৭.
ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে,
এবং
একজন চরিত্রহীন ব্যক্তিকে অপমান করা হয়েছে!
এই বাক্য দু'টি একই ধরনের অর্থ প্রকাশ করে! অর্থাৎ একটা পচা জিনিসকে তো আর পচানোর কিছু নেই এবং একটা পচা জিনিসকে কখনোই পচানো সম্ভব নয়!
৮.
অনেক সময় অনেক আস্তিক বন্ধু/আত্মীয় আমাদেরকে (নাস্তিক, অবিশ্বাসী, ডেইস্ট, ব্ল্যাসফেমিস্ট) বলে থাকেন:
"ভাই কারো বিশ্বাসকে ব্যঙ্গ করা ঠিক না। কারো বিশ্বাসকে নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক না। সবার বিশ্বাসকেই সম্মান করতে হয় বা সম্মান করা উচিত, কারো বিশ্বাসকেই খাটো করে দেখা ঠিক নয়।"
সাধারণত তাদের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমার উত্তর হল:
কেউ যদি একটি ভুল বিষয়ের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে, কেউ যদি একটা অযৌক্তিক/অমানবিক বিষয়ে বিশ্বাস করে, এর ওপর আস্থা রাখে এবং একে প্রশ্নাতীত ভাবে সমর্থন করে, তাহলে আমি জেনেশুনে এবং বুঝে তার ঐ ভুল এবং অমানবিক/অযৌক্তিক বিশ্বাসকে নীতিগত ভাবে সমর্থন করতে পারি না, সম্মান দেখানো তো দূরের কথা। এবং পৃথিবীর যে কোনো ভুল, অযৌক্তিক, অমানবিক বিষয়কে সমালোচনার, কটাক্ষ করার অধিকার আমার আছে। এই ধরনের বিশ্বাসকে আমি অবশ্যই খাটো করে দেখবো এবং এটা নিয়ে আমি হাসাহাসি করার অধিকারও আমার আছে।
৯.
মৌলভী শব্দের সমর্থক শব্দ এবং বর্তমান রূপ হল: "মৌ-লোভী"।
ইংরেজি মি শব্দ থেকে মৌ শব্দ এসেছে, তাই মি আর মৌ একই কথা! সুতরাং "মৌ-লোভী"-এর মানে হইল "মি- লোভী" অর্থাৎ "আমি নিজেই লোভী"!!
ভাই, এই সামান্য কথার কেউ রেফারেন্স চাইবেন না কইলাম। একজন উন্মাদ একখান চটি মার্কা বই লইয়া আইয়া কইল, এইডা সৃষ্টিকর্তা পাঠাইছে আর ওমনি আন্নেরা লগে লগে তা বিশ্বাস কইরা লইছেন। কুন ধরনের কুন রেফারেন্স, কুন তৃতীয় পক্ষের সাক্ষী, বা কারু বিবৃতি ছাড়াই। সেই তুলনায় আমি তো ভালো কথাই কইছি, তাছাড়া আমি তো আর পাগল না! হারাদিন জিন, পরি, হুরের চিন্তাও করি না। তাইলে আমার এই সামান্য কথার রেফারেন্স চান ক্যা? বর্তমান মৌলোভীদের দিকে তাকাইলে কি আর এই কথার রেফারেন্স লাগে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন