আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১১

অবর্ণিত পংক্তিমালা - ০৬


১৬. 
হে বিশ্বাসী, হাজারটা লোক এসে বোঝালে আমরা বুঝবো না, আপনি তো এই সিদ্ধান্তে আগেই পৌঁছে গেলেন। হাজার জন অবিশ্বাসী আপনাকে গিয়ে বোঝালে আপনি কি বুঝবেন? সম্ভবত বুঝবেন না। তবে আপনার সাথে নাস্তিক বা অবিশ্বাসীদের একটা বড় অমিল আছে। আপনি বুঝবেন না, কারণ আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন, আপনি বুঝবেন না। কিন্তু নাস্তিকরা সিদ্ধান্ত নেয়নি যে, তারা বুঝবে না। তারা প্রমাণ দেখালেই বুঝবে। আল্লা কী উপাদান দিয়ে তৈরি, সেটার কেমিকেল নাম্বার কত, আণবিক ভর কতো, এক টেস্টটিউব ভর্তি স্যাম্পল, স্পেক্ট্রাম টেস্টের রেজাল্ট এই সব নিয়ে আসুন, এক হাজার জন লাগবে না। এক জন হলেও নাস্তিকরা বুঝবে।

প্লিজ, কোরান-হাদিসে বলা আছে, এ জাতীয় বুলশিট ঝাড়বেন না। কোরান যে আল্লার কথা, তার কোনো প্রমাণ আছে? প্রমাণ যদি হাজির করতে না পারেন, তাহলে মুসলিমদের রহস্যময় আল্লা, নাকি হিন্দুদের সেক্সি স্বরস্বতী, নাকি ক্রিশ্চানদের ভেড়ার রাখাল জিসাস - কার ইবাদত আপনি করেন, সেটা জানতে চাই না। সবগুলোই সমমাত্রায় বুলশিট। ষাঁড়ের গোবর। দুঃখিত, ষাঁড়ের গোবর বাস্তব জিনিস। ধর্মগুলো সবই অশ্বডিম্ব। ঘোড়ার ডিম।

আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। আপনি কি ঘোড়ার ডিম বিশ্বাস করেন? বাংলা সাহিত্যে কয়েক কোটিবার ঘোড়ার ডিমের কথা বলা হয়েছে, বহুকোটি মানুষ ঘোড়ার ডিমের কথা জানে। যদি ঘোড়ার ডিম বিশ্বাস করেন, আপনার জন্য শুভকামনা। যদি বিশ্বাস না করেন, কেন? ঘোড়ার ডিম বস্তুটা আল্লা, স্বরস্বতী, ঈশ্বর, গড ইত্যাদি থেকে কীভাবে আলাদা? একটাও চোখে দেখা যায় না। আমি যদি বলি আমি ঘোড়ার ডিম বিশ্বাস করি। আপনি কি আমার বিশ্বাসের সম্মান দেবেন? যদি দেন, তাহলে আবার আপনার জন্য শুভকামনা। যদি আমার ঘোড়ার ডিম বিশ্বাসের সম্মান না দেন, তাহলে প্লিজ, নাকিকান্না দেখাতে আসার দরকার নেই। আমার বা আমাদের ঠেকা পড়েনি আপনাকে সম্মান ফিরিয়ে দেবার।

১৭. 
এই কথাগুলো শুধু সাচ্চা ঈমানদার মুসলিম নারীর জন্য নিবেদিত।


সৌদি আরবের জনৈক নাগরিক, সম্ভবত মুসলিম নাগরিক, তার নিজের মেয়েকে ড্রাগ দিয়ে দিয়ে একটানা সাত বছর সময় উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছেন। শান্তির ধর্ম ইসলাম এই লোকটিকে কী বলে? আমাদের প্রিয় নবী মুহম্মদ (যাহ্!) এ বিষয়ে কী বলেন? এই ধর্ষক যখন মৃত্যুবরণ করবেন, তখন তার জন্য আল্লাপাক কী বিধান রেখেছেন মৃত্যুর পর?

এই ধর্ষক যদি মৃত্যুর সময় শুধু আল্লাপাকের ইবাদত করেন, এবং আল্লাপাক ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করেন, তাহলে তার জন্য বরাদ্দ রয়েছে বেহেশত।

কী!

জ্বী, ঠিক তাই। এই ধর্ষক যদি মৃত্যুর সময় আল্লার ইবাদত করতে পারে, তাহলে তার ঐ ধর্ষণে আল্লাপাকের কোনো বিকার নেই, আল্লা তাকে বেহেশতে দাখিল করে দেবেন।

না, আমার কথা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হবে না। পড়ে দেখুন বুখারী হাদিসের ২.২৩.৩২৯ । আমার কথা বিশ্বাস করে কাজ নেই, পড়ুন দ্বীনের নবী মুহম্মদের কথা।

হে মুসলিম নারী, কেউ আপনার গায়ে হাত দিলে, কেউ আপনাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করলে, নির্মমভাবে ধর্ষণ করলে, প্রার্থনা করুন যেন সে মরার সময় আল্লার নাম নিয়ে না ফেলে। একবার নিতে পারলেই কিচ্ছা খতম, বেহেশত হাজির, হুরপরী ইয়াহু!

কিছু মনে করবেন না। আল্লার কাজকারবার দেখে আমি মুগ্ধ!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন