আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪

কোরান কি অবিকৃত?

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

কোরান নাকি অবিকৃত আছে, এই হাদিসগুলো তাহলে কী? নিশ্চয়ই সব ইহুদি-নাছাড়া-নাস্তেকদের ষড়যন্ত্র...

মুহাম্মদ (সঃ) এর মৃত্যুর পর যখন জিহাদে হাজার হাজার হাফেজ মৃত্যুবরণ করতে লাগলো, তখন কোরানের আয়াত হারিয়ে যাবার আশংকায় খলিফতের নেতৃত্বে কোরান সংকলন করার দায়িত্ব নেয়া হলো, যদিও পূর্বে এই কাজকে বিদ-আত বিবেচনা করা হতো। 

নিচে কিছু ইসলামী টেক্সট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাক, "কোরান অবিকৃত আছে" এই তালগাছি দাবির সত্যতা কতটুকু।

নিচের রেফারেন্সগুলো পড়ে, নিজে ভেরিফাই করে তারপর আপনার সিদ্ধান্ত আপনি নিজে নেবেন। 

মুসতাকাক আল হাকিম [১] 
আবদুল্লাহ বিন মাসুদ (আঃ) ছিলেন কোরানের তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ হাফেজ।
নবী স্বয়ং বলেন, "যে কোরান সর্বোচ্চ সহিভাবে জানতে চায় যেমন তাজা এটি ছিল নাজিল হবার মূহর্তে, তবে তাকে বলো আবদুল্লাহ বিন বাসুদ এর কাছ থেকে জানতে।"
উমর আঃ বর্নিত আছে, "আল্লাহর কসম, এমন কেউ জীবিত নেই, যে কোরানের সম্পর্কে আবদুল্লাহ বিন মাসুদ এর চাইতে বেশী ইলম রাখে।"
সহি আল বুখারি [২] 
আল্লাহর কোরানে এমন কোন সুরাহ নেই যা আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ সহিহভাবে জানে না।
কোরানে এমন কোন আয়াত নেই যা কোথায় নাজিল হয়েছে তা সে জানে না।
কোরানে এমন কোন আয়াত নেই যা কেন নাজিল হয়েছে তা সে জানে না।
কোরানে এমন কোন আয়াত নেই যা কার উদ্দেশ্যে নাজিল হয়েছে তা সে জানে না। 
সহি আল বুখারি [৩] 
ইব্রাহিম বর্ণিত:
আবদুল্লাহ (বিন মাসুদ) এর সঙ্গীরা আবু দারদার কাছে এলেন এবং আবু দারদা তাদের জিজ্ঞেস করলেন, "তোমাদের মাঝে কে কোরান (সহিহভাবে) তিলাওয়াত করতে পারো, যেমনটি আবদুল্লাহ (বিন মাসুদ) তিলাওয়াত করতো?"
তারা জবাব দিলো, "আমাদের সবাই"।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "তোমাদের মাঝে কে হৃদয় দিয়ে(সর্বোচ্চ শুদ্ধভাবে) কোরান জানো?"
তারা আত আলাকমা কে দেখালো।
অতঃপর তিনি আলাকমাকে জিজ্ঞেস করলেন, "তুমি আবদুল্লাহ বিন মাসুদ কে সুরাহ আল লাইল (কোরান ৯২:৩) কিভাবে তিলাওয়াত করতে শুনেছ?"
আলাকমা উত্তরে তিলাওয়াত করলেন, "এবং শপথ নর ও নারীর।"
আবু দারদা বললেন, "আমিও সাক্ষী দিচ্ছি যে, আমি নবীজীকে ঠিক এভাবেই তিলাওয়াত করতে দেখেছি, কিন্তু তারা (কোরান সংকলনকারী) চায় যাতে আমরা তিলাওয়াত করি এভাবে: "এবং শপথ তা যিনি নর ও নারী সৃস্টি করেছেন"।
"কিন্তু আল্লাহর কসম, আমি তাদের(বিকৃতি) অনুসরন করবো না।"
তার পরেও, আবদুল্লাহ বিন মাসুদ, আত আলাকমা, আবু দারদার মত সবচেয়ে বেশি কোরান সম্পর্কে জ্ঞান রাখা, নবীজীর ঘোষিত কোরানের সর্বোচ্চ ইলমধারী আবদুল্লাহ ইবন মাসুদ-এর বর্ণিত আয়াতের বিরুদ্ধে গিয়ে কোরানে এই আয়াত বিকৃতরূপে ঢোকানো হয়। 

বর্তমান যে কোন কোরান উল্টালেই পাওয়া যায়:
"এবং শপথ তার, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন। " 
- সুরাহ আল লাইল (কোরান ৯২:৩) [৪] 

অথচ আয়াতটি হবার কথা:
"এবং শপথ নর ও নারীর..."  

রেফারেন্স:

[১] মুসতাকাক আল হাকিম (২/২৪৬) হাদিস ২৮৯৩, আদ ধাধধি কর্তিক সহি নিশ্চিতকৃত। 

[২] সহি আল বুখারি ৬:৫২৪ 

[৩] সহি আল বুখারি ৬:৪৬৮, ৫:৮৫, ৫:১০৫ 

[৪] আল কোরান ৯২:৩ সুরাহ আল লাইল (সৌদি আরব,কুরাইশান)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন