আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৪

মুহাম্মদ সুরত - ০৩

মূল: আলী সিনা-র Understanding Muhammad নামের বই থেকে একটি অধ্যায়
অনুবাদ: Elijah Neo


উপরোল্লিখিত বর্ণনায় আমরা জানিতে পারি যে, মুহাম্মদের ত্বক গোলাপী আভাময় ছিল। অন্যান্য কতিপয় হাদিসে জানা যায় যে, তিনি হাত তুলিলে যখন বগল দেখা যাইত, অথবা ঘোড়ায় চড়িবার সময় যখন পা দেখা যাইত, তথায় তাহার সঙ্গীগণ তাহার ত্বক সাদা দেখিতে পাইত। Acromegaly রোগের ৪০% ক্ষেত্রেই এরূপ ত্বকের লালচে ভাব দেখা যায়, বিশেষত ত্বকের যে স্হানসমূহে আলো পড়ে। ইহা সম্ভবত হরমোনের (melanotrophic hormone) আধিক্যজনিত কারণে ঘটিয়া থাকে। তাই তাহার মুখের রং লালচে ছিল, কিন্তু শরীরের যে স্হানসমূহে আলো পড়ে নাই, তাহা সাদাই ছিল।

এক্রোমিগেলী রোগের আরেকটি লক্ষণ হইল, গোড়ালী হইতে পায়ের পাতা অবধি স্ফীতাবস্হা। এই লক্ষণও উপরে বর্ণিত হাদিসে দেখিতে পাই।

অন্যান্য হাদিসে দেখিতে পাই যে, মুহাম্মদ অত্যধিক ঘামিতেন, এবং তাহার শরীরে উৎকট গন্ধ ছিল যাহা তিনি ততোধিক সুগন্ধি লাগাইয়া লুকাইতে চাহিতেন।

মুসলিম শরীফে হায়কল হইতে বর্ণিত হাদিসে আছে যে, মুহাম্মদ এতই কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করিতেন যে, রাস্তায় লোকজন বলিতে পারিত মুহাম্মদ ঐ পথে গিয়াছিলেন।

জাবির বলিয়াছেন, মুহাম্মদ যে পথ ধরিয়া চলিয়াছেন, সেই পথে কেহ আগাইলে সহসাই বলিতে পারিত যে, ঐ পথে মুহাম্মদ গিয়াছিলেন।

মুহাম্মদ তাহার স্ত্রীগণের নিকটা যাইবার আগে সুগন্ধি ব্যবহার করিতেন। সহীহ মুসলিম ৭:২৭০০ হাদিসে আয়েশা এরূপ বলিয়াছেন, “আমি আল্লাহর পয়গম্বর মুহাম্মদকে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম, অতঃপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে যেতেন।”

মুহাম্মদ নিজেও স্বীকার করিয়াছেন, “আমার নিকট প্রিয় করা হয়েছে নারী ও সুগন্ধি।”

সুগন্ধির প্রতি এই মাত্রাধিক্য মোহে ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, মুহাম্মদ তাহার শরীরের দুর্গন্ধের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন, এবং তাহা লুকাইতে সর্বাত্মক চেষ্টা করিয়াছেন। এক্রোমিগেলি রোগের আরেকটি লক্ষণ হইল মাথাব্যথা – মুহাম্মদ কাপ থেরাপি দিয়া উহা হইতে নিস্তার খুজিতেন।

একদা তিনি এহরামে থাকাকালীন মাথাব্যথা হইতে নিস্তার পাইতে লাহল জামাল নামক পুকুরপাড়ে কাপ থেরাপি লইয়াছিলেন। ইবনে আব্বাস বলিয়াছেন, “মুহাম্মদ এহরামে থাকাকালীন সময়ে দুর্বিসহ মাথাব্যথা হইতে নিস্তার পাইতে মাথায় কাপ লাগাইয়াছিলেন।”

(চলিবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন