আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ০৩

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২

পাপীতাপীদের এই দেশে বারবনিতা, বেশ্যারা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরস্পর সম্মতিতে সেক্স এ দেশে কোনো অপরাধ না, যদিও জোর করে কাউকে ধর্ষণ একটি সিরিয়াস অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এজন্যে এমনকি যাবজ্জীবনও হয়ে যেতে পারে। পক্ষান্তরে ইসলামি প্যারাডাইজগুলিতে বিপরীতলিঙ্গবিশিষ্ট দু’জন নরনারীর (কিংবা সম লিঙ্গবিশিষ্ট) মধ্যে যৌনসম্পর্ক পুরোপুরি হারাম - তা সে পরস্পরের সম্মতিক্রমেই হোক কিংবা একজনের অসম্মতিক্রমেই হোক। সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট যা, তা এই যে একজন মুসলিম নারীর বিবাহ-বহির্ভুত যৌনসম্পর্ক একেবারেই নিষিদ্ধ। মুসলিম দেশগুলি হতে যে সমস্ত মুসলমান পাশ্চাত্যে বাস করতে আসে, তারা এদেশের নরনারীর স্বচ্ছন্দ ও অবাধ মেলামেশা দেখে তাই বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। তারা এদেশের জীবনবোধ তথা মূল্যবোধ সঠিকভাবে বুঝতে পারে না। তারা দেখে, মেয়েরা বিয়ের আগেই অবাধে ছেলে বন্ধুদের সাথে সেক্স করছে। তারা ভাবে, এদেশে সব মেয়েই গণিকা, সস্তা পণ্য। একটি ছেলে ও একটি মেয়ের মধ্যে যে সেক্সবহির্ভুত সহজ স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে, তারা তা ভাবতে পারে না। ফলে চারপাশে বিচরণরত কাফের মেয়েদের সাথে স্বাভাবিক ও প্রফেশনাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে সঙ্কোচ বোধ করে তারা। বিয়ে করার উপযুক্ত হিসেবে যে-মেয়েটি একজন খাঁটি মুসলমানের মন-মানসে ভাসে, সে এক অক্ষতযোনী কুমারি। এইসব কাফের মেয়েদের সাথে এক রাত্রির খেল চলতে পারে, তাই বলে বিয়ে? নৈব চ নৈব চ। ইসলামের বিধান অনুসারে - একজন অবিবাহিত মেয়ে তার প্রজনন যন্ত্রটিকে অবশ্যই তালাচাবি দিয়ে রাখবে। চাবির মালিক একমাত্র স্বামী, আর কেউ নয়। আল্লাহ ও ধর্মের নামে মেয়েদেরকে যৌনসুখ বঞ্চিত রাখার কেন এই প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা, তা নিয়ে অনেক ভেবেছি আমি।

অবশেষে মুসলিম সমাজে সবচেয়ে খাঁটি এবং অথেনটিক বলে পরিচিত সহি বুখারি ও সহি মুসলিম শরীফের কিছু অমূল্য হাদিস হস্তগত হয় আমার। এগুলি পড়ে বুঝতে পারলাম, কেন আল্লাহপাক বিয়ের আগ পর্যন্ত মুসলমান মেয়েটির যোনীপ্রদেশ অক্ষত রাখতে এত আগ্রহী। পাঠক, আসুন, হাদিস কয়টির উপর একটু চোখ বুলিয়ে নিই:
সহি বুখারি: ভলিউম-৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৬ জাবের বিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত:
আমরা একবার নবীর সাথে একটি ‘গাজওয়া’ (বিধর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযানকে গাজওয়া বলা হয়) হতে ফিরছিলাম। আমি আমার উটটিকে খুব দ্রুত চালনা করতে চাইলাম। এটি ছিল অত্যন্ত অলস একটি উট।সুতরাং আমার পেছন হতে একজন আরোহী এসে তার হস্তস্থিত বর্শা দ্বারা খোঁচা মারতেই আমার উটটি এত দ্রুত ছুটতে শুরু করলো যে মনে হবে এর চেয়ে দ্রুতগামী উট আর নেই। দেখ! আরোহীটি ছিলেন স্বয়ং নবী। তিনি বললেন- ‘এত তাড়া কীসের তোমার’? আমি বললাম-আমি নুতন বিয়ে করেছি। তিনি বললেন- ‘তোমার বউ কুমারি না মেট্রন (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা)’? আমি বললাম- সে একজন মেট্রন। তিনি বললেন- ‘কচি মেয়ে বিয়ে করলে না কেন? তাহলে তুমি তার সাথে খেলতে পারতে এবং সে তোমার সাথে খেলতে পারত।’ যখন আমরা (মদীনায়) প্রবেশ করতে যাচ্ছি, নবী বললেন- ‘অপেক্ষা করো যেন তুমি রাত্রিবেলা (মদীনায়) প্রবেশ করতে পার। তহিলে মহিলা তার অবিন্যস্ত চুল আঁচড়িয়ে নেয়ার অবকাশ পাবে এবং যে নারীর স্বামী অনেকদিন অনুপস্থিত ছিল সে তার যৌনকেশ শেভ করার অবকাশ পাবে।’ ... 
সহি বুখারি: ভলিউম-৩, বুক নং-৩৮, হাদিস নং-৫০৪: জাবের বিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত:
আমি নবীর সাথে এক অভিযান থেকে ফিরছিলাম। আমার সওয়ারি উটটি ছিল মন্থর গতিসম্পন্ন এবং সবার পেছনে। [... যখন আমরা মদীনার সমীপবর্তী হলাম, আমি (দ্রুত) আমার (বাড়ীর) পথ ধরলাম।নবী বললেন- ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ’? আমি বললাম- ‘আমি একজন বিধবাকে বিয়ে করেছি।’ তিনি বললেন- ‘তুমি কুমারি বিয়ে করলে না কেন? তাহলে তোমরা একে অপরের সাথে রঙ্গরস করতে পারতে।’
...
সহি মুসলিম: বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৫৪৯: জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত:
আল্লাহর রসুল (দঃ) আমাকে বললেন- ‘তুমি কি বিয়ে করেছো’? আমি বললাম- হ্যা। তিনি বললেন- ‘সে কি কুমারি না পুর্ব-বিবাহিতা (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা)’? আমি বললাম- পুর্ব-বিবাহিতা। তখন তিনি বললেন- ‘কুমারির সাথে মজা করার স্বাদ থেকে বঞ্চিত রইলে কেন’? শু’বা বলেন- এই ঘটনার কথা আমি আমর বিন দিনারের কাছে উল্লেখ করলে আমর বলেছিলেন- আমিও জাবেরের মুখে বর্ণনাটি শুনেছি। (আল্লাহর রসুল) তাকে বলেছেন- তুমি একজন বালিকা বিয়ে করলে না কেন? তা’হলে তুমিও তার সাথে খেলতে পারতে, সেও তোমার সাথে খেলতে পারত।
(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন