লিখেছেন টেস্ট অফ চেরি
পেশাগত জীবনে চিকিৎসক হয়ে এটুকু বলতে পারি, গরু আর শুকর দুটোই লাল মাংস। ছাগলও লাল মাংস। রেড মিট সবগুলোই একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এবং কিছু অসুখে (Stroke, hypertension, cardiac disease, atherosclerosis, obesity) শরীরের জন্য ক্ষতিকর, সেটা শুকর হোক আর গরু বা ছাগল। parasite বা helminth, tapeworm (Taenia saginata) পূর্ণ সিদ্ধ হয়নি এ রকম গরুর মাংস দিয়েও হতে পারে, শুকর দিয়েও হতে পারে। Fasciola hepatica ( LIVER FLUKE) গরু বা ভেড়া দিয়ে হতে পারে, কিংবা যে কোন গবাদি পশু দিয়েই হতে পারে।
বিদেশে ফার্মে খাবারের জন্য শুকর পালন করে খুব পরিষ্কার পরিছন্নভাবে, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে। এগুলো সঠিকভাবে সিদ্ধ করে খেলে এসব রোগ সংক্রমন হবার সম্ভাবনা খুবই কম। ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড এর মানুষ প্রচুর শুকর খায়। তাদের গড় আয়ু কিন্তু কম না। আর পশ্চিমা বিশ্বসহ, চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতে শুকর খেয়ে বহু মানুষই বেঁচে আছে।
আমরা চিকিৎসকরা রোগী এলে বলি না যে আপনার hypertension, আপনি শুকর খাবেন না, গরু খেতে পারেন। বরং দুটোই ক্ষতিকর আমরা বলে দেই, লাল মাংস খাবেন না। গরু খেলে তো ভয়ঙ্কর mad cow ডিজিজ হয়, সেটার কি ব্যাখ্যা হয়? শুধু শুকর এর দোষ দিয়ে লাভ কী? কোরআন-এ লেখা আছে তাই?
চিকিৎসা বিজ্ঞানে আছে, বোরখা যেসব মেয়ে বেশী পরিধান করে তাদের OSTEOPOROSIS (হাড়ের ক্ষয় রোগ) বেশী হয়, কারণ সূর্যের আলো ভিটামিন D তৈরিতে সাহায্য করে এবং এই ভিটামিন D শরীরে CALCIUM শোষণে সহায়তা করে। অস্থির গঠন আর বৃদ্ধির জন্য এই CALCIUM আর VITAMIN D খুবই প্রয়োজনীয়। Grays anatomy তে পড়েছিলাম নিজের আত্মীয়স্বজন বা রক্তের মাঝে বিয়ে হলে hereditary deformity (বংশগতি অঙ্গবিকৃতি), congenital anomaly (জন্মগত অস্বাভাবিকতা) অসুখগুলি একটি পর্যায়ে গিয়ে জীনগত কারন এ বেশি হয়। কোরআন তো বিজ্ঞানের ধর্ম। তাহলে ওখানে আত্মীয় স্বজনের মাঝে (খালাত, চাচাত ভাই বোন) বিয়ের কথা কেন উল্লেখ আছে?
এবার আসি ফরেনসিক মেডিসিনে। ফরেনসিক মেডিসিনে ১৫ বছরের নিচে কোন মেয়ের puberty হোক বা না হোক, সেই মেয়ের ইচ্ছায় বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে যৌনসম্পর্ক করাকে ধর্ষণ বলা হয়েছে। বিজ্ঞান মতে ৬ বছর বা ৯ বছর বা ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ের মানসিক গঠন কখনই বিয়ের জন্য উপযোগী হয় না। আগে মানুষ করত সামাজিক কারণ কিংবা কুসংস্কারের কারণে। কিন্তু নবীজি তো তা নন। উনি তো মহাকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান অনুযায়ী মুহাম্মাদ নবী দুটি দোষে অপরাধী: ১. বাল্যবিবাহ (বিয়ের জন্য মানসিক গঠন সম্পূর্ণ হয়নি এমন কোন মেয়েকে বিবাহ), ২. ধর্ষণ (৯ বছরের মেয়ের সাথে বিছানায় গমন) । আর puberty-এর বিজ্ঞান প্রমাণ করার জন্য বা আয়েশার ৯ বছর পর puberty হলে ৫২ বছর এর নবীজিকে তাকে বিয়ে করে সেই প্রমাণ করতে হবে ? প্রমান করার জন্য আর কোন অল্পবয়স্ক ছেলে আরব জাহানে ছিল না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন