আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ইসলামী ইতরামি: পোনে এক ডজন


১.
সৌদি আরবে ইসলামী আইনের বিচারে এ বছরে ইতোমধ্যে ৪২ জনের শিরোচ্ছেদ করা হয়েছে তরবারি দিয়ে। শুধু মে মাসেই গর্দান গেছে ১৫ জনের। সাম্প্রতিকতম হতভাগা - সুদানের এক নাগরিক। তার অপরাধ ছিলো - জাদুবিদ্যাচর্চা। 

২.
শুধু ধর্মকর্মের সময় টুপি পরা ফরজ নাকি সুন্নত, তা সঠিক জানি না; তবে বিশেষ একটি কর্মের সময় টুপি পরা একেবারেই ফরজে আইন ও ফরজে কেফায়া। এক মসজিদের ইমান সাহেব সেই ফরজ পালনে ব্যর্থ হয়ে এইডস বাধিয়ে ফেলেছে। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্ভাগা বলতেই হয়। তার প্রতি সমবেদনাও থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ব্যক্তির অসততার কারণে যদি তার স্ত্রী ও সন্তানও এইডসের শিকার হয়, তাহলে? এই ইমাম, ডাক্তারের কাছে করা তার নিজস্ব স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, প্রতি তিন মানে একবার পতিতালয়ে যেতো, এবং এইডস আক্রান্ত হয়েও সে স্ত্রীকে অবগত করেনি এ ব্যাপারে। 
(লিংক পাঠিয়েছেন অদিতি অন্তরামালা আলম)

৩.
ফাকিস্তানে দু'দিনে সাতজন নারীর ওপরে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। তাদের "অপরাধ" - তাদের মাথা অনাবৃত ছিলো। বলা হয়েছে, মাথা ঢাকা না থাকলে তাদের চেহারা নষ্ট করে দেয়াই উচিত।

৪.
মিসরবাসী খ্রিষ্টানদেরকে বাতলানো হচ্ছে হচ্ছে তিনটি পথ: হয় তারা জিযিয়া ট্যাক্স দেবে (অর্থাৎ দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হবে), বা ইসলাম গ্রহণ করবে, নইলে বাকি থাকছে - যুদ্ধ।

৫.
ফেইসবুকসহ অন্য যেসব সাইটে ধর্মীয় উস্কানিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে, ফাকিস্তান থেকে সেগুলোর প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ।

৬.
ইসলাম ছাড়া আর সব ধর্মের প্রচার নিষিদ্ধ হলো মালদ্বীপে। তবে কাফেরদের দেশে গিয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য জিহাদ করলে নিশ্চয়ই ম্যালা ছওয়াব কামানো যাবে।

৭.
নারীশরীর দেখলে মুমিনদের ঈমানুনুভূতি উত্থিত হয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণের দায় মুসলিম পুরুষ নেবে না। ইসলামে তাই নারীদেরকেই বাধ্য করা হয় শরীরকে বস্তাবন্দী করে রাখতে। জাকার্তার গভর্নর ক'দিন আগে বলেছিলেন, ধর্ষিতা বা নিপীড়িতা হওয়া এড়াতে মেয়েদেরকে অবশ্যই শরীর আচ্ছাদিত রাখতে হবে। তবে জাকার্তার নারীরা এর প্রতিবাদ করেছে নানা রঙের মিনি স্কার্ট ও টাইট লেগিং পরিহিত অবস্থায় সমাবেশ করে। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো: কীভাবে পোশাক পরতে হবে, তা আমাদেরকে বলে দিতে হবে না। বরং তাদেরকে বলুন ধর্ষণ না করতে। আরেকটি প্ল্যাকার্ডের ভাষা: আমার শরীরে পর্নো নেই, আছে আপনার মাথার ভেতরে। প্রতিবাদী এই নারীদের উদ্দেশে থ্রি চিয়ার্স!
(লিংক পাঠিয়েছেন মৌনতা)

৮.
ইরাকী কুর্দিস্তানী এক মোল্লা জুম্মার নামাজের খুতবার সময় বলেছে, নারী-খতনা বাধ্যতামূলক। সে আরও নিশ্চিত করেছে, স্ত্রীকে প্রহারের অধিকার স্বামীর আছে। ইসলাম এই অধিকার দিয়েছে।

৯.
ছয় বছর বয়সী এক বালিকাকে (অবধারিতভাবে মনে পড়ে যায়, ইসলামের পঞ্চাশোর্ধ নবী এই বয়সী বালিকাকে বিবাহ করেছিলেন) নগ্ন করে ক্লাসে ঘুরিয়েছে ক্লাস শিক্ষক। বালিকার "অপরাধ" - তার হাতের লেখা খারাপ। ঘটনা ঘটেছে ভারতের এক মাদ্রাসায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন