আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৬ মে, ২০১৪

জাকির নালায়েক VS আবু জাহেল - ০২

লিখেছেন আবু জাহেল (Version 2)

আজকের বিষয়: একাধিক স্ত্রী কেন জায়েজ?

বৈচিত্র্যময় সঙ্গমলিপ্সু ইছলামী পুরুষরা ৪ টা বউ রাখার ব্যাপারে ওস্তাদ! যেটাকে আমরা আধুনিক সমাজে কুরুচিপূর্ণ বলে থাকি। এ বিষয়ে আজকে জাকির নালায়েক এর বক্তব্য এবং তার বিশ্লেষণে আমি আবু জাহেল (Version 2) থাকছি আপনাদের সাথে।

জাকির নালায়েক: খুবই সুন্দর প্রশ্ন - কেন একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করা জায়েজ করা হলো। আমি এটা অবশ্যই স্বীকার করি যে, কোনো নারী সাধারণ পরিবেশে কখনোই চাইবে না তার স্বামীকে অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে! কিন্তু ইছলাম হইলো মানবতার ধর্ম। যেখানে অল্প ক্ষতির বিনিময়ে বেশি ক্ষতিকর জিনিস বন্ধ করার উপায় বাতলানো হয়!

আপনারা জানেন কি, শুধুমাত্র আমেরিকায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ৭.৮ মিলিয়ন বেশি, ইউকে-তে ৪ মিলিয়ন, জার্মানিতে ৫ মিলিয়ন, রাশিয়ায় ৯ মিলিয়ন বেশি। অর্থাৎ পৃথিবীতে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। একমাত্র তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে দেখা যায়, নারী পুরুষদের সংখ্যা প্রায় সমান থাকে। কারণ এই দেশগুলোতে যেমন, বিবিসি রিপোর্ট বলছে, ভারতেই শুধুমাত্র প্রতি বছর ১ মিলিয়ন অ্যাবোরশান করানো হয়, যখন জানতে পারা যায় সন্তান মেয়ে হবে, যদি এই ইভিল প্রাকটিস বন্ধ করা যায় তবে এসব দেশেও পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া জন্মগতভাবেই মেয়ে শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ছেলে শিশুর তুলনায় ভাল হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের মধ্যে নেশা করা, দুর্ঘটনায় পড়া প্রভৃতির হার বেশি। তাই দেখা যাচ্ছে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশি।

এখন চিন্তা করুন আমেরিকায় সব পুরুষ একজন করে বিয়ে করলে তারপরও ৭.৮ মিলিয়ন  নারী থাকবে, যাদের বিবাহ করার মতো পার্টনার পাওয়া যাবে না ফলে তারা পাবলিক প্রপার্টিতে পরিণত হবে। আপনি ভাবছেন, আমি এইরকম একটা শব্দ কীভাবে ব্যবহার করলাম? আসলে এর চেয়ে ভাল কোনো শব্দ ব্যবহার করার মতো নেই! তাই এই বড় ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে এই পদ্ধতি ইছলামে আল্লাহ দিয়েছেন এবং পুরুষদের এ জন্যই একাধিক বিয়ে করা জায়েজ। আশা করি, উত্তর পেয়েছেন।

আবু জাহেল: খুবই চুন্দর লজিক দেখিয়েছেন আমাগো জোকার থুক্কু, জাকির ভাই!  আচ্ছা, আপনি জানেন কি, আমেরিকার জনসংখ্যা পেরায় ৩২ কোটি! এর মধ্যে ৭.৮ মিলিয়ন ( ধরি ৮০ লক্ষ) নারী বেশি হলে শতকরা প্রায় ২.৫ ভাগ নারী বেশি! অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন পুরুষের জন্য নারীর সংখ্যা ১০২.৫!  সুবিধার জন্য ১০৩ জন ধরে নিলাম!

আল্লাহ বলেছেন, কারো সামর্থ্য থাকলে সর্বমোট ৪ খানা বিবাহ করিতে পারিবে। এখন ধরে নিলাম, প্রতি ১০০ জন পুরুষের মধ্যে ১০ জনের চারখানা বউ পালার সামর্থ্য আছে। ২০ জনের ৩ খানা পালার,  ৩০ জনের ২ খানা এবং বাকিদের একখানা পালার সামর্থ্য আছে! তার মানে বউ লাগবো ২০০ খান! তার মানে, আমেরিকায় যদি এই ইছলামিক পদ্ধতিতে বিয়া করা শুরু হয়, তবে প্রায় ৭ কোটি পুরুষ বিবাহ করার জন্য কোনো পার্টনার পাবে না! অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক পুরুষরে অন্যের বউয়ের সাথে টাঙ্কি মাইরা অথবা ধন খেঁইচা নতুবা গে হইয়া কাটাইতে হবে - যা ইছলামে হারাম! 

অতএব প্রমাণিত হইলো, উহা একখান আচোদা লজিক!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন