আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৪ জুন, ২০১৪

ধর্মকর্মকাণ্ডকীর্তিকাহিনী - ১১

(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ। 

'ইসলামী ইতরামি' ও 'লিংকিন পার্ক' সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের ('প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না') ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।

সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন'টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।) 

লিখেছেন নিলয় নীল

পরপুরুষের গালে গাল ঠেকিয়ে চুমু খাওয়ার অপরাধে ইরানী অভিনেত্রীর ইসলামিক শাস্তি 

গেল গেল রব তো আগেই উঠেছিল। এখন 'গেল'র বিধান দিতে এসে সমাজের কর্তা-ধর্তারা বললেন, এই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শাস্তি তো দিতেই হবে। তাই ইসলাম মতে ঠিক হল, লেইলা হাতামিকে জেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ৫০ দোররা মারা হোক!

অভিনেত্রী লেইলা হাতামি 

সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ইরানের অভিনেত্রী লেইলা হাতামি একজনকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে গালে গাল ঠেকিয়ে চুমু দিয়েছিলেন। এটাই তাঁর চরম অপরাধ। তিনি এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন, কিন্তু তাঁকে ক্ষমা করা হলো না। 

এ কারণে তিনি চরম বিপদের মুখে পড়লেন। অবশ্য অপরাধের তালিকাটি ইরানের আইন অনুযায়ী ভয়ঙ্কর! কী সেই অপরাধ? প্রথম অপরাধ, তিনি তাঁর মাথা সম্পূর্ণ না ঢেকেই সর্বসমক্ষে এসেছেন, যা ইসলামি আইন অনুযায়ী ধর্মবিরোধী। দ্বিতীয় অপরাধ, পর পুরুষকে চুমু দিয়েছেন। তাই তাঁর শাস্তি কমিয়ে মাত্র ৫০ টি দোররা মারা হয়েছে!!! 


ইরানের সংস্কৃতিমন্ত্রী হোসেন নোউশাবাদি বলেন, ইরানের নারীরা সতীত্ব ও নির্মলতার প্রতীক। যাঁরা এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের ইরানের জনগণের নির্মলতা ও বিশ্বস্ততার প্রতি দায়বদ্ধ থেকেই অংশ নেওয়া উচিত, যাতে বিশ্বের কাছে ইরানি নারীর এমন বাজে চিত্র উপস্থাপিত না হয়। তিনি আরও বলেন, "উত্সবে লাইলা হাতামির “অনুপযোগী উপস্থিতি” আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।"


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন