আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ২৭

লিখেছেন লুক্স

২৫৬.
ইসলামী মৌলবাদীরা যেভাবে দামী দামী মসজিদে বোমা ফুটাইতেছে, তাতে মোহাম্মদের যুগের মতো কলাপাতা, তালপাতা দিয়া মসজিদ বানানো উচিত। হায়াত-মৌত আল্লার হাতে। এতে বোমায় মানুষ মারা গেলেও মুসলমানদের সম্পদ রক্ষা হবে।

২৫৭.
কাফের বিজ্ঞানীদের সব গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারই প্রথমে ইসলামে হারাম থাকে। পরে তা হালাল হয়ে যায়। 
বড়দের কাছে শুনেছিলাম মাইক আবিষ্কারের প্রথম দিকে ইসলাম তা হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছিল। অথচ কিছুদিন পরই আযান দেয়ার জন্য আর ওয়াজ করার জন্য মাইক ইসলামের সবচেয়ে জরুরি নিয়ামত হয়ে পড়ে, হোক সে কাফেরদের আবিষ্কার।
ছোটবেলায় মক্তবের হুজুর আর আরবী শিক্ষক টিভি দেখতে নিষেধ করতেন, টিভি দেখলে নাকি চোখের গুনাহ হয়। আর এখন ইসলামী অনুষ্ঠান ছাড়া দেশের কোনো টিভি চ্যনেলই চিন্তা করা যায় না। শুধু ইসলাম প্রচার করার জন্য অসংখ্য টিভি চ্যানেল রয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব ইসলামিক দেশেই।
দেশে প্রথম ইন্টারনেট আসার পর দেখতাম বাবা-মা তাদের সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহারে ভয় পেতেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে নাকি ছেলেমেয়েরা খারাপ হয়ে যেতে পারে। আর এখন ইন্টারনেটই হচ্ছে মোল্লাদের ইসলাম প্রচারের সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
চলচ্চিত্রও ইসলামে এক সময় হারাম ছিল, এখন তাও হালাল। সৌদি আরবও তাদের প্রথম চলচ্চিত্রটি বানিয়ে ফেলেছে কিছুদিন আগেই।
কাফেরদের আবিষ্কার সব হারাম যেভাবে ইসলামে হালাল হয়ে যাচ্ছে, তাতে একসময় আর ইসলামে হারাম বলে কিছু থাকবে না। হালাল মদ আর হালাল শুকরের মাংস গোপনে উপভোগ করতে আমি অনেক মুসলমানকেই দেখেছি।

২৫৮.
মুসলমানগো মোনাজাত শুনলে মনে হয় যেন আল্লাহ একটা ব্যাক্কল, আল্লাহ কিছুই বোঝে না। 
আল্লাহ কারে কী করবো, কারে রাখবো আর কারে মারবো, কারে ধ্বংস করবো আর কারে শান্তিতে রাখবো - সবকিছুই আল্লাহরে শিখায় দিতে হয়!

২৫৯.
আল্লাহ ধর্মের বিরুদ্ধে লিখেছেন, আমরাও ধর্মের বিরুদ্ধে লিখি।
আল্লাহ নাস্তিক ছিলেন, আমরাও নাস্তিক।
আমরা সবাই এক একজন আল্লাহ।

২৬০.
পৃথিবীর সব উন্নয়নশীল দেশের মানুষই ইংল্যান্ড আমেরিকায় ইমিগ্রান্ট হয়ে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখে। এ প্রজন্মের চীনা তরুণ এবং একজন উপমহাদেশীয় মুসলমান তরুণদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে - চীনা তরুণরা ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে আধুনিক জীবনযাপন করে এবং উপমহাদেশীয় একটা বিশাল সংখ্যক মুসলমান তরুণ জিহাদী খাতায় নাম লিখিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করে।

২৬১.
একটি জাতিকে মধ্যযুগীয় সময়ে আটকে রাখার জন্য ইসলামী সমাজব্যবস্হা আর মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্হাই যথেষ্ট।

২৬২.
''মাধ্যমিক স্তরের ধর্মশিক্ষা'' বইটিতে একটি মজার কথা বলা আছে, “আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, হিংস্র প্রাণীর দেহে এমন সব জীবাণূ আছে, যা মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর, কাজেই তা আমাদের জন্য হালাল হতে পারে না। এছাড়া হারাম খেলে মন্দ অভ্যাস ও অসচ্চরিত্রতা সৃষ্টি হয়, ইবাদাতে আগ্রহ থাকে না এবং দুয়া কবুল হয় না”(পৃঃ ৪৪)।
কোন গবেষণায় এই যুগান্তকারী ফলাফল পাওয়া গিয়েছে, তার রেফারেন্স দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেননি এই বইয়ের লেখকেরা। এখান থেকে আমি শিখেছি - গুজব ছড়ানোর প্রক্রিয়াটা বিজ্ঞান দ্বারা অনুমোদিত।

২৬৩.
কোরান সত্য, কারণ কোরানের ওমুক আয়াতে বলা হয়েছে কোরান সত্য। তাহলে আর আলোচনা করার কোনোই মানে হয় না।

২৬৪.
বাংলাদেশের মুসলমানরা কয়দিন পর পর কোরান খতম দেয়। খতমের পর মাইনষেরে জিলাপি খাওয়ায়। মাগার বাংলায় কোরান পড়ে না। ভাইলোগ, বাংলায় কোরান পড়েন, জিলাপি আমি খাওয়ামু।

২৬৫.
একজন ক্যান্সারচিকিৎসক যদি ক্যান্সারের চিকিৎসাই না করেন, সেটাকে যেমন আপনারা মেনে নিতে পারেন না, তেমনি একজন নাস্তিক ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কথা বলে না - সেটাও আমি মেনে নিতে পারি না। ধর্মান্ধতার চেয়ে বড় ক্যান্সার আর নাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন