আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১২

কাফের-এর প্রশ্ন: মুসলিম কেন ভিক্ষুক?

লিখেছেন কাফের

বাংলা সিনেমার আইডিয়া থেকে ধার করেও এই পোস্টের ভদ্রোচিত একটা নাম দেয়া যেতো, মুসলিম কেন গরীব জাতি? কিন্তু নানা কারণে মুসলমানদের সেই সম্মান পাবার অধিকার নেই। এ কারণেই এই পোস্টের নাম “মুসলিম কেনো ভিক্ষুক?” 

খুব ছোটবেলা থেকেই যে হাদিসটি শুনছি তা হলো: দুনিয়াতে যার সম্পদ কম, আখেরাতে তার হিসাব সহজ হবে। জ্ঞান-বুদ্ধি কম ছিলো বলে এটা নিয়ে তখন তেমন ডিপলি ভাবি নি। কিন্তু পড়াশুনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলাম, এটা একটা ভয়াবহ হাদিস। নবী তো মুসলমান জাতিকে গরীব করে রাখার চেষ্টা করছে! কিন্তু পরে অবাক হয়ে আরও লক্ষ্য করলাম, মুহম্মদের এই কথা তো কোনো মুসলমানই বিশ্বাস করে না। সব মুসলমানই চেষ্টা করছে দুনিয়াতে তার ধন-সম্পদ বাড়াতে। 

পরে আর একটা হাদিস লক্ষ্য করলাম, গরীবরা ধনীদের চেয়ে ৫০০ বছর আগে বেহেশতে প্রবেশ করবে। এটাও কোনো মুসলমান বিশ্বাস করে বলে মনে হলো না। কারণ কোনো মুসলমানকেই ৫০০ বছর আগে বেহেশতে প্রবেশ করার জন্য গরীব হয়ে থাকার চেষ্টা করতে দেখিনি। বরং এটাই দেখা যায়, একটু ভালো খাওয়া-পরার জন্য সবাই প্রাণপাত করে চেষ্টা করে যাচ্ছে। 

এখন আমার প্রশ্ন হলো যে, নবীর একটা কথা ও কাজ অবিশ্বাস করা যাবে না। সম্পূর্ণ কোরান-হাদিসকে অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস ও পালন না করলে মুসলিম থাকা যাবে না; আর মুসলিম না থাকলে বেহেশতও পাওয়া যাবে না, এটা জেনেও কেন কোনো মুসলমান গরীব থাকার চেষ্টা করছে না? কেন সবাই শুধু ছুটছে উন্নতির আশায়, টাকার পেছনে? তারা কি ৫০০ বছর আগে বেহেশত পেতে চায় না? তারা কি ৫০০ বছর আগে হুরীদেহের স্বাদ পেতে চায় না? সাথে মুক্তার মতো গেলমানের শরীর! মুসলমানরা কি ভুইল্যা গেছে, লম্পট আল্লা তাদের ১টা ২টা না, ৭২টা কইর্যা হুর দিবো। তাগো প্রত্যেকের বয়স হইবো ১৬; এক্কেরে টসটইস্যা। তাগো লইয়া তারা দিন-রাত মৌজ করতে পারবো। কোনো হুরীর কোনো পেসাব-পায়খানা থাকবো না, মুমিন মুসলমানগোরেও পেসাব-পায়খানা থাকবো না; বেহেশতে হ্যাগো কোনোও কাম থাকবো না, অফিস নাই, আদালত নাই, খালি ছহবত আর ছহবত। 

এইখানে মুমিন মুসলমান আবার ভাবতে পারে, একদিনে আর কয়টার লগে ছহবত করমু? যারা এইটা ভাবতেছে, তাগো লাইগাও আছে সুখবর। আল্লা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানগোর সেক্স পাওয়ার ১০০ জন পুরুষের সমান কইরা দিবো। হের পরীক্ষা আল্লা আগে দুইন্যাতে করছে নবীরে ৩০ জন পুরুষের শক্তি দিয়া। এই পরীক্ষায় আল্লাও সফল, নবীও সফল। নবী সফলভাবে নিয়মিত ১২ জনকে এবং অনিয়মিত আরও ৯ জনকে সামলাইতে পারছে। হের লাইগাই আল্লা প্রত্যেক মুসলমানকে ১০০ জন পুরুষের শক্তি দিবো বইল্যা ওয়াদা দিয়া রাখছে। 

বেহেশতে কোনো হাগা-মুতা নাই, কারণ সেখানে কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নাই। কোনো কাম-কাজও নাই। তাই সারাদিন-রাত শুধু ছহবত আর ছহবত। ৭২টা হুরী সিরিয়াল দিয়া থাকবো। একটা শেষ হইলে আর একটা। হুরীরা টায়ারড হইবার পারে, মাগার কোনো মুমিন টায়ারড হইবো না। বিকজ, মুমিনগো কুতুব মিনার কক্ষনো হেইলা পড়বো না। অলটাইম উহা ইসটরং থাকবো। এইখানে কাফের-এর মনে এটা পোরোশনো জাগে, কুতুব মিনার যুদি হ্যাইলাই না পড়ে, তাইলে তো কোনো কিছু আউট হইবো না; আর তাইলে সুখ পাওয়া যাইবে কেমনে? কারণ, দুইন্যাতে তো এইডাই নিয়ম, এইহানে তো ক্ষরণেই সুখ, যত ক্ষরণ তত মজা। যাউকগা মুমিনগো এইডা নিয়া এতো কিছু ভাববার প্রয়োজন নাই। আল্লা যহন এত কিছু কোরবার পারে, তহন ক্ষরণ ছাড়া সুখেরও ব্যবস্থা কোরবার পারবো। আর যদি আল্লা তা কোরাবার না পারে তাইলে গেলমানের পরিবর্তে বা গেলমানগো সিরিয়াল শ্যাষ হইলে মুমিনরা আল্লার পিছনেই গিয়া লাইন ধরবো। কারণ, মুমিনগো কুতুব মিনারের গুতায় ৭২ জন হুরী টায়ারড, গেলমান টায়ারড; এখন মুমিনরা তাগো উত্থিত কুতুব মিনার লইয়া যাইবো কই? তাই মুমিনদের উত্থিত ঈমানদণ্ড রাখার ও ব্যবহারের একমাত্র জায়গা হলো গিয়া আল্লার পোদ; যা নবীর ৩০ হরস পাওয়ারআলা ঈমানদণ্ড দ্বারা পরীক্ষিত। নাইলে আল্লা কেমনে জানলো যে নবীর ৩০ জন পুরুষের সমান মরদানী শক্তি আছে ? 

যাউকগা, কথা কইতেছিলাম মুসলমানগো গরীব থাকার বিষয়ে। হাদিসরে অবিশ্বাস কইরা মুসলমানরা যে বেহেশত হারাইতেছে হ্যারা সেডা বুঝবার পারতাছে না। না পারুক, জ্ঞান-বুদ্ধির অভাবে আর কোরানিক বা ইসলামিক জ্ঞানের প্রভাবে হ্যারা অনেক কিছুই বুঝবার পারে না। যেমন বুঝবার পারে না, তাগো ধরমো ইসলাম মেধা আর জ্ঞানের বিরুদ্ধে। এইডারেই তারা আবার ছেরেষ্ঠ ধরমো বইলা প্রচার করে! এই জ্ঞানবিমুখতা ও যুক্তিহীনতাই যে তাগোরে গরীব করে রাখছে হ্যারা সেইডাও বুঝে না। যদ্দিন এইডা না বুঝবো তদ্দিন তারা পৃথিবীতে গরীব আর ভিক্ষুকের জাতি হইয়া থাকবো, তাতে আর সন্দেহের কী আছে ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন