আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ইবলিসের কুকথা - ০৩


লিখেছেন দিলরুবা হোসাইন

৭.
১৪০০ বছর আগে আবিষ্কৃত শয়তান নিধনে আল্লাহর যুদ্ধ কৌশল কতইনা অত্যাধুনিক! আমেরিকার পেন্টাগন এই কৌশল লুকিয়ে-চুরিয়ে পড়েও উন্নতি করতে পারছে না।
শয়তানের রাত্রিকালীন অবস্থান: সকল মানুষের নাকের ডগায়।
বাইনোকুলার: বড় বড় তারা।
ক্ষেপনাস্ত্র: বজ্রপাত।
ঈমানদারদের প্রতি পরামর্শ: ঘুম থেকে উঠে এবং দিনে তিনবার অবশ্যই নাক সাফ করবেন।
ফলাফল: শয়তান বহাল তবিয়তে কুমতলব দিয়ে যাচ্ছে, আল্লাহর অনুসারী অপেক্ষা শয়তানের অনুসারী বেশি যুদ্ধপ্রস্তুতি ছাড়াই শয়তান বিজয়ী।

এবং অবশ্যই আমরা নিকটবর্তী মহাকাশ কে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জিত করেছি, এবং আমরা এই প্রদীপগুলিকে শয়তান কে তাড়ানোর জন্য রুজূমান্‌ (ক্ষেপণাস্ত্র) হিসেবে বানিয়েছি। [সুরা ৬৭:৫]

নিশ্চয়ই আমরা নিকটবর্তী মহাকাশকে (সৌন্দর্যের জন্য) তারকারাজি দিয়ে সাজিয়েছি। এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে পাহারা দেয়ার জন্য। চারপাশ থেকে (তারকারাজির) আঘাতের কারণে তারা তাদের চেয়ে উচ্চ শ্রেণী (ফেরেশ্‌তা)-দের কথা শুনতে পারেনা। (তারা) নির্বাসিত, এবং (তাদের জন্য) রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তা সত্ত্বেও যদি কেউ চুরি করে কোন কিছু শুনতে চায়, তীব্র আলোকোজ্জ্বল প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা তাদের তাদের পিছে লাগিয়ে দেয়া হয়। [সুরা ৩৭:৬-১০]

এবং নিশ্চয়ই, আমরা মহাকাশ বড় বড় তারকারাজি দিয়ে বিন্যস্ত করেছি এবং দর্শকদের জন্য সুশোভিত করে সাজিয়েছি। এবং আমরা এটাকে (নিকটবর্তী মহাকাশ) প্রত্যেক শাইতান রজীম (নির্বাসিত শাইতান) থেকে পাহারা দিয়ে রেখেছি। কিন্তু যে চুরি করে শুনতে চায়, তাকে জ্বলজ্বলে অগ্নিশিখা দ্বারা ধাবিত করা হয়। [সুরা ১৫:১৬-১৮

৮. 
হিন্দু হেসে বলে, মুসলমানেরা কাবার চারদিকে ঘুরে কাবার পূজা করে, কালো পাথরে চুমু খায়, রাতদিন কেবলামুখী হয়ে সেজদা দিয়ে নামাজ পড়ে। মুসলমান হেসে বলে, হিন্দুরা মূর্তিপূজা করে, এটা তো চরম মুর্খতা। এভাবে এক ধর্মের অনুসারী অন্য ধর্মের অনুসারীদের হাসির কারণ: নিজের ধর্মের অনুসারীরাই যেন বেশি বুদ্ধিমান। এদিকে নাস্তিকসকল মানুষের মত বুদ্ধিমান প্রাণীর কাল্পনিক উপাস্য বিগ্রহ নিয়েই হাসে।

৯. 
হজ্জ ইসলামের একটি উল্লেখযোগ্য স্তম্ভ। হজ্জের সমাপ্তি ঘটে মিনায়; তিনটি স্তম্ভের দিকে ২১ টি করে পাথর নিক্ষেপ করে। শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এত কিছুর পরও শয়তান-ই মূলত: জিতে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমান অপেক্ষা কাফের/মুনাফেক/বিধর্মী/নাস্তিকের সংখ্যা বেশি। সকল মুসলমানও বেহেশতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহর অনুসারী অপেক্ষা শয়তানের অনুসারীর সংখ্যা সকল যুগেই বেশি। শয়তান আবার হাসে। আল্লাহর সৃষ্ট শয়তানের ক্ষমতা আল্লাহর চেয়ে বেশি; অসহায় আল্লাহ !!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন