আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ০১

লিখেছেন নিলয় নীল

প্রাচীন ভারতে নারীজীবন সংসার তথা বিবাহ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত ছিল। নারীর শৈশব-যৌবন-বার্ধক্য যথাক্রমে পিতা-স্বামী-পুত্রের দ্বারাই নির্ধারিত থাকতো। এর ফলে পুরুষ-অধীনতা নারীর জন্য হয়ে পড়ে অপরিহার্য। হিন্দুধর্মের চেয়ে আপাতদৃষ্টিতে অপেক্ষাকৃত উত্তম ধর্ম হিসেবে বৌদ্ধধর্মের আগমন ঘটে এই ভারতে। হিন্দুধর্মের জাতিভেদ থেকে শুরু করে ঈশ্বরের প্রচলিত আরাধনার মতো অনেক কিছুই এখানে অনুপস্থিত ছিল বলে একে আপাতদৃষ্টিতে উত্তম ধর্ম বলেই গণ্য করেন অনেক দার্শনিক। 

অ্যাকাডেমিক ও নন-অ্যাকাডেমিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করে দেখেছি, আর সব প্রচলিত ধর্মমতের মতোই বৌদ্ধধর্মে আছে সমসাময়িকতার প্রবল প্রভাব। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বৌদ্ধধর্মের দার্শনিক তত্ত্ব নয়, বরং আজকে আমরা আলোচনা করবো বৌদ্ধধর্মে পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতাবলয় নিয়ে। এই আলোচনা করার অন্যতম কারণ হল, আমাদের বাঙালির মধ্যে অনেকের মধ্যেই বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে না জেনেই এই ধর্মের প্রতি এক ধরনের অনুরাগ কাজ করে। বৌদ্ধধর্ম নিয়ে বাংলা ভাষায় বিশেষ করে অনলাইনে ততোটা আলোচনা বা সমালোচনা আমি কখনোই দেখিনি, যতটা ইসলাম বা হিন্দু ধর্ম নিয়ে হয়ে থাকে। 

গৌতম বৌদ্ধ বিতৃষ্ণ ছিলেন তৎকালীন সাংসারিক জীবনাবর্তে। এই জন্য তিনি তার স্ত্রীকেও ত্যাগ করেন। যেহেতু সংসারে বসে অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করে নির্বাণ লাভ করা সম্ভব নয়, সেহেতু অবশ্যই সাংসারিক মায়া ও কাম ত্যাগ করে গৃহত্যাগী হতে হবে। আর সাংসারিক মায়া ও কাম ত্যাগ করার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে নারীকে চিহ্নিত করেন গৌতম বুদ্ধ। তিনি বলেন, নারী যেহেতু গৃহের মোহ তৈরি করে, তাই নারী অবশ্যই পরিত্যাজ্য। 

সমগ্র বৌদ্ধ বাণীকে তৃতীয় মহাসঙ্গিতি সূত্র, বিনয় ও অভিধর্ম নামে অভিহিত করা হয়। এদেরকে একত্রে বলা হয় ত্রিপিটক। যেহেতু আমরা বৌদ্ধধর্মে নারীদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করবো, সেহেতু আমাদের বেশীর ভাগ আলোচনাই হবে সূত্রপিটকের খুদ্দক নিকায়ের অন্তর্গত জাতকের কাহিনীতে আলোচিত নারীর প্রতি গৌতম বুদ্ধের নির্দেশনামূলক বক্তব্য। জাতক কাহিনীতে নীতিকথা সম্পন্ন হয় সাধারনত তিনটি পর্যায়ে, যথা: 

১. বর্তমান বস্তু (এখানে কোন সংকট উপস্থাপিত হয়েছে শাস্তার (পথপ্রদর্শকের) কাছে
২. অতীত বস্তু (এখানে সংকট মীমাংসার জন্য অতীতের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন শাস্তা) 
৩. সমাধান (অতীত বাস্তবতার আলোকে বর্তমানের টীকাভাষ্য রচনা করে দিকনির্দেশনা দেন শাস্তা)

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন