন্যার তামাম লুকজন নুহের তিনছেলের বংশধর।

[উপরোক্ত বিবর্তনাদির রেফারেন্সঃ পারস্যের বিখ্যাত তাফসীরুল কোরআন "মুহাম্মাদ ইবনে জারির আল তাবারী" কর্তৃক ৯১৫ খৃষ্টাব্দে রচিত "হিস্টোরী অফ দ্যা প্রফেটস এ্যান্ড কিংস"। উল্লেখ্য, লেখকের দ্বারা কোরআনের তাফসীরগুলো "তাফসীরে তাবারী" নামে পরিচিত] 

এইবার দেখা যাক, কোরআন কীভাবে মানুষ্য বিবর্তিত হয়ে বানরের উৎপত্তির ব্যাখ্যা করেঃ

হজরত দাউদ (আঃ) যখন রাসুল হইলেন তখন তার উপ্রে আসমানী কিতাব "যাবুর" নাজেল হইল। যাবুর কিতাব মুলত অনেকটাই গানের স্বরলিপি ধাঁচের। সেখানে দাউদ কীভাবে কোন সুরে কোন রাগ-রাগিনীতে আল্লার বন্দনা করত, সেটা বিশদ ভাবে উল্লেখ করা আছে। যদিও অনেকেই বলেন ইসলামে গানবাজনা নিষেধ, মাগার যাবুর কিতাব পুরাটাই সুর ও রাগ/রাগিনী বেসিস। আর দাউদ (আঃ) মোজেজা (খোদা প্রদত্ত অলৌকিক ক্ষমতা) ছিল তার গলার সুর। নিজের গলার সুর দিয়ে উনি দুইন্যার তামাম প্রানীকে মোহিত করতে পারতেন। 
[ইসলামে এক নবীর ক্ষেত্রে যেটা মোজেজা অন্য নবীর ক্ষেত্রে সেইটা পরবর্তিতে হারাম করা হইছে বইলা অনেকে দাবী করিয়া থাকেন। এখন কেউ যদি ভাবেন খোদাতালা এতো কনফিউজড কেন? তবে সেটা ভাবা তাঁর উচিত হবে না। কারণ, নিশ্চয়ই খোদাই সর্ব জ্ঞানী] 

যাউজ্ঞা, আকাবা উপসাগরের পাদদেশে প্রতি শনিবার "দাউদ" তার মোহিনী সুরে "যাবুর" তেলাওয়াত করত। সেউ সময় তাঁর সুরে আবিষ্ট হয়ে সমস্ত মৎস্যকুল সাগরের তীরে চলে আসত দাউদের তেলওয়াত শোনার জন্য। কিন্তু দাউদের উম্মতেরা সেই সুযোগে মাছ শিকারে নেমে পড়ত। বেচারা মাছেরা তেলওয়াত শুনতে এসে পাকড়াও হতো দেখে দাউদ তার কওমদের বলে দিল; তারা যেন শনিবার দিন মৎস্য শিকার না করে। মাগার নগদ নারায়ণ ছাড়ে কে? লুকজন তার কথা শুনল না। ফলে আল্লাতালা বেদম বেজার হইলেন আর আজাব হিসেবে বললেন: হে পাপিষ্ঠ মনুষ্য, তোমরা বানর হইয়া যাও। এবং সেই সব মাছ ধরা লুকজন বানর হইয়া গেল (বিবর্তন> নর টু বানর) 
[রেফারেন্সঃ সুরা বাকারা> আয়াত ৬৫। সুরা আ'রাফঃ আয়াত ১৬৬] 

যদিও খোদা কইছেন, আমি-ই হেদায়েতের মালিক। ইচ্ছা হইলে হেদায়েত দিমু; ইচ্ছা না হইলে দিমু না। আর সেই সব পথভ্রষ্টদের অন্তরে আমি মোহর মেরে দিয়েছি ও গলায় পরিয়েছি লা'নতের জিঞ্জির। তার্পরো কেন বারে বারে উনি আজাব তার বান্দাদের উপ্রে পাডাইছেন, সেইটা অনেকের বোধগম্য নাও হইতারে। কিন্তু উনার জিনিস উনিই ভালা বুঝেন। সবই তার ইচ্ছা। 

সুতরাং, উপরোক্ত আলুচনা হইতে দেখা যাইতেছে যে, কোরআনের বিবর্তন অস্বীকার কইরা, ডারউইন মিয়া হাড্ডিগুড্ডি নিয়া আবালামি মার্কা গবেষনা করছে। এই জন্য আবাল ডারউইনের নব্যুয়ত কেঞ্ছেল করা যাইতে পারে। ওহে নাদান পাব্লিক, ওহে বলদ পাব্লিক, তোমরা ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়া আর ফাল্পাইরো না। সে একটা ভণ্ড লুক আছিল। সেজন্য আমরা বিশ্ব মুসলীম উম্মাহরা ভণ্ড ডারউইনেরে মরণোত্তর লাইথ্যানীর আবেদন জানাই। দুইন্যার মুসলিম এক হউ। 

সম্প্রতি কিছু আবাল বিজ্ঞানী মানব আর বানরের জীনমে ৯৮% মিল পাইয়া ডারউইনরে তুমুল সাপোর্ট দিতেছে। ওহে আবাল বিজ্ঞানীগন ৯৮% মিলতো হইবেই, মানব থেকেইতো বানরের উতপত্তি, মাইনষ্যের লগে ৯৮% মিলবে নাতো কি কুত্তার লগে মিলবে? আমাদের ইসলামী অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য এই সব আবাল বিজ্ঞানীদের জনসমক্ষে দোররা মারা হউক, সেই সাথে তাদের বেবাক আবালামী গবেষণা বন্ধ ঘোষণা করা হউক। দুইন্যার মুসলিম এক হউ। আসেন ভাইয়েরা, আমরা কোরানের বিবর্তনবাদকে টিকায়া রাখার জন্য উপরওয়ালার কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করি।

* লেখাটি জোগাড় করে পাঠিয়েছেন শুভজিৎ ভৌমিক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন