আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

নাস্তিকতা প্রচার একটি ঈমানী দায়িত্ব

লিখেছেন ব্ল্যাক হোল 

যারা বলে থাকেন, "নাস্তিকতা নিয়ে লাফায়ে লাভ নাই। তারচেয়ে পড়ালেখা করো, এনার্জি প্রবলেম নিয়ে ভাবো, মহাবিশ্ব নিয়ে ভাবো" - তাদের উদ্দেশে বলছি।

পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য অনেক আবিষ্কার নাস্তিকদের হাত ধরেই এসেছে। এবং বর্তমানে বিজ্ঞানীদের অধিকাংশ, বিশেষ করে প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞানীদের প্রায় সবাই নাস্তিক। কিন্তু আপনি নাস্তিক হয়ে যদি আপনি অন্যান্য ধর্মের দিকে নজর না দেন, তাহলে কী হবে, তা আজ আমরা নিজ চোখেই দেখতে পাচ্ছি। আজকাল বিগ ব্যাং-কে ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত বলে বিজ্ঞানীদের খোঁটা দিয়ে বলা হচ্ছে, "যা গত শতাব্দীতে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে তা আমাদের গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে আরও অমুক বছর আগে। সো ফাক দ্য বিজ্ঞান, ফাক দ্য বিজ্ঞানী!" (কথাটা অনেকের মনে আঘাত হানতে পারে। বলতে পারেন, আমি মিথ্যা বলছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এমন কথা অনেক শুনেছি জীবনে) 

এখন ধরে নিন, আপনি নিজে হাবল (বিগ ব্যাং-এর আবিষ্কারক);  কৌতূহলী হয়ে আপনি ধর্মগ্রন্থটা খুলে একটু ঘেঁটে পেলেন, একসময় পৃথিবী এবং আসমান কেন্দ্রীভূত ছিল। এবং আসমান এর পূর্বে জমিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তখন আপনার তত্ত্বের এমন অপব্যাখ্যা এবং অবহেলা দেখে যে আপনার কী পরিমাণ কষ্ট হবে, তা কি বুঝতে পারছেন? নিশ্চয় বুকটা ফেটে যাবে। অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলি নিয়েও কিন্তু সমান ক্যাচাল লেগে আছে। যখন মানুষ ধর্মগ্রন্থে সূচের ফুটোর মধ্য দিয়ে উট ঢুকিয়ে দেয়ার মধ্যে ব্ল্যাক হোল খুঁজে পান, আধা মানুষ আধা মহিলা একটি প্রাণীর মধ্যে রিলেটিভিটি খোঁজেন, তখন আমি ভাবি, তারা তাদের মস্তিষ্ক কোথায় খুঁইয়ে এসেছেন? আমি ভাবি, কবে যেন আবার ড্রোন বানানোর সূত্র খুঁজে পায় তারা।

সে যুগ আর এ যুগের নাস্তিক

যাই হোক, মূল যে কথাটি বলার জন্য এত ঘ্যানরঘ্যানর, তা হল, বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যা ও বিকৃতি রোধ করতেই আপনার উচিত ধর্মকে না বলা। অপ্রয়োজনীয় ভেবে পাশ কাটিয়ে গেলে তারা নাস্তিকের আবিষ্কৃত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে প্রার্থনায় বসে নাস্তিকেরই তৈরি মাইক দিয়ে নাস্তিকের তত্ত্বকেই খোটা দেবে এবং নাস্তিকদের অভিসম্পাত দেবে ও শব্দদূষণ করে আপনারই মাথা ব্যাথা করে দেবে। নাস্তিক বলে আপনাকে হত্যার ফতোয়া দিলেও আমি অবাক হব না মোটেও।

তাই বলছি, শুধু নাস্তিক হলেই হবে না, তাকে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখতে হবে, যেমন বিমান চালু করার পরেও বিমানকে আকাশে ভাসিয়ে রাখার জন্য ইঞ্জিন চালিয়ে রাখতে হয়। আর আপনার যদি প্রক্রিয়াটিকে চলমান রাখতে আগ্রহ না থাকে, তবে কেউ আপনাকে কিচ্ছুটি বলবে না। তাই বলে আমরা যারা নাস্তিকতা প্রচার ও প্রসারে ব্যস্ত, তাদেরকে আপনার এই বলার অধিকার নেই যে, "আপনারা নাস্তিকতাকে পচিয়ে দিয়েছেন।" কারণ আমরা যা করছি, তা হয়তো একদিন আপনাকেই খুঁটি দেবে দাঁড়ানোর। দয়া করে আমার কথায় কেউ কষ্ট নেবেন না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও মতামতের কথাটাই আমি বললাম কেবল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন