আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৪

মুমিনদের নবীভক্তি বনাম আল্লাহ-ভরসাহীনতা

লিখেছেন ধর্মের ছলনা ফাঁস

১.
আমি আপনাকে ২০০% গ্যারান্টি দিচ্ছি: আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলবেন - "আল্লাহ নেই, আর যদি থেকেও থাকে, তবে তা কোরানে বর্ণিত আল্লাহর মত না", তখন দেখবেন, কেউ আপনাকে দা-কুড়াল-চাপাতি দিয়ে মারার জন্য আসবে না। 

কিন্তু আপনি যদি বলেন, "মুহম্মদ মিথ্যাবাদী, নিজের বয়ানকে আল্লাহ বয়ান বলে প্রচারণা করছে", একটু অপেক্ষা করুন, মুমিনরা আপনার মাথা কেটে চাপাতি আপনার লেপটপের ওপর রেখে যাবে। 

এখন বলুন, এদের ভাবভঙ্গি দেখে কী মনে হয়? মুমিনরা আল্লাহকে না মগাকে বেশি ভালবাসে? কোনটা? আর একটা কথা: এদের এই ধরনের কাজ দেখে মনে হয়, এরা গভীরভাবে চিন্তাশীল নয়। কারণ আপনি যখন বললেন, আল্লাহ নেই, তখনই সেই কথার মাধ্যমে কিন্তু আপনি প্রকাশ করেছেন মগার ছলনা। কিন্তু তারা কিন্ত সেটা টের পায় না, যেমন টের পায় না কুরানে লুক্কায়িত বৈজ্ঞানিক তথ্য। যখন অমুসলিম বিজ্ঞানীরা কোনো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করে, তার পর পরই তারা তাদের কুরানের কোনো সুরায় খুঁজে পায় সেই আবিষ্কারের তথ্য।

২.
কথা হচ্ছে কী, আধুনিক আস্তিকরা আল্লাহর ক্ষমতার ওপর তত একটা বিশ্বাস রাখে না। ভাবছেন, আমি পাগল হয়ে গেছি? নো, মাই ডিয়ার অডিয়েন্স, আমি পাগল হইনি! আপনারাই দেখুন: যত বড়ো আস্তিকই হোক না কেন, রোগ-শোক হলে ডাক্তারের কাছে সে যাবেই। তবে কথা হল, তার আগে অবশ্য তারা আল্লার বান্দাদের কাছে যেতে ভোলে না - পীর, ফকির, সাধুদের কথা বলছি। 

তো যা বলছিলাম, আল্লাহর সেবা নিতে নিতে যখন এদের পাছার ফোড়াটি আর সারে না, তখন ছোটে ডাক্তারের কাছে। অতএব বলা যায়, তাদের বিশ্বাসের ভিত শক্ত নয়। অনেক আস্তিককে এই প্রশ্নটি করলে উত্তর দেয়: আল্লাহ চেষ্টা করতে বলেছেন। তাদের জন্য কথা হল, তাহলে আল্লাহ যখন এ কথা বলছে, তাহলে বুঝতেই পারছেন যে, আল্লাহ কিছু করতে পারে না। 

হ্যাঁ, মুসলিম মুমিন, তোমাদের বলছি, তোমাদের আল্লাহ তো নবী মহাউম্মাদ। এটা অনেক আগেই অনেকে প্রমাণ করেছে। এখন কথা হচ্ছে, যার ওপরে মুমিন ভাইরা, তোমরা পূর্ণ বিশ্বাস রাখো, তার জন্য তোমরা কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে কেন ঘর বানাও? তার যদি ঘর বানানোর প্রয়োজন হত এবং সে যদি নিজে সব কিছু পারতো, তবে নিজের ঘর নিজেই তৈরী করে নিতো, তাই না? 

তাহলে মুমিন ভাই-বোনেরা, তোমাদের অসুখ-বিসুখ যে-আল্লাহ সারিয়ে দেয় না, তার পায়ে পড়ে থাকার কী আছে? এর পরেও যেসব মুমিন বলবে, এই রোগ-শোক সবই আল্লাহর পরীক্ষা, তাদের জন্য আমার একটা কথা আছে: এসব যদি পরীক্ষাই হয়, তবে সেই পরীক্ষা দাও! বেহুদা ডাক্তারের কাছে গিয়ে রোগ সারিয়ে তোমাদের শোকের পরীক্ষায় কেন দুর্নীতি করছো? এতে তো আল্লাহ আরও রাগ করবে। পরীক্ষা যদি দিতেই হয়, তবে দাও না জীবন দিয়ে সেই মহান আল্লাহর সুকঠিন পরীক্ষা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন