আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১২

কবরের আজাব প্রসঙ্গে

লিখেছেন সৈকত চৌধুরী


প্রিয় ইমানদার বন্ধুগণ এই ছবি প্রচার করে পাপীদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কবরে আজাব কতটা ভয়াবহ হবে, সেখানে কোন ধরণের সাপ থাকবে ইত্যাদি। ইসলামী অপবিশ্বাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কবরে আজাবে বিশ্বাস। আমাদের মৃত্যুর পর যেহেতু মস্তিষ্কের কোষগুলো মৃত হয়ে যায়, তাই তখন এর পক্ষে কোনো ধরনের অনুভূতির প্রতিই সাড়া দেয়া অসম্ভব। আমরা অজ্ঞান হলেই যেখানে অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়ি, সেখানে মৃত্যুর পর কী হবে, তা অনুমান কঠিন কিছু নয়। অর্থাৎ মৃত্যুর পর আজাব হবে - এ ধরনের বিশ্বাস মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয়। আর আমরা যারা মানুষের কল্যাণার্থে দেহদান করে যাবো, তাদেরকে এই সাপগুলো পাবে কীভাবে?  

আত্মা বা রুহ অতিকল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। এছাড়া যে কোনো ধরনের আজাব গ্রহণ করতে হলে মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম থাকতে হবে। সত্যি সত্যি যদি রুহ নামক কিছু থাকত আর সেগুলো অনুভূতিতে সাড়া দিত, তবে আমরা অজ্ঞান হলেও সবকিছু বুঝতে পারতাম। অর্থাৎ দেহবিহীন আধ্যাত্মিক শান্তি বা আজাবের ধারণাও হাস্যকর রকম অবান্তর।

মৃত্যর সময় আজরাইল নামক ফেরেসতা রুহ কবজ করবেন, তারপর কবরে রাখার পর তিনটি প্রশ্ন করা হবে, পাপীদের আজাব দেয়া হবে, এর পর কিয়ামত হবে, জামাতের নির্বাচনী প্রতীক পাল্লা হাতে আল্লা এসে নামবেন সবার পাপ-পুণ্যের হিসাব নিতে, এরপর কাওসারের পানি, আরশের ছায়া, সূর্য মাথার এক হাত ওপরে আসবে আর যারা ফারাবির মত খাঁটি ইমানদার তারা আরশের নিচের ছায়ায় স্থান পাবে, এরপর আপনার পুলসিরাত - ওটা দিয়ে হেঁটে যেতেই হবে, নিস্তার নেই, তারপর জান্নাত-জাহান্নাম তো আছেই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক এসবে বিশ্বাস করেন কিভাবে?

* ধর্মকারীতে আগে প্রকাশিত ঘোর ভীতিকর গোর আজাব নামের পোস্টের তিনটি ভিডিওর অন্তত প্রথম ও তৃতীয়টি যারা দেখেননি, মৃত্যুর পরে তাহাদিগের জন্য রহিয়াছে ভয়াবহ গোর আজাব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন