আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১১

সুনামি, অক্ষতঈমানী মসজিদ ও তার উত্থিত মিনার


সম্প্রতি খোমাখাতায় একখানা ভাইরাল ছবির বন্দনায় মমিন ভাই ও বোনেরা ঐশী রাগমোচন (orgasm) লাভ করছে। তাদের দাবি, জাপানের ভয়ংকর সুনামির সময় সব কিছু ধুলিস্মাৎ হয়ে গেলেও আল্যাফাকের অসীম করুণায় একটি মসজিদ নাকি তার উত্থিত মিনারসহ অটুট। ছবিটি এখানে গিয়ে দেখ আসুন। লিংক পাঠিয়েছেন ধর্মকারীর পাঠক তুষার। 

আসলে পরীক্ষা না করেই বিশ্বাস করার সুবিনীত প্রবণতা মমিনরা দমন করতে পারে না। একটু গুগলিয়ে ছবিটি ভুয়া বলেই ধারণা হলো আমার। আর এই সাইটে তো রীতিমতো গবেষণা করা হয়েছে ছবিটি নিয়ে। 

এখন ধরে নেয়া যাক, মসজিদের সেই ছবিটিতে কোনও ভেজাল নেই এবং আল্যাফাক সুনামি পাঠিয়ে সব ধ্বংস করে ফেললেও মসজিদটা অক্ষুণ্ণ রেখে তার অসীম ক্ষমতা এবং ইসলামের প্রতি তার স্পষ্ট পক্ষপাত প্রদর্শন করেছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে, অতীতে ভূমিকম্প, সাইক্লোন, টর্নেডোসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় অজস্র মসজিদ ধ্বংস হয়েছে কেন? একটি মসজিদ রক্ষার কারণে তাকে পরম করুণাময় বলা হলে অজস্র মসজিদ ধ্বংস করার কারণে তাকে সন্ত্রাসী বলা যাবে না কেন?



খোমাখাতার মমিন ভাইদেরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে পড়া অজস্র মসজিদের ছবিসহ রচিত একটি লেখার লিংক (পাঠিয়েছেন প্রিয়াম শংকর ঘোষ) দিন। লেখাটা তারা না পড়ুক, অন্তত ছবিগুলো দেখে তারা তাদের আল্যার সন্ত্রাসী রূপটা অন্তত দেখুক।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন