আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১

আমিই মহাবিশ্ব, আমিই ঈশ্বর


লিখেছেন প্রলাপ 

১. 
১৯ তারিখ রোজ শুক্রবার গিয়েছিলাম নগরের সর্বোচ্চ এবং সর্ববৃহৎ সংযমালয় বসুন্ধরা সিটিতে সংযম পালন করতে। গিয়ে দেখলাম পুরো পান্থপথ জুড়ে বিশাল লাইন। সবাই এসেছে সংযম পালন করতে। লাইন দেখে মনে হল অনেকেই সেহরী সেরেই লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। যাই হোক, বাসা কাছে হওয়ায় আমি পায়ে হেঁটেই গিয়েছিলাম, তাই লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা পোহাতে হল না। ইনফিনিটি থেকে বাবা এবং ভাইয়ের জন্য দুটি পাঞ্জাবী কিনলাম। আমার মা-বাবা বাস করে পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। ড্রাইভারকে ফোন দিলাম গাড়ি নিয়ে আসতে, গন্তব্য ওয়ারী। সোনারগাঁ মোড়ে এসে সিগনালে দাড়ালাম। এই পয়েন্টে ভিক্ষুকের অনেক উপদ্রব। কাউকে টাকা দেয়ার জন্য উইন্ডোর কাঁচ নামালেই দল বেঁধে হামলে পড়ে অন্তত হাফ ডজন ভিক্ষাপ্রার্থী। তাই কাউকে ভিক্ষা না দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। পাঁচ মিনিটের সিগনালে প্রায় ছয়-সাতজন ভিক্ষুক আমার জানালায় টোকা দিয়ে গেল। কারো দিকে ভ্রুক্ষেপই করলাম না। একসময় পাশে এসে দাঁড়ালো দশ-এগারো বছরের একটি ছেলে। কেন যেন ছেলেটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। মুহূর্তেই মনে হল, আমি যেন ছেলেটির মত ছেঁড়া-মলিন একটি পোশাক পড়ে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের কাছেই ভিক্ষা চাইছি। শৈশবের আমি আর সেই ছেলেটি যেন একাকার হয়ে গেছে। সম্বিত ফিরে পেয়ে দেখলাম সিগনাল ছেড়ে দিয়েছে। মাথা ঘুরিয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। সাড়ে চার হাজার টাকায় কেনা সংযম আমার জন্য লজ্জার উৎস হয়ে উঠলো।

২. 
মাঝে মাঝে এমন হয় যে, নিজের সত্ত্বাকে আশেপাশের অন্যান্য মানুষ/প্রাণী এমনকি জড় পদার্থ থেকে আলাদা করে ভাবতে পারি না। কখনো মনে হয় আমার কলমখানা, আমার কিবোর্ড খানা আমার সত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কখনো রাস্তায় দেখা একদম অপরিচিত কোনো মানুষকেও আত্মার আত্মীয় বলে মনে হয়। কখনো কখনো নিজের আলাদা কোন অনুভুতির অস্তিত্ব থাকে না, অথচ অন্যের কষ্টে কষ্ট পাই, অন্যের হাসিতে আনন্দ অনুভব করি। সকল বস্তুর, সকল জীবের সত্ত্বা মিলে একটি একক সত্ত্বার অস্তিত্ব অনুভব করি নিজের মাঝে। মনে পড়ে, বিগ ব্যাং-এর পূর্বে সবাই ছিলাম একই বিন্দুতে লীন। নিজেকেই মনে হয় মহাবিশ্ব, নিজেকেই মনে হয় ঈশ্বর।

৩. 
ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের মত আমার অনেক পুজারী নেই। কিন্তু তাই বলে তার চেয়ে কোন অংশে কম ক্ষমতাবান আমি নই কোনোভাবেই। লক্ষ-কোটি বান্দা থাকতে পারে ভগবানেশ্বরাল্লাহর, কিন্তু একজন অভুক্তকে খাবার জোটানোর ক্ষমতা তার নেই, যেটা আমার রয়েছে। তাই ঈশ্বরের দ্বারস্থ না হয়ে নিজের কাছেই চাই সবকিছু।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন