আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১২

ধর্মগ্রন্থগুলোর নিরুপায় ভাব-বিবর্তন

লিখেছেন ডেভলজ রিইঙ্কারনেশন

বিজ্ঞানীরা যখন ধর্মগ্রন্থের সাথে দ্বিমত পোষণ করে এমন কিছু আবিষ্কার করে, তখন আস্তিকরা প্রথম কয়েক যুগ খুব চেষ্টা করে তার বিপক্ষে যাওয়ার। শুধু বলে, আরও প্রমাণ দাও। পরে শেষ রক্ষা যখন করতে পারে না, তখন কাটছাঁট করে চেষ্টা করে নিজেদের ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিজ্ঞানের উপযোগী করে তুলতে। খ্রিষ্টানরা এটা করে তাদের বাইবেলে যোগ-বিয়োগ করে, আর মুসলিমরা করে কুরআনের শব্দগুলোর ভুলভাল প্রতিশব্দ ব্যবহার করে। এইজন্য আপনি যদি কোরআনের 'বৈজ্ঞানিক' আয়াতগুলোর অনুবাদ খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন যে, মুহসিন আলি, পিক্টহল যারা অনেক আগে অনুবাদ করেছিলেন, তাঁদের অনুবাদ এক রকম, আর নতুন যাঁরা, যেমন সহিহ ইন্টারন্যাশনাল, ডঃ ঘালি এদের অনুবাদ আরেক রকম। 


এমন ধূর্ত পদক্ষেপের পরে খ্রিষ্টানরা তৃপ্তির হাসি হেসে বলে, "আরে বাইবেলের সবকিছু আক্ষরিক অর্থে নিতে নেই। ওগুলো আমাদের সহজভাবে বোঝানোর জন্য বলা হয়েছিল।" আর মুসলিমরা বলে, "দেখেছ, কুরআনে ১৪০০ বছর আগে থেকেই এই কথা বলে আছে।" 

১৯২০ সালের দিকে আফগানিস্তানের শাসক ছিলেন বাদশাহ আমানুল্লাহ খান। কামাল পাশার মতন তিনিও চেয়েছিলেন নিজের দেশে ও জাতির উন্নতি করতে। তিনি যদি সেই সময় সফল হতেন, তবে আজ আফগানিস্তান হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলির একটি হত। কিন্তু সেই সময়ের মৌলবাদীরা, ডাকাত বাচ্চায়ে সকাও-এর নেতৃতে আমানুল্লাহর কাছ থেকে সিংহাসন ছিনিয়ে নেয়। 

আপনারা যদি সৈয়দ মুজতবা আলীর 'দেশে বিদেশে' বইটা পড়ে থাকেন, তাহলে অনুমান করতে পারবেন, তখনকার অবস্থা কী ছিল। তিনি সেই সময় আফগানিস্তানে ছিলেন। মোল্লাদের দল আমানুল্লাহর বানানো আধুনিক স্কুল কব্জা করে বই খাতা ম্যাপ, রেফারেন্স, টেবিল চেয়ার পুড়িয়ে পোলাও কোর্মা রেঁধে খেয়েছিল। তারা বলতো, আমানুল্লাহ কাফির। কারণ বিদেশ থেকে তার আনা কুফরী কিতাবে লেখা আছে যে, দুনিয়া গোল। এটা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, সেইযুগের মুসলমানরা দুনিয়া যে সমতল তা বিশ্বাস করতো। আর এখন তারা কুরআনের ভেতর উটপাখির ডিম খুঁজে পেয়েছে! নাসারাদের নাসা যদি বাইরে থেকে পৃথিবীর ছবি না দিতো, তবে মুমিনরা এখনও বলে বেড়াত যে, দুনিয়া সমতল। 

পরিশেষে বলতে চাই, বিবর্তনবাদ মানার কারণে আস্তিকরা যদি আপনাকে বাঁদরের ছেলে মেয়ে বলে ডাকে, তবে ব্যথিত হওয়ার কিছু নেই। আগামী ৫০ বছর পর তাদের নাতি নাতনীরা জাকির নায়েকের ছেলের কথা শুনে আপনার নাতি-নাতনীকে বলবে, "আরে বিবর্তনবাদ তো কুরআনে ১৫০০ বছর আগে থেকেই লেখা ছিল। ডারউইন তো কুরআন থেকে সেই আইডিয়া চুরি করেছে।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন