আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪

ইসলামে বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

একজন মুসলিম কি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বা বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারবেন? কোরান এব্যাপারে কী বলে?

সুরাহ আল ইমরান ৩:১১৮ 
হে ঈমানদারগণ!
তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না,
তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ।
শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য।
তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। 
সুরাহ আল মায়েদা ৫:৫১
হে মুমিণগণ!
তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না।
তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। 
সুরা আন নিসা ৪:১৪৪ 
হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে।
তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে(মুনাফেকে পরিনত হবে)? 
তাফসির ইবনে কাথির:
উমর রঃ বলেন, "সে কি মুসলিম নয়?"
আবু মুসা জবাব দিলেন,"না , কিন্তু সে খৃস্টান"।
তখন উমর রঃ এসে আবু মুসার কাধে হাত রেখে বললেন,
"বের করে দাও একে মদিনা থেকে!"।
অতপর উমর রঃ তেলাওয়াত করলেনঃ
সুরা আন নিসা ৪:১৪৪:
"হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে।" 
অতপর আবু মুসা উমর রঃ এর নির্দেশ মেনে সেই খ্রিষ্টানকে মদিনা থেকে বের করে দিলেন। 

আল্লাহ মুসলিমদেরকে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন অর্থাৎ হারাম করেছেন। 

যে অমুসলিমদের সাথে বন্ধু হবে সেতো মুশরিক, মুনাফিক (৪:১৪৪)। 

আর মুনাফেকদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের নিম্নতম স্তর, সবচাইতে কঠোর শাস্তি। 

যারা নিজেদের মুসলিম দাবি করে অথচ অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করে বেড়ায়, তারা ইসলামের যা "ভাল" লাগে তা মানে, আর যখন আল্লাহ আর তার নবী কঠোর কোনো কাজ করতে বলেন, তখনই তারা ইসলামের সেই অংশকে অস্বীকার করে, তারাই তো মুনাফেক মুশরিক। 

তাদের শাস্তি কাফেরদের থেকেও বহুগুণ জঘন্য। 
আর মুনাফেকদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের নিম্নতম স্তর, সবচাইতে কঠোর শাস্তি। 

এসব জেনেও আজ ছহি মুসলিম নামক কলংক মুনাফেক মডারেট মুসলিমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের সাথে বন্ধুত্ব করে চলেছে। তারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে নিজেদেরকে মুনাফেক বানাচ্ছে। আর মুনাফেকদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের নিম্নতম স্তর, তাদের শাস্তি কাফেরদের থেকেও বহুগুন জঘন্য। সবচাইতে কঠোর শাস্তি। 
এসব জেনেও কি ছহি মুসলিম ভাইয়েরা অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করে আল্লাহর নির্দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে, মুশরিকি, মুনাফেকি করে যাবেন? 

নাকি কোরানের বিরুদ্ধে গিয়ে, কোরানের শব্দের নতুন অর্থ বের করে প্রকৃতপক্ষে কোরানের অর্থ বদলিয়ে নিজেদের কগনিটিভ ডিসোনেন্সে ভুগে ত্যানা প্যাঁচাবেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন