মুছলিম পুরুষেরা তাদের ঈমানদণ্ড নিয়ন্ত্রণের দায় কখনও নেয় না, সেই ভার সব সময়ই বর্তায় মেয়েদের ওপরে। ধর্ষণ এড়ানোর জন্য মেয়েদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। 'নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে > ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে" - এই সরল কথাটি মুছলিম মগজে কখনও সেঁধোবে না।
২.
দুনিয়াজোড়া এখন অগণ্য ইছলামপোন্দক। দোয়া-মোনাজাত-প্রার্থনা করে তাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। আল্যাফাক কোনও এক রহস্যময় কারণে ইছলাম-আল্যা-নবী ন্যাংটাকারীদের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। বাধ্য হয়ে মানুষের তৈরি আইন-আদালতের শরণ নিতে হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় ফেসবুক ব্যবহারকারী একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলো এ কারণে।
৩.
ইন্দোনেশীয় মুভিটার মূল কাহিনী এরকম: এক ক্যাথলিক মেয়ে আর মুসলিম ছেলে তাদের পিতামাতাদের সম্মতি আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তো মুভির এক জায়গায় ক্যাথলিক মেয়েটি বলে, সে মশলাযুক্ত শুয়োরের মাংস খেতে খুব পছন্দ করে। ব্যস, অমনি আহত হলো ধর্মানুনভূতি, উত্থিত হলো ঈমানদণ্ড।
৪.
সারা ভারতে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদোষে আক্রান্ত এক ইছলামী নেতা কাশ্মীরে ইছলামী যোদ্ধা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৫.
পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে মুছলিম পুরুষ ও নারীদের আহ্বান জানানো প্রচারকার্য শুরু হয়েছে স্কটল্যান্ডে। হায়! মুছলিম নারীরাই যদি জোর গলায় দাবি করে, 'ওতে দোষের কিছু নেই, কারণ আমার স্বামী বলেছে, কোরানে এটার অনুমোদন দেয়া আছে,' তাহলে প্রচারকার্যের সম্ভাব্য সাফল্য নিয়ে সন্দিহান হতেই হয়।
৬.
কোরানের আয়াত পড়ে 'চিকিৎসা' করা ইছলামী ডাক্তার তার রোগিনীদের ওপরে যৌননির্যাতন করে ধরা পড়েছে। একজন ছহীহ মুছলিম তার অপকর্মের দায় সচরাচর কার ওপরে বর্তায়, বলুন দেখি? হ্যাঁ, সব দোষ শয়তানের। সর্বশক্তিমান আল্যাফাক তো যৌনকেশোৎপাটনমগ্ন থাকে সব সময়।
৭.
ইছলামী ছুন্নত পালনে প্রায়ই বাধা হয়ে দাঁড়ায় আধুনিক আইন-কানুন। এক মসজিদের সত্তর বছর বয়সী trustee (এর বাংলা কী?), যে আরবিও পড়াতো, নবীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তেরো বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে 'অস্বাভাবিক' যৌনাচার করে এবং এই ঘটনা ভিডিও-ক্যামেরায় ধারণ করে (ছহবতের দৃশ্যধারণ করা কি ছুন্নত?), তবে মোবাইলটা হারিয়ে ফেলে সে ধরা খেয়েছে। আপডেট: এটাই তার একমাত্র কীর্তি নয়। আরও ছ'টি ভিডিও পাওয়া গেছে, যেগুলোয় তাকে দেখা গেছে অন্য এক কিশোরীর সঙ্গে ছহবতরত অবস্থায়। এ ছাড়া আরও কয়েক শিশুর পিতামাতাও দাবি করেছে, তাদের সন্তানদেরকেও যৌননির্যাতন করেছে এই ধারাবাহিক ধর্ষক।
৮.
মালয়েশিয়ার এক হোটেলের লিফটের সামনে লেখা: 'এই লিফট কেবলমাত্র হালাল দ্রব্য বহনের জন্য। অ-হালাল দ্রব্যের জন্য সিঁড়ি ব্যবহার করুন।' লিফটটাই তো (শুধুই কি লিফট!) ইহুদি-নাছারাদের তৈরি, অতএব হারাম - এ কথা এই স্থূলমস্তিষ্কদের কে বোঝাবে!
৯.
ইছলামবাজদের সেক্স আর্জ কি বরাবরই মাত্রাছাড়া? এক ইমামের কীর্তি। শিকার - যথারীতি শিশু।
১০.
মালির ইছলামীরা শিশুদের ব্যবহার করছে জিহাদের কাজে। তাদের কারো কারো বয়স এগারো।
১১.
চৌদি আজবের বাদশাহর তিরিশজন নারীকে শুরা কাউন্সিলে (সর্বমোট সদস্য একশো পঞ্চাশজন) অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত (লোকদেখানো হলেও অভিনন্দনযোগ্য) নিলে নাখোশ হয় কিছু ইছলামবাজ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মেয়েদের ইছলামী অধিকারগুলো (ঘরে বন্দী হয়ে থাকার অধিকার, পুরুষের অনুগত থাকার অধিকার, নীরব থাকার অধিকার) খর্ব হওয়ার আশঙ্কায় এরা উদ্বিগ্ন।
১২.
মিসরে ইছলাম গ্রহণকারী এককালীন খ্রিষ্টান ইছলাম ত্যাগ করে আবার খ্রিষ্টধর্মে ফিরে গেলে এক মা ও তার সাত সন্তানকে পনেরো বছরের জেল দেয়া হয়েছে। আমি তো মনে করি, মহিলা ও তাঁর সন্তানদের ভাগ্য ভালো। কারণ ছহীহ ইছলামী উপায়ে বিচার হলে তাদের প্রাপ্য হতো মৃত্যুদণ্ড।
১৩.
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বা নির্বাচনের মাধ্যমে অন্য কোনও নেতা স্থির করা ইছলামবিরোধী। ইছলামে নির্বাচনের স্থান নেই। বলেছে চৌদি এক খ্যাতনামা ইছলামবাজ।
১৪.
ঠিক ইছলাম সংক্রান্ত খবর নয়, তবে কর্মসন্ধানে চৌদি আজব গমনেচ্ছু বাংলাদেশী নারীদের জন্য জরুরি: শুধু রিয়াদ শহরে ছয়দিনে তিনজন গৃহপরিচারিকা আত্মহত্যা করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন